অর্থায়নে কার্যকরী মূলধন বলতে কী বুঝায়?
A
মোট সম্পদ
B
স্থায়ী সম্পদ
C
চলতি সম্পদ
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় মূলধনকে বলা হয় কার্যকরী মূলধন (Working Capital)। এটি প্রতিষ্ঠানের স্বল্পমেয়াদী আর্থিক স্বাস্থ্যের সূচক এবং চলতি সম্পদ ও চলতি দায়ের পার্থক্যের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়।
পয়েন্টগুলো নিম্নরূপ
-
কার্যকরী মূলধন = চলতি সম্পদ (Current Assets) – চলতি দায় (Current Liabilities)।
-
চলতি সম্পদ (Current Assets): এতে অন্তর্ভুক্ত হয় নগদ অর্থ, ব্যাংক ব্যালেন্স, গ্রাহক পাওনা (Debtors), মজুত দ্রব্য (Stock), স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগ ইত্যাদি। এগুলো এক বছরের মধ্যে নগদে রূপান্তরযোগ্য।
-
চলতি দায় (Current Liabilities): এতে অন্তর্ভুক্ত হয় সরবরাহকারীদের পাওনা (Creditors), স্বল্পমেয়াদী ঋণ (Short-term Loans), প্রদেয় খরচ, বেতন বা কর পরিশোধযোগ্য অঙ্ক ইত্যাদি, যা এক বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়।
-
কার্যকরী মূলধন একটি প্রতিষ্ঠানের তারল্য (Liquidity) ও অপারেশনাল দক্ষতা নির্দেশ করে। পর্যাপ্ত কার্যকরী মূলধন থাকলে প্রতিষ্ঠান নিয়মিত ব্যয় নির্বাহ ও ঋণ পরিশোধে সক্ষম হয়।
-
অপরদিকে, কার্যকরী মূলধনের ঘাটতি থাকলে প্রতিষ্ঠান তার দৈনন্দিন কার্যক্রমে আর্থিক সংকটে পড়তে পারে, যা উৎপাদন ও বিক্রয় প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে।
-
তাই, কার্যকরী মূলধনের সঠিক ব্যবস্থাপনা ব্যবসার স্থিতিশীলতা, তারল্য ও লাভজনকতা রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 2 days ago
মালিকানা না থাকলেও কোন প্রক্রিয়ায় শেয়ার বিক্রয় করা যায়?
Created: 2 days ago
A
মার্জিন ট্রেডিং
B
সর্ট সেলিং
C
লং সেলিং
D
সবগুলো
Short Selling হলো এমন একটি বিনিয়োগ কৌশল যেখানে বিনিয়োগকারী নিজের কাছে শেয়ার না থাকলেও অন্য কারও কাছ থেকে শেয়ার ধার নিয়ে বাজারে বিক্রি করেন, এবং ভবিষ্যতে দাম কমলে তা কম মূল্যে কিনে ফেরত দেন। এর ফলে বিনিয়োগকারী শেয়ারের মূল্য পতন থেকে লাভ অর্জন করেন।
পয়েন্টগুলো নিম্নরূপ
-
বিনিয়োগকারী শেয়ার ধার নিয়ে তা উচ্চ দামে বিক্রি করেন, পরে যখন দাম কমে যায়, তখন কম দামে কিনে মূল মালিককে ফেরত দেন।
-
উদাহরণ: বিনিয়োগকারী ১টি শেয়ার ধার নিয়ে ১০০ টাকায় বিক্রি করলেন, পরে দাম কমে ৮০ টাকায় এলে সেটি কিনে ফেরত দিলেন। ফলে লাভ = ২০ টাকা।
-
এই প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগকারীর লাভ নির্ভর করে শেয়ারের দামের পতনের উপর।
-
যদি দাম বেড়ে যায়, তাহলে বিনিয়োগকারী ক্ষতির সম্মুখীন হন, কারণ তখন তাকে বেশি দামে শেয়ার কিনে ফেরত দিতে হয়।
-
মার্জিন ট্রেডিং হলো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে বিনিয়োগকারী তার নিজস্ব মূলধনের পাশাপাশি ব্রোকারের কাছ থেকে অর্থ ধার নিয়ে শেয়ার কেনেন, ফলে তিনি তার সামর্থ্যের চেয়ে বেশি বিনিয়োগ করতে পারেন।
-
লং সেলিং বা Long Selling অর্থ নিজের মালিকানাধীন শেয়ার বিক্রি করা, যেখানে বিনিয়োগকারী প্রকৃতভাবে সেই শেয়ারের মালিক।
-
Short Selling সাধারণত অল্পমেয়াদী কৌশল, যা বাজার পতনের সময় লাভের সুযোগ তৈরি করে, তবে এতে উচ্চ ঝুঁকি থাকে, কারণ শেয়ারের দাম বিপরীতে বেড়ে গেলে সীমাহীন ক্ষতি হতে পারে।

0
Updated: 2 days ago
গ্রাহক চিহ্নিত করনের ক্ষেত্রে Psychographic Segmentation কিসের উপর ভিত্তি করে হয়?
Created: 2 days ago
A
বয়স ও আয়
B
শিক্ষা ও পেশা
C
জীবনধারা, মূল্যবোধ ও আগ্রহ
D
অবস্থান ও অঞ্চল
Psychographic Segmentation হলো এমন একটি বাজার বিভাজন পদ্ধতি, যেখানে গ্রাহকদের ভাগ করা হয় তাদের জীবনধারা (Lifestyle), মূল্যবোধ (Values), মনোভাব (Attitudes), আগ্রহ (Interests) এবং ব্যক্তিত্ব (Personality) অনুসারে। এটি শুধুমাত্র জনসংখ্যাগত বা ভৌগোলিক উপাদানের বাইরে গিয়ে গ্রাহকদের মানসিক ও সামাজিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বিভাজন করে।
পয়েন্ট আকারে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যায়ঃ
-
Demographic Segmentation: বয়স, লিঙ্গ, আয়, শিক্ষা, পেশা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে গ্রাহক শ্রেণিবিন্যাস।
-
Geographic Segmentation: গ্রাহকদের অবস্থান, যেমন দেশ, অঞ্চল, শহর বা জলবায়ু অনুযায়ী বিভাজন।
-
Psychographic Segmentation: গ্রাহকদের জীবনধারা, মূল্যবোধ, আগ্রহ, মনোভাব ও ব্যক্তিত্ব অনুসারে শ্রেণিবিন্যাস।
-
Behavioral Segmentation: গ্রাহকের ক্রয় আচরণ, ব্যবহার প্যাটার্ন, ব্র্যান্ড আনুগত্য ও ক্রয় উপলক্ষ অনুযায়ী বিভাজন।
-
Psychographic বিভাজন প্রতিষ্ঠানকে গ্রাহকের আচরণগত প্রেরণা ও মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে, ফলে বিপণন কৌশল আরও নির্দিষ্ট ও কার্যকর হয়।
সঠিক উত্তর: জীবনধারা, মূল্যবোধ ও আগ্রহ (Lifestyle, Values & Interests)

0
Updated: 2 days ago
ঋণের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহের সুবিধা কোনটি?
Created: 2 days ago
A
সুদ হ্রাস পায়
B
কর হ্রাস পায়
C
মুনাফা বৃদ্ধি পায়
D
তহবিল বৃদ্ধি পায়
যখন কোনো প্রতিষ্ঠান ঋণ গ্রহণ করে, তখন সেই ঋণের উপর প্রদত্ত সুদ (Interest Expense) কর হিসাবের সময় ব্যয় হিসেবে গণ্য হয়। ফলে এটি করযোগ্য আয় কমিয়ে কোম্পানিকে কর সাশ্রয়ের সুবিধা দেয়, যা Tax Shield নামে পরিচিত।
-
ঋণের সুদ করযোগ্য আয়ের হিসাবের আগে ব্যয় হিসেবে বাদ দেওয়া হয়, ফলে করযোগ্য আয় কমে যায়।
-
করযোগ্য আয় কমে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানের পরিশোধযোগ্য করের পরিমাণও কমে যায়।
-
এই সুবিধাকেই বলা হয় Tax Shield, যা কোম্পানির জন্য একটি আর্থিক সুবিধা সৃষ্টি করে।
-
ঋণভিত্তিক অর্থায়ন (Debt Financing) ব্যবহারের অন্যতম কারণ হলো এই কর সাশ্রয়ের সুযোগ।
-
অর্থাৎ, ঋণের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করলে কোম্পানি সুদের ব্যয় করযোগ্য আয় থেকে বাদ দিতে পারে, যা নিট মুনাফা বৃদ্ধি ও করের চাপ হ্রাসে সহায়তা করে।

0
Updated: 2 days ago