'Proximate Cause' এর নীতি কোথায় প্রযোজ্য?
A
বীমার মূল্য নির্ধারনে
B
ক্ষতির প্রকৃত কারন নির্ধারনে
C
ক্ষতির বাজার মূল্য নির্ধারনে
D
বীমার শর্ত পুরনে
উত্তরের বিবরণ
বীমায় ‘Proximate Cause’ নীতিটি মূলত ক্ষতির আসল বা নিকটতম কারণ নির্ধারণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই নীতি বলে, ক্ষতিপূরণের দাবি তখনই গ্রহণযোগ্য হবে যখন ক্ষতির মূল কারণটি বীমা পলিসির আওতাভুক্ত থাকে। অর্থাৎ, বীমাকারী প্রতিষ্ঠান ক্ষতির দূরবর্তী বা পরোক্ষ কারণ নয়, বরং সরাসরি ও প্রধান কারণটি বিবেচনা করে দাবি মঞ্জুর বা বাতিল করে।
-
ক্ষতির নিকটতম কারণ (Proximate Cause) হলো সেই প্রধান কারণ যা থেকে ক্ষতির সূত্রপাত হয়।
-
যদি ক্ষতির কারণটি পলিসিতে আবৃত (covered) থাকে, তবে দাবি গ্রহণযোগ্য হবে।
-
যদি কারণটি পলিসিতে আবৃত না থাকে, তবে দাবি অগ্রহণযোগ্য হবে।
-
এটি ক্ষতির বাজারমূল্য নির্ধারণ (Loss Assessment) এর সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
-
এটি Rate নির্ধারণ বা Policy Compliance সম্পর্কেও নয়।
-
এই নীতির উদ্দেশ্য শুধুমাত্র ক্ষতির প্রকৃত উৎস বা মূল কারণ শনাক্ত করা।

0
Updated: 2 days ago
একটি ব্যাংকের নিকট উত্তম জামানত কোনটি?
Created: 2 days ago
A
স্থায়ী আমানত রশিদ
B
ঋণপত্র
C
শেয়ার
D
ব্যাক্তিগত গ্যারান্টি
একটি স্থায়ী আমানত রশিদ (Fixed Deposit Receipt - FDR) ব্যাংকের কাছে সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও নিরাপদ জামানত, কারণ এটি সরাসরি ব্যাংক কর্তৃক ইস্যু করা একটি নিশ্চিত আমানত, যা সহজে নগদায়নযোগ্য এবং ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করে। এর মাধ্যমে ব্যাংক খুব দ্রুত অর্থ উদ্ধার করতে পারে, ফলে ঝুঁকি প্রায় শূন্য থাকে।
-
ঋণপত্র (Promissory Note): এটি একটি লিখিত দলিল যেখানে ঋণগ্রহীতা নির্দিষ্ট সময়ে অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে এটি নগদায়নের জন্য অতিরিক্ত আইনি প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হতে পারে এবং এর নিরাপত্তা ঋণগ্রহীতার আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভর করে।
-
শেয়ার (Shares): শেয়ারের বাজারমূল্য ক্রমাগত পরিবর্তিত হয়, তাই এটি একটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জামানত। শেয়ারের দাম হঠাৎ কমে গেলে ব্যাংকের ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হয়।
-
ব্যক্তিগত গ্যারান্টি (Personal Guarantee): এটি একটি প্রতিশ্রুতি মাত্র—ঋণগ্রহীতা ব্যর্থ হলে অন্য কেউ ঋণ পরিশোধ করবে। কিন্তু গ্যারান্টর নিজে আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে গেলে এটি কোনো কার্যকর নিরাপত্তা হিসেবে কাজ করে না।
সুতরাং, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে স্থায়ী আমানত রশিদ (FDR)-ই ব্যাংকের কাছে সবচেয়ে নিরাপদ ও সহজে নগদায়নযোগ্য জামানত।

0
Updated: 2 days ago
রক্ষনশীল ফার্ম কোনটি ব্যবহার করে?
Created: 2 days ago
A
উচ্চ মাত্রার অপারেটিং লিভারেজ
B
কম মাত্রার অপারেটিং লিভারেজ
C
উচ্চ স্থির খরচ
D
উচ্চ মুনাফা মার্জিন
রক্ষণশীল (Conservative) ফার্ম সাধারণত কম মাত্রার অপারেটিং লিভারেজ (Low Degree of Operating Leverage) ব্যবহার করে, কারণ তাদের লক্ষ্য থাকে ঝুঁকি হ্রাস এবং স্থিতিশীল মুনাফা নিশ্চিত করা।
বিস্তারিতভাবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যায়ঃ
-
অপারেটিং লিভারেজ (Operating Leverage) নির্দেশ করে বিক্রয়ের পরিবর্তনে প্রতিষ্ঠানের লাভ (EBIT) কতটা পরিবর্তিত হয়, যা মূলত স্থির খরচের (Fixed Cost) অনুপাতের ওপর নির্ভর করে।
-
উচ্চ অপারেটিং লিভারেজ মানে প্রতিষ্ঠানের স্থির খরচ বেশি — ফলে বিক্রয় কমলে লাভ দ্রুত হ্রাস পায়, আর বিক্রয় বাড়লে লাভ দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
-
রক্ষণশীল ফার্ম ঝুঁকি এড়াতে চায়, তাই তারা স্থির খরচ যতটা সম্ভব কম রাখে এবং পরিবর্তনশীল খরচ (Variable Cost) বেশি রাখে।
-
এতে করে বিক্রয় হ্রাস পেলেও ক্ষতির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম হয়।
-
উচ্চ অপারেটিং লিভারেজ = উচ্চ ঝুঁকি, যা রক্ষণশীল নীতির পরিপন্থী।
-
তাই রক্ষণশীল কোম্পানিগুলো Low Operating Leverage বেছে নেয়, যাতে আয় স্থিতিশীল থাকে এবং আর্থিক ঝুঁকি কমে।

0
Updated: 2 days ago
কোন ইসলামী বিনিয়োগ পদ্ধতি লিজের অনুরূপ, যেখানে মালিকানা ব্যাংকের কাছে থাকে কিন্তু ব্যবহারের অধিকার থাকে গ্রাহকের?
Created: 3 days ago
A
সালাম
B
ইজারা
C
ইস্তিসনা
D
মুদারাবা
ইসলামী বিনিয়োগ পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরণের চুক্তি ব্যবহৃত হয় যা শরিয়াহ-সম্মতভাবে লেনদেন ও মুনাফা বণ্টনের সুযোগ দেয়। এসব চুক্তির লক্ষ্য হলো সুদমুক্ত আর্থিক ব্যবস্থার মাধ্যমে ন্যায়সঙ্গত বিনিয়োগ ও অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করা।
-
ইজারা (Ijara): এটি ইসলামিক লিজিং পদ্ধতি, যেখানে ব্যাংক সম্পদের মালিকানা ধরে রাখে এবং গ্রাহককে নির্দিষ্ট ভাড়ার বিনিময়ে সম্পদ ব্যবহারের অধিকার দেয়। গ্রাহক মূলধন ফেরত না দিয়ে শুধুমাত্র ভাড়া প্রদান করে, এবং লিজের শেষে সম্পদটি ক্রয়ের সুযোগ পেতে পারে। প্রচলিত লিজিংয়ের সঙ্গে এর সাদৃশ্য রয়েছে, তবে ইজারায় সুদের কোনো ধারণা নেই।
-
সালাম (Salam): এটি একটি অগ্রিম ক্রয় চুক্তি, যেখানে ক্রেতা পুরো মূল্য আগেই প্রদান করে এবং বিক্রেতা ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য সরবরাহ করতে বাধ্য থাকে। এটি কৃষি বা মৌসুমি পণ্যের ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়।
-
ইস্তিসনা (Istisna): এখানে কোনো পণ্য, ভবন বা অবকাঠামো ভবিষ্যতে তৈরি বা নির্মাণের জন্য অর্ডার দেওয়া হয়। ব্যাংক বা বিনিয়োগকারী এই উৎপাদন বা নির্মাণ প্রক্রিয়ায় অর্থায়ন করে এবং কাজ সম্পন্ন হলে চুক্তি অনুযায়ী পণ্য হস্তান্তর করা হয়। এটি সাধারণত শিল্প বা নির্মাণ প্রকল্পে প্রযোজ্য।
-
মুদারাবা (Mudaraba): এটি অংশীদারিত্বভিত্তিক একটি চুক্তি, যেখানে এক পক্ষ মূলধন সরবরাহ করে (Rabb-ul-Maal) এবং অন্য পক্ষ ব্যবসা পরিচালনা করে (Mudarib)। লাভ পূর্বনির্ধারিত অনুপাতে বণ্টন হয়, তবে ক্ষতির দায়ভার বহন করে শুধুমাত্র মূলধনদাতা, যদি মুদারিবের অবহেলা বা অনিয়ম না থাকে।

0
Updated: 3 days ago