তহবিলের সবচেয়ে ব্যয়বহল উৎস কোনটি?
A
নতুন সাধারন শেয়ার
B
নতুন অগ্রাধিকার শেয়ার
C
নতুন ঋণ
D
সংরক্ষিত মুনাফা
উত্তরের বিবরণ
তহবিলের সবচেয়ে ব্যয়বহুল উৎস হলো নতুন সাধারণ শেয়ার (New Common Stock), কারণ এটি কোম্পানির জন্য উচ্চ মূলধন ব্যয়ের প্রতিনিধিত্ব করে। সাধারণ শেয়ারের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করলে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশিত রিটার্ন বেশি হয়, যা কোম্পানির খরচও বৃদ্ধি করে।
বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা যায়ঃ
-
সাধারণ শেয়ার (Common Stock):
-
শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির মুনাফার অংশীদার, তাই তারা তুলনামূলকভাবে উচ্চ রিটার্নের প্রত্যাশা করে।
-
কোম্পানি লভ্যাংশ দিতে আইনগতভাবে বাধ্য নয়, কিন্তু শেয়ারহোল্ডারদের প্রত্যাশা পূরণ না হলে বাজারমূল্য হ্রাস পেতে পারে।
-
সাধারণ শেয়ারের ঝুঁকি বেশি, কারণ অবসায়নের সময় (liquidation) তাদের দাবি সবার শেষে আসে।
-
এ কারণে বিনিয়োগকারীরা বেশি রিটার্ন দাবি করে, যা কোম্পানির জন্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল তহবিল উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
-
অগ্রাধিকার শেয়ার (Preferred Stock):
-
সাধারণ শেয়ারের তুলনায় কম ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ অগ্রাধিকার শেয়ারহোল্ডাররা নির্দিষ্ট লভ্যাংশ পেয়ে থাকে এবং অবসায়নের সময় তাদের দাবি সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের আগে নিষ্পত্তি হয়।
-
তাই এর মূলধন ব্যয় সাধারণ শেয়ারের তুলনায় কম।
-
-
ঋণ (Debt):
-
এটি সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল তহবিল উৎস, কারণ সুদ কর ছাড়যোগ্য (Tax-deductible)।
-
কোম্পানি সুদ প্রদানের মাধ্যমে ঋণের খরচ কমাতে পারে, যা সাধারণ শেয়ারের তুলনায় বেশি সাশ্রয়ী।
-
-
সংরক্ষিত মুনাফা (Retained Earnings):
-
এটি অভ্যন্তরীণ তহবিলের উৎস, যেখানে কোম্পানি মুনাফা পুনঃবিনিয়োগ করে নতুন প্রকল্পে ব্যবহার করে।
-
নতুন শেয়ার ইস্যু বা ঋণ গ্রহণের প্রয়োজন না থাকায় এর খরচ তুলনামূলকভাবে কম।
-
সুতরাং, তুলনামূলকভাবে নতুন সাধারণ শেয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল, এরপর অগ্রাধিকার শেয়ার, সংরক্ষিত মুনাফা, এবং সর্বশেষে ঋণ হলো সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল তহবিল উৎস।

0
Updated: 2 days ago
সময় ও সুদের হারের সাথে ভবিষ্যত মূল্যের সম্পর্ক?
Created: 2 days ago
A
শূন্য
B
ঋণাত্মক
C
ধনাত্মক
D
কোনোটিই নয়
সময় এবং সুদের হার — উভয়ের সাথেই ভবিষ্যৎ মূল্যের (Future Value) সম্পর্ক ধনাত্মক বা সমমুখী (positive relationship)। অর্থাৎ, সময় বা সুদের হার যত বাড়বে, বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ মূল্যও তত বৃদ্ধি পাবে; বিপরীতে, সময় বা সুদের হার কমলে ভবিষ্যৎ মূল্যও হ্রাস পাবে।
পয়েন্টগুলো নিম্নরূপ
-
সময়: সময়কাল যত দীর্ঘ হয়, চক্রবৃদ্ধি সুদের (compound interest) প্রভাবে ভবিষ্যৎ মূল্য তত দ্রুত বৃদ্ধি পায়, কারণ সুদ শুধু মূলধনের উপর নয়, আগের সুদের উপরও জমা হয়।
-
সুদের হার: সুদের হার যত বেশি হবে, প্রতি সময়কালে অর্জিত সুদের পরিমাণ তত বেশি হবে, ফলে ভবিষ্যৎ মূল্যও বৃদ্ধি পাবে।
-
ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণের সূত্র হলো FV = PV (1 + r)^n, যেখানে FV = ভবিষ্যৎ মূল্য, PV = বর্তমান মূল্য, r = সুদের হার, এবং n = সময়কাল।
-
যদিও সুদের হার ও ভবিষ্যৎ মূল্যের মধ্যে সম্পর্ক ধনাত্মক, তবুও এটি রৈখিক নয় (non-linear) — অর্থাৎ, সুদের হার দ্বিগুণ হলেও ভবিষ্যৎ মূল্য দ্বিগুণ হয় না, বরং চক্রবৃদ্ধি প্রভাবে আরো বেশি বৃদ্ধি পায়।
-
এই সম্পর্ক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত, ঋণ বিশ্লেষণ এবং আর্থিক পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

0
Updated: 2 days ago
নিচের কোনটি মূলধন বাজেটিং সিদ্ধান্ত?
Created: 2 days ago
A
সর্বোত্তম স্তরের মজুদ নির্ধারন
B
নতুন সরঞ্জামে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেয়া
C
প্রাপ্য হিসাব পরিচালনা করা
D
উপযুক্ত মূলধন কাঠামো নির্ধারন করা
মূলধন বাজেটিং সিদ্ধান্ত এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠান নতুন প্রকল্প বা সম্পদে বিনিয়োগের লাভজনকতা মূল্যায়ন করে। এটি সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ যেমন নতুন সরঞ্জাম ক্রয় বা নতুন কারখানা নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
-
মূলধন বাজেটিং সিদ্ধান্ত হলো নতুন সরঞ্জাম বা সম্পত্তিতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
-
এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয় প্রকল্পটি দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক হবে কি না।
-
ক) সর্বোত্তম স্তরের মজুদ নির্ধারণ একটি চলতি মূলধন ব্যবস্থাপনা (working capital management) সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত, এটি মূলধন বাজেটিং নয়।
-
গ) প্রাপ্য হিসাব পরিচালনা করাও চলতি মূলধন ব্যবস্থাপনার অংশ, যা দৈনন্দিন কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত।
-
ঘ) উপযুক্ত মূলধন কাঠামো নির্ধারণ করা হলো অর্থায়ন (financing) সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত, যেখানে কোম্পানি কীভাবে তহবিল সংগ্রহ করবে তা নির্ধারিত হয়।
-
তাই খ) নতুন সরঞ্জামে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো মূলধন বাজেটিং সিদ্ধান্তের সঠিক উদাহরণ, কারণ এটি দীর্ঘমেয়াদী সম্পদে বিনিয়োগের সাথে সম্পর্কিত।

0
Updated: 2 days ago
Dividend Discount Model (DDM) মূলত কোন তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে তৈরী?
Created: 2 days ago
A
শেয়ারের দাম ভবিষ্যৎ নগদ প্রবাহের বর্তমান মূল্যের সমান
B
শেয়ারের দাম ভবিষ্যত লভ্যাংশের সমান
C
শেয়ারের দাম সর্বদা EPS এর সমান
D
শেয়ারের দাম বাজার দ্বারা নির্ধারিত
ডিভিডেন্ড ডিসকাউন্ট মডেল বা DDM হলো একটি পদ্ধতি যা শেয়ারের মূল্য নির্ধারণে ব্যবহৃত হয় ভবিষ্যৎ লভ্যাংশের বর্তমান মূল্য হিসাবের মাধ্যমে। এই মডেল অনুযায়ী, একটি শেয়ারের প্রকৃত বা অন্তর্নিহিত মূল্য নির্ভর করে ভবিষ্যতে শেয়ারহোল্ডারদের প্রদেয় লভ্যাংশের ওপর, যা বর্তমান মূল্যে ছাড় (discount) দিয়ে গণনা করা হয়। এটি বাজারের ওঠানামা নয়, বরং আর্থিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করে।
-
DDM অনুযায়ী, শেয়ারের মূল্য = ভবিষ্যৎ লভ্যাংশের বর্তমান মূল্যগুলোর যোগফল।
-
এটি একটি quantitative valuation method, যা সংখ্যাগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে মূল্য নির্ধারণ করে।
-
শেয়ারের দাম ভবিষ্যৎ লভ্যাংশের সমান নয়, বরং ভবিষ্যৎ লভ্যাংশকে বর্তমান মূল্যে রূপান্তরিত করে মোট যোগফল নির্ধারণ করা হয়।
-
শেয়ারের দাম সর্বদা EPS (Earnings Per Share) এর সমান নয়, কারণ আয় (earnings) থেকে লভ্যাংশ প্রদান করা হয়, তবে সব আয় শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করা হয় না।
-
শেয়ারের দাম বাজার দ্বারা নির্ধারিত নয়, কারণ বাজারমূল্য পরিবর্তনশীল হলেও DDM শেয়ারের অন্তর্নিহিত মূল্য (intrinsic value) নির্ধারণ করে, যা বাস্তব আর্থিক ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো।
-
এই মডেল বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করে বুঝতে যে, কোনো শেয়ার অতিমূল্যায়িত (overvalued) না অবমূল্যায়িত (undervalued)।

0
Updated: 2 days ago