ক্ষতিপূরণ নীতি কোন বীমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
A
জীবন বীমা
B
দুর্ঘটনা বীমা
C
সম্পত্তি বীমা
D
সবগুলো
উত্তরের বিবরণ
বিমার মূল উদ্দেশ্য হলো ক্ষতির আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান, যাতে বিমাগ্রহীতা কোনো দুর্ঘটনা, বিপর্যয় বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ফলে আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত না হন। বিমা মূলত ঝুঁকি ভাগাভাগির একটি প্রক্রিয়া, যেখানে বিমাকারী ক্ষতির বিপরীতে বিমাগ্রহীতাকে নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ প্রদান করে।
-
সম্পত্তি বিমা (Property Insurance)-এর ক্ষেত্রে, যেমন অগ্নিবিমা বা সামুদ্রিক বিমা, বিমাকারী প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ (Indemnity) প্রদান করে।
-
নৌবিমা (Marine Insurance)-এর মাধ্যমে জাহাজ, মালামাল ও সামুদ্রিক পরিবহনের সময় সংঘটিত দুর্ঘটনা বা বিপদের ক্ষতি পূরণ করা হয়, যা বিমা ব্যবসায়ের প্রথম রূপ হিসেবে পরিচিত।
-
অগ্নিবিমা (Fire Insurance) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সুরক্ষা দেওয়ার জন্য, যাতে ক্ষতির পর পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়।
-
পরবর্তীতে সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট সব বিমাতেই এই ক্ষতিপূরণের নীতি (Principle of Indemnity) কার্যকর থাকে, অর্থাৎ বিমাগ্রহীতা যেন না লাভবান হন, বরং প্রকৃত ক্ষতি পূরণ পান।
-
জীবন বিমা (Life Insurance)-এর ক্ষেত্রে, ক্ষতির পরিমাণ আর্থিকভাবে নিরূপণ করা যায় না, কারণ মানুষের জীবনের কোনো নির্দিষ্ট আর্থিক মূল্য নির্ধারণ সম্ভব নয়। তাই একে ক্ষতিপূরণের চুক্তি নয়, বরং নিশ্চয়তার চুক্তি (Contract of Assurance) বলা হয়, যেখানে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণে নির্ধারিত অর্থ প্রদান করা হয়।

0
Updated: 2 days ago
একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক তার মূলধনের সর্বোচ্চ কত শতাংশ একজন গ্রাহককে ঋণ দিতে পারে?
Created: 2 days ago
A
২০ শতাংশ
B
৩০ শতাংশ
C
৮ শতাংশ
D
২৫ শতাংশ
একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক তার মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত একজন একক গ্রাহককে ঋণ দিতে পারে, যা ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী নির্ধারিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। এই নীতির উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করা এবং কোনো একক গ্রাহকের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা কমানো।
-
এই সীমা ঋণ ঝুঁকি (Credit Risk) হ্রাসে সহায়তা করে, কারণ একজন গ্রাহকের ঋণ খেলাপি হলে পুরো ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা বিপন্ন হতে পারে।
-
মূলধনের ২৫ শতাংশ হিসাব করা হয় ব্যাংকের paid-up capital, reserve ও retained earnings এর ভিত্তিতে।
-
এই নিয়ম নিশ্চিত করে যে ব্যাংক তার ঋণপোর্টফোলিওকে বৈচিত্র্যময় (diversified) রাখবে এবং বিভিন্ন খাতে ঋণ বিতরণ করবে।
-
এর ফলে ব্যাংকের liquidity ও solvency বজায় থাকে এবং আর্থিক ব্যবস্থার সামগ্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষা পায়।
-
এই সীমা লঙ্ঘন করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক (বাংলাদেশ ব্যাংক) কর্তৃক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে, যেমন জরিমানা বা অন্যান্য নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ।

0
Updated: 2 days ago
একটি ফার্মের ঋণ ও মূলধন মিশ্রনকে কি বলা হয়?
Created: 2 days ago
A
প্রাথমিক মূলধন
B
মূলধন কাঠামো
C
মুলধন গঠন
D
মুলধন ব্যয়
মূলধন কাঠামো (Capital Structure) হলো একটি প্রতিষ্ঠানের ঋণ ও ইক্যুইটির অনুপাতভিত্তিক গঠন, যা নির্ধারণ করে প্রতিষ্ঠান তার কার্যক্রম ও সম্পদ অর্থায়নের জন্য কোন উৎস থেকে কতটা তহবিল ব্যবহার করবে। এটি একটি প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক নীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকি ও মুনাফার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে।
-
মূলধন মিশ্রণ (Capital Mix): এটি হলো বিভিন্ন উৎস — যেমন ঋণ (Debt), ইক্যুইটি (Equity), প্রেফারেন্স শেয়ার ইত্যাদি থেকে আনুপাতিক হারে তহবিল সংগ্রহ করা। সঠিক মিশ্রণ ব্যবসার আর্থিক স্থিতিশীলতা ও লাভজনকতা নির্ধারণে সহায়তা করে।
-
মূলধন ব্যয় (Cost of Capital): এটি প্রতিষ্ঠানের তহবিল ব্যবহারের খরচ, যা মূলধন কাঠামোর উপর নির্ভরশীল। কার্যকর মূলধন কাঠামো তৈরি করার মূল উদ্দেশ্য হলো মূলধন ব্যয়কে সর্বনিম্নে রাখা, যাতে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সর্বোচ্চ রিটার্ন নিশ্চিত করা যায়।
-
প্রাথমিক মূলধন (Initial Capital): এটি হলো ব্যবসার শুরুতে প্রতিষ্ঠাতাদের প্রদত্ত মূলধন, যা দিয়ে ব্যবসার প্রাথমিক সম্পদ ও কার্যক্রম শুরু করা হয়।
সুতরাং, একটি প্রতিষ্ঠানের মূলধন কাঠামো নির্দেশ করে কীভাবে ঋণ ও মূলধনের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রেখে দীর্ঘমেয়াদে অর্থায়ন করা হবে।

0
Updated: 2 days ago
ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মধ্যে পার্থক্য হলো
Created: 2 days ago
A
পিন সুরক্ষা
B
তহবিলের উৎস
C
ATM নেটওয়ার্ক
D
সুদের হার
ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড উভয়ই ইলেকট্রনিক পেমেন্টের সুবিধা প্রদান করে, তবে তাদের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হলো তহবিলের উৎস (Source of Funds)—অর্থাৎ, অর্থ কোথা থেকে আসে।
-
ডেবিট কার্ড: ব্যবহারকারী যখন ডেবিট কার্ড দিয়ে লেনদেন করে, তখন অর্থ সরাসরি তার নিজের ব্যাংক হিসাব থেকে কাটা যায়। অর্থাৎ ব্যালেন্স তাৎক্ষণিকভাবে কমে যায়, এবং ব্যাংক কোনো ঋণ প্রদান করে না।
-
ক্রেডিট কার্ড: এখানে ব্যাংক ব্যবহারকারীকে নির্দিষ্ট একটি ঋণসীমা (Credit Limit) পর্যন্ত খরচ করার অনুমতি দেয়। ব্যবহারকারী পরে নির্দিষ্ট সময়ে সেই বিল পরিশোধ করে, আর সময়মতো না দিলে সুদ (Interest) প্রযোজ্য হয়।
-
PIN সুরক্ষা: উভয় কার্ডেই নিরাপত্তার জন্য Personal Identification Number (PIN) ব্যবহৃত হয়।
-
ATM নেটওয়ার্ক: উভয় ধরনের কার্ডই নগদ উত্তোলন ও ব্যালেন্স যাচাইয়ের জন্য ATM মেশিনে ব্যবহার করা যায়।
-
সুদের হার: এটি পার্থক্যের ফল, কারণ সুদের ধারণা শুধুমাত্র ক্রেডিট কার্ডে প্রযোজ্য হয়—ডেবিট কার্ডে নয়।
-
সারসংক্ষেপে, ডেবিট কার্ড হলো নিজের অর্থ ব্যবহার করার উপায়, আর ক্রেডিট কার্ড হলো ব্যাংকের অর্থ অস্থায়ীভাবে ব্যবহার করে পরবর্তীতে পরিশোধ করার ব্যবস্থা।

0
Updated: 2 days ago