একটি ফার্মের ঋণ ও মূলধন মিশ্রনকে কি বলা হয়?
A
প্রাথমিক মূলধন
B
মূলধন কাঠামো
C
মুলধন গঠন
D
মুলধন ব্যয়
উত্তরের বিবরণ
মূলধন কাঠামো (Capital Structure) হলো একটি প্রতিষ্ঠানের ঋণ ও ইক্যুইটির অনুপাতভিত্তিক গঠন, যা নির্ধারণ করে প্রতিষ্ঠান তার কার্যক্রম ও সম্পদ অর্থায়নের জন্য কোন উৎস থেকে কতটা তহবিল ব্যবহার করবে। এটি একটি প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক নীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকি ও মুনাফার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে।
-
মূলধন মিশ্রণ (Capital Mix): এটি হলো বিভিন্ন উৎস — যেমন ঋণ (Debt), ইক্যুইটি (Equity), প্রেফারেন্স শেয়ার ইত্যাদি থেকে আনুপাতিক হারে তহবিল সংগ্রহ করা। সঠিক মিশ্রণ ব্যবসার আর্থিক স্থিতিশীলতা ও লাভজনকতা নির্ধারণে সহায়তা করে।
-
মূলধন ব্যয় (Cost of Capital): এটি প্রতিষ্ঠানের তহবিল ব্যবহারের খরচ, যা মূলধন কাঠামোর উপর নির্ভরশীল। কার্যকর মূলধন কাঠামো তৈরি করার মূল উদ্দেশ্য হলো মূলধন ব্যয়কে সর্বনিম্নে রাখা, যাতে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সর্বোচ্চ রিটার্ন নিশ্চিত করা যায়।
-
প্রাথমিক মূলধন (Initial Capital): এটি হলো ব্যবসার শুরুতে প্রতিষ্ঠাতাদের প্রদত্ত মূলধন, যা দিয়ে ব্যবসার প্রাথমিক সম্পদ ও কার্যক্রম শুরু করা হয়।
সুতরাং, একটি প্রতিষ্ঠানের মূলধন কাঠামো নির্দেশ করে কীভাবে ঋণ ও মূলধনের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রেখে দীর্ঘমেয়াদে অর্থায়ন করা হবে।

0
Updated: 2 days ago
যখন কোনো ব্যাংক ট্রেজারি বিলে বিনিয়োগ করে তখন এর ঝুঁকি কেমন থাকে?
Created: 2 days ago
A
৫ শতাংশ
B
১০ শতাংশ
C
২০ শতাংশ
D
শূন্য
ট্রেজারি বিল (Treasury Bill) হলো সরকারের পক্ষ থেকে ইস্যুকৃত স্বল্পমেয়াদী ঋণপত্র, যা সরকারের স্বল্পমেয়াদী অর্থায়নের প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি ঝুঁকিমুক্ত ও অত্যন্ত লিকুইড আর্থিক উপকরণ, যা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত।
-
সাধারণত ট্রেজারি বিলের মেয়াদ হয় ৯০ দিন, ১৮০ দিন বা ৩৬৫ দিন।
-
এটি সরকারি গ্যারান্টিযুক্ত (Government-backed) হওয়ায় এর ডিফল্ট ঝুঁকি কার্যত শূন্য (0%)।
-
ব্যাংক যখন ট্রেজারি বিল ক্রয় করে, তখন মূলধন ফেরতের নিশ্চয়তা থাকে, ফলে এটি ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হয়।
-
ট্রেজারি বিলের লেনদেন সহজ ও দ্রুত হওয়ায় এটি একটি উচ্চ লিকুইড সম্পদ (Highly Liquid Asset)।
-
ব্যাংকগুলো প্রায়ই এটি ব্যবহার করে তারল্য ব্যবস্থাপনা (Liquidity Management) ও নিরাপদ স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে।
-
যেহেতু এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির অধীনে পরিচালিত হয়, তাই এটি দেশের মুদ্রানীতি ও আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 2 days ago
কোনো ব্যাংক যখন ব্যক্তিগত খাতে ঋণ দেয় তখন উক্ত ঋণের ঝুঁকি কত?
Created: 2 days ago
A
১০০ শতাংশ
B
৮০ শতাংশ
C
৬০ শতাংশ
D
৫০ শতাংশ
যখন কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক ব্যক্তিগত বা প্রাইভেট সেক্টরের গ্রাহককে ঋণ প্রদান করে, তখন সেই ঋণ ফেরত না পাওয়ার বা খেলাপির ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক Basel নির্দেশিকা অনুযায়ী এ ধরনের ঋণের জন্য ১০০% রিস্ক ওয়েট নির্ধারণ করেছে।
-
ব্যক্তিগত ঋণগুলো সাধারণত আয়, কর্মসংস্থান বা ব্যক্তিগত ব্যবসার উপর নির্ভরশীল, যা অনিশ্চিত হতে পারে।
-
প্রতিষ্ঠান বা সরকারি খাতের ঋণের তুলনায় ব্যক্তিগত ঋণের ঝুঁকি বেশি, কারণ এগুলোর গ্যারান্টি ও সম্পদভিত্তিক নিরাপত্তা কম থাকে।
-
Basel নির্দেশিকা অনুযায়ী রিস্ক ওয়েট (Risk Weight) হলো এমন একটি মান যা নির্ধারণ করে কোনো ঋণ বা সম্পদের বিপরীতে ব্যাংককে কত পরিমাণ মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে।
-
১০০% রিস্ক ওয়েট মানে হলো ব্যাংককে সেই ঋণের পুরো মূল্যের সমান ঝুঁকি বিবেচনা করে মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে।
-
এই নীতির উদ্দেশ্য হলো ব্যাংক যেন সম্ভাব্য ক্ষতির জন্য যথেষ্ট মূলধন সংরক্ষণ করে, যাতে ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
-
তাই ব্যক্তিগত ঋণ খাতে উচ্চ ঝুঁকির কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর রিস্ক ম্যানেজমেন্ট নীতি অনুসরণ করে।

0
Updated: 2 days ago
Dividend Discount Model (DDM) মূলত কোন তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে তৈরী?
Created: 2 days ago
A
শেয়ারের দাম ভবিষ্যৎ নগদ প্রবাহের বর্তমান মূল্যের সমান
B
শেয়ারের দাম ভবিষ্যত লভ্যাংশের সমান
C
শেয়ারের দাম সর্বদা EPS এর সমান
D
শেয়ারের দাম বাজার দ্বারা নির্ধারিত
ডিভিডেন্ড ডিসকাউন্ট মডেল বা DDM হলো একটি পদ্ধতি যা শেয়ারের মূল্য নির্ধারণে ব্যবহৃত হয় ভবিষ্যৎ লভ্যাংশের বর্তমান মূল্য হিসাবের মাধ্যমে। এই মডেল অনুযায়ী, একটি শেয়ারের প্রকৃত বা অন্তর্নিহিত মূল্য নির্ভর করে ভবিষ্যতে শেয়ারহোল্ডারদের প্রদেয় লভ্যাংশের ওপর, যা বর্তমান মূল্যে ছাড় (discount) দিয়ে গণনা করা হয়। এটি বাজারের ওঠানামা নয়, বরং আর্থিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করে।
-
DDM অনুযায়ী, শেয়ারের মূল্য = ভবিষ্যৎ লভ্যাংশের বর্তমান মূল্যগুলোর যোগফল।
-
এটি একটি quantitative valuation method, যা সংখ্যাগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে মূল্য নির্ধারণ করে।
-
শেয়ারের দাম ভবিষ্যৎ লভ্যাংশের সমান নয়, বরং ভবিষ্যৎ লভ্যাংশকে বর্তমান মূল্যে রূপান্তরিত করে মোট যোগফল নির্ধারণ করা হয়।
-
শেয়ারের দাম সর্বদা EPS (Earnings Per Share) এর সমান নয়, কারণ আয় (earnings) থেকে লভ্যাংশ প্রদান করা হয়, তবে সব আয় শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করা হয় না।
-
শেয়ারের দাম বাজার দ্বারা নির্ধারিত নয়, কারণ বাজারমূল্য পরিবর্তনশীল হলেও DDM শেয়ারের অন্তর্নিহিত মূল্য (intrinsic value) নির্ধারণ করে, যা বাস্তব আর্থিক ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো।
-
এই মডেল বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করে বুঝতে যে, কোনো শেয়ার অতিমূল্যায়িত (overvalued) না অবমূল্যায়িত (undervalued)।

0
Updated: 2 days ago