মূলধন বাজেটিং পদ্ধতির কাজ কি?
A
প্রকল্প গ্রহণ
B
বাট্টার হার নির্ণয়
C
লাভজনক প্রকল্প নির্বাচন
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
মূলধন বাজেটিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে লাভজনক প্রকল্প নির্বাচন করা। এটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের সম্ভাবনা যাচাই করতে সাহায্য করে এবং আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
এটি বিভিন্ন প্রকল্পের সম্ভাব্য নগদ প্রবাহ (cash flow) বিশ্লেষণ করে।
-
বিনিয়োগের ঝুঁকি মূল্যায়ন করে এবং ঝুঁকির মাত্রা অনুযায়ী বাট্টা হার নির্ধারণ করা হয়।
-
বিনিয়োগের কার্যকারিতা যাচাই করে কোন প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদে বেশি মুনাফা দেবে তা নির্ধারণ করে।
-
প্রকল্প গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত আসে মূলধন বাজেটিং প্রক্রিয়ার ফলাফল হিসেবে, এটি নিজে কাজ নয়।
-
বাট্টা হার নির্ণয় আসলে Discount Rate নির্ধারণের একটি ধাপ, যা মূলধন বাজেটিং পদ্ধতির সহায়ক অংশ।

0
Updated: 2 days ago
যদি বাট্টার হার = K হয়, তবে নিচের কোনটি সঠিক?
Created: 2 days ago
A
যখন K = IRR, NPV = 0
B
যখন K > IRR, NPV < 0
C
যখন IRR > K, NPV < 0
D
'ক' ও 'খ' উভয়ই
IRR (Internal Rate of Return) এবং NPV (Net Present Value) এর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, যা বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সম্পর্ক অনুযায়ী, মূলধনের খরচ (K) পরিবর্তনের সাথে সাথে NPV-এর মান পরিবর্তিত হয়।
পয়েন্টগুলো নিম্নরূপ
-
যখন K = IRR, তখন প্রকল্পের নিট বর্তমান মূল্য বা NPV = 0, কারণ ডিসকাউন্ট রেট এমন পর্যায়ে থাকে যেখানে নগদ প্রবাহের বর্তমান মূল্য বিনিয়োগের সমান হয়।
-
যখন K > IRR, তখন ডিসকাউন্ট রেট বেশি হওয়ায় ভবিষ্যৎ নগদ প্রবাহের বর্তমান মূল্য কমে যায়, ফলে NPV < 0 হয়।
-
যখন IRR > K, তখন ডিসকাউন্ট রেট কম হওয়ায় ভবিষ্যৎ নগদ প্রবাহের বর্তমান মূল্য বিনিয়োগের চেয়ে বেশি হয়, তাই NPV > 0 হয়।
-
সুতরাং, প্রদত্ত বিকল্প অনুযায়ী ‘ক’ ও ‘খ’ উভয়ই সঠিক, কারণ তৃতীয়টি ভুলভাবে NPV-কে নেতিবাচক দেখিয়েছে।

0
Updated: 2 days ago
ঋণের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহের সুবিধা কোনটি?
Created: 2 days ago
A
সুদ হ্রাস পায়
B
কর হ্রাস পায়
C
মুনাফা বৃদ্ধি পায়
D
তহবিল বৃদ্ধি পায়
যখন কোনো প্রতিষ্ঠান ঋণ গ্রহণ করে, তখন সেই ঋণের উপর প্রদত্ত সুদ (Interest Expense) কর হিসাবের সময় ব্যয় হিসেবে গণ্য হয়। ফলে এটি করযোগ্য আয় কমিয়ে কোম্পানিকে কর সাশ্রয়ের সুবিধা দেয়, যা Tax Shield নামে পরিচিত।
-
ঋণের সুদ করযোগ্য আয়ের হিসাবের আগে ব্যয় হিসেবে বাদ দেওয়া হয়, ফলে করযোগ্য আয় কমে যায়।
-
করযোগ্য আয় কমে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানের পরিশোধযোগ্য করের পরিমাণও কমে যায়।
-
এই সুবিধাকেই বলা হয় Tax Shield, যা কোম্পানির জন্য একটি আর্থিক সুবিধা সৃষ্টি করে।
-
ঋণভিত্তিক অর্থায়ন (Debt Financing) ব্যবহারের অন্যতম কারণ হলো এই কর সাশ্রয়ের সুযোগ।
-
অর্থাৎ, ঋণের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করলে কোম্পানি সুদের ব্যয় করযোগ্য আয় থেকে বাদ দিতে পারে, যা নিট মুনাফা বৃদ্ধি ও করের চাপ হ্রাসে সহায়তা করে।

0
Updated: 2 days ago
কোনো ব্যাংক যখন ব্যক্তিগত খাতে ঋণ দেয় তখন উক্ত ঋণের ঝুঁকি কত?
Created: 2 days ago
A
১০০ শতাংশ
B
৮০ শতাংশ
C
৬০ শতাংশ
D
৫০ শতাংশ
যখন কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক ব্যক্তিগত বা প্রাইভেট সেক্টরের গ্রাহককে ঋণ প্রদান করে, তখন সেই ঋণ ফেরত না পাওয়ার বা খেলাপির ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক Basel নির্দেশিকা অনুযায়ী এ ধরনের ঋণের জন্য ১০০% রিস্ক ওয়েট নির্ধারণ করেছে।
-
ব্যক্তিগত ঋণগুলো সাধারণত আয়, কর্মসংস্থান বা ব্যক্তিগত ব্যবসার উপর নির্ভরশীল, যা অনিশ্চিত হতে পারে।
-
প্রতিষ্ঠান বা সরকারি খাতের ঋণের তুলনায় ব্যক্তিগত ঋণের ঝুঁকি বেশি, কারণ এগুলোর গ্যারান্টি ও সম্পদভিত্তিক নিরাপত্তা কম থাকে।
-
Basel নির্দেশিকা অনুযায়ী রিস্ক ওয়েট (Risk Weight) হলো এমন একটি মান যা নির্ধারণ করে কোনো ঋণ বা সম্পদের বিপরীতে ব্যাংককে কত পরিমাণ মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে।
-
১০০% রিস্ক ওয়েট মানে হলো ব্যাংককে সেই ঋণের পুরো মূল্যের সমান ঝুঁকি বিবেচনা করে মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে।
-
এই নীতির উদ্দেশ্য হলো ব্যাংক যেন সম্ভাব্য ক্ষতির জন্য যথেষ্ট মূলধন সংরক্ষণ করে, যাতে ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
-
তাই ব্যক্তিগত ঋণ খাতে উচ্চ ঝুঁকির কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর রিস্ক ম্যানেজমেন্ট নীতি অনুসরণ করে।

0
Updated: 2 days ago