সময় ও সুদের হারের সাথে ভবিষ্যত মূল্যের সম্পর্ক?
A
শূন্য
B
ঋণাত্মক
C
ধনাত্মক
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
সময় এবং সুদের হার — উভয়ের সাথেই ভবিষ্যৎ মূল্যের (Future Value) সম্পর্ক ধনাত্মক বা সমমুখী (positive relationship)। অর্থাৎ, সময় বা সুদের হার যত বাড়বে, বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ মূল্যও তত বৃদ্ধি পাবে; বিপরীতে, সময় বা সুদের হার কমলে ভবিষ্যৎ মূল্যও হ্রাস পাবে।
পয়েন্টগুলো নিম্নরূপ
-
সময়: সময়কাল যত দীর্ঘ হয়, চক্রবৃদ্ধি সুদের (compound interest) প্রভাবে ভবিষ্যৎ মূল্য তত দ্রুত বৃদ্ধি পায়, কারণ সুদ শুধু মূলধনের উপর নয়, আগের সুদের উপরও জমা হয়।
-
সুদের হার: সুদের হার যত বেশি হবে, প্রতি সময়কালে অর্জিত সুদের পরিমাণ তত বেশি হবে, ফলে ভবিষ্যৎ মূল্যও বৃদ্ধি পাবে।
-
ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণের সূত্র হলো FV = PV (1 + r)^n, যেখানে FV = ভবিষ্যৎ মূল্য, PV = বর্তমান মূল্য, r = সুদের হার, এবং n = সময়কাল।
-
যদিও সুদের হার ও ভবিষ্যৎ মূল্যের মধ্যে সম্পর্ক ধনাত্মক, তবুও এটি রৈখিক নয় (non-linear) — অর্থাৎ, সুদের হার দ্বিগুণ হলেও ভবিষ্যৎ মূল্য দ্বিগুণ হয় না, বরং চক্রবৃদ্ধি প্রভাবে আরো বেশি বৃদ্ধি পায়।
-
এই সম্পর্ক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত, ঋণ বিশ্লেষণ এবং আর্থিক পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

0
Updated: 2 days ago
ঋণ ব্যবস্থাপনায় 5’s of Credit'এর মধ্যে কোনটি ঋণগ্রহীতার ভবিষ্যৎ পরিশোধ ক্ষমতা মূল্যায়নের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত?
Created: 2 days ago
A
Character
B
Capacity
C
Collateral
D
Conditions
ঋণ ব্যবস্থাপনায় 5’s of Credit হলো এমন একটি মূল্যায়ন কাঠামো যা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ অনুমোদনের পূর্বে ঋণগ্রহীতার যোগ্যতা, সক্ষমতা ও ঝুঁকি মূল্যায়নের জন্য ব্যবহার করে। এটি ঋণ প্রদানের সিদ্ধান্তে একটি মৌলিক নির্দেশক হিসেবে কাজ করে।
-
Character (চরিত্র): এটি ঋণগ্রহীতার নৈতিকতা, সততা এবং আর্থিক দায়বদ্ধতার প্রতিফলন। ব্যাংক দেখে ঋণগ্রহীতা পূর্বে কতটা বিশ্বাসযোগ্যভাবে ঋণ পরিশোধ করেছে।
-
Capacity (ক্ষমতা): এটি ঋণগ্রহীতার ভবিষ্যৎ আয় বা নগদ প্রবাহ থেকে ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা বোঝায়। আয়, চাকরি বা ব্যবসার স্থিতিশীলতা এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
-
Capital (মূলধন): ঋণগ্রহীতার নিজস্ব আর্থিক অবদান বা বিনিয়োগকৃত মূলধন নির্দেশ করে। এটি ব্যাংককে দেখায় যে ঋণগ্রহীতার নিজেরও কিছু ঝুঁকি বা অংশীদারিত্ব রয়েছে।
-
Collateral (জামানত): এটি এমন সম্পদ যা ব্যাংক ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে গ্রহণ করে। ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ব্যাংক এই সম্পদ বিক্রি করে অর্থ উদ্ধার করতে পারে।
-
Conditions (শর্তাবলী): এটি বাজার পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক পরিবেশ এবং ঋণের শর্ত (যেমন সুদের হার, মেয়াদ, ব্যবহার উদ্দেশ্য) সম্পর্কিত মূল্যায়ন বোঝায়।
এই পাঁচটি উপাদান মিলেই ব্যাংক নির্ধারণ করে ঋণ প্রদানের ঝুঁকি কতটা যুক্তিসঙ্গত এবং ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধে কতটা সক্ষম ও বিশ্বাসযোগ্য।

0
Updated: 2 days ago
শেয়ারের প্রকৃত মূল্য (Intrinsic Value) যদি ১৫০ টাকা হয় এবং বাজার দর ১৩০ টাকা হয়, তবে কি সিদ্ধান্ত হবে?
Created: 2 days ago
A
শেয়ার অতিমূল্যায়িত
B
শেয়ার অবমূল্যায়িত
C
শেয়ার যথাযথ ভাবে মূল্যায়িত
D
শেয়ার বিক্রি করা উচিত
Intrinsic Value হলো কোনো শেয়ারের প্রকৃত বা অন্তর্নিহিত মূল্য, যা কোম্পানির বাস্তব আর্থিক অবস্থা, আয়, ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি ও ঝুঁকি ইত্যাদি বিশ্লেষণের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। এটি বাজারের ওঠানামা থেকে স্বাধীনভাবে কোম্পানির প্রকৃত সক্ষমতা প্রকাশ করে।
-
Market Price হলো সেই দাম, যেটিতে শেয়ারটি বর্তমানে শেয়ারবাজারে লেনদেন হচ্ছে, এবং এটি চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্যের ওপর নির্ভর করে।
-
যখন কোনো শেয়ারের Intrinsic Value বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি, যেমন প্রকৃত মূল্য ১৫০ টাকা এবং বাজার মূল্য ১৩০ টাকা, তখন শেয়ারটি অবমূল্যায়িত (Undervalued) বলে গণ্য হয়।
-
এই অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি সাধারণত একটি ভালো বিনিয়োগ সুযোগ, কারণ সময়ের সঙ্গে বাজারমূল্য তার প্রকৃত মূল্যের কাছাকাছি উঠতে পারে।
-
বিপরীতে, যদি Market Price প্রকৃত মূল্যের চেয়ে বেশি হয়, তবে শেয়ারটি অতিরিক্ত মূল্যায়িত (Overvalued) হিসেবে বিবেচিত হয় এবং বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

0
Updated: 2 days ago
কোনটি অভ্যন্তরীণ তহবিলের উৎস?
Created: 2 days ago
A
কর্পোরেট বন্ড
B
সাধারণ স্টক
C
বাণিজ্যিক পত্র
D
সংরক্ষিত আয় ও পরিশোধকৃত নগদ প্রবাহ
অভ্যন্তরীণ তহবিলের উৎস বলতে বোঝায় কোনো প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয় বা মুনাফার সেই অংশ, যা পুনঃবিনিয়োগ বা ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। এটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বনির্ভরতা বাড়ায় এবং বাইরের ঋণ বা বিনিয়োগের উপর নির্ভরতা কমায়।
-
সংরক্ষিত আয় (Retained Earnings): মুনাফার সেই অংশ যা লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ না করে ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণ বা বিনিয়োগে ব্যবহার করা হয়।
-
পরিশোধকৃত নগদ প্রবাহ (Free Cash Flow): ব্যয় ও বিনিয়োগ বাদ দিয়ে যে নগদ অর্থ অবশিষ্ট থাকে, সেটি পুনঃবিনিয়োগের জন্য ব্যবহার করা যায়।
-
অভ্যন্তরীণ তহবিল সাধারণত কম খরচে, কম ঝুঁকিতে এবং দ্রুত ব্যবহারের উপযোগী।
-
অন্যদিকে, কর্পোরেট বন্ড, সাধারণ স্টক ও বাণিজ্যিক পত্র হলো বাহ্যিক তহবিলের উৎস, যা বাইরের বাজার বা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়।
-
বাহ্যিক তহবিল সংগ্রহে সুদের খরচ, শেয়ার ইস্যুর ব্যয় ও বাজার ঝুঁকি যুক্ত থাকে, তাই ফার্মগুলো সাধারণত প্রথমে অভ্যন্তরীণ তহবিল ব্যবহার করতে চায়।
-
এই নীতি “Pecking Order Theory” দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়, যেখানে বলা হয়—কোম্পানিগুলো প্রথমে অভ্যন্তরীণ তহবিল, পরে ঋণ এবং সর্বশেষে ইক্যুইটি অর্থায়নকে অগ্রাধিকার দেয়।

0
Updated: 2 days ago