নীট মুনাফা হতে বিনিয়োগ প্রয়োজনীয়তা মেটানোর পর অবশিষ্ট অর্থ ডিভিডেন্ড দেয়া হলে তাকে বলা হয়?
A
Bird-in-Hand Policy
B
Stable Dividend Policy
C
Residual Dividend Policy
D
Extra Dividend Policy
উত্তরের বিবরণ
Residual Dividend Policy হলো এমন একটি লভ্যাংশ নীতি যেখানে কোম্পানি প্রথমে নিজের বিনিয়োগের প্রয়োজন (Investment Needs) পূরণ করে, তারপর যদি অর্থ অবশিষ্ট থাকে, তখনই সেই অংশ শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে ডিভিডেন্ড হিসেবে বিতরণ করে। এই নীতি মূলত কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদী বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দেয়, ডিভিডেন্ড প্রদানে নয়।
পয়েন্টগুলো নিম্নরূপ
-
এই নীতিতে বিনিয়োগের সুযোগ ও অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের প্রয়োজন আগে বিবেচনা করা হয়, যাতে কোম্পানি বাইরের ঋণের উপর নির্ভরশীল না হয়।
-
বিনিয়োগের পর যদি অতিরিক্ত লাভ থাকে, তখনই শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ বিতরণ করা হয়।
-
এর ফলে লভ্যাংশের পরিমাণ প্রতি বছর স্থিতিশীল না-ও হতে পারে, কারণ তা নির্ভর করে কোম্পানির লাভ ও বিনিয়োগ চাহিদার উপর।
-
Bird-in-Hand Policy: এই নীতিতে শেয়ারহোল্ডাররা উচ্চ ও স্থিতিশীল লভ্যাংশকে বেশি মূল্যবান মনে করেন, কারণ নগদ ডিভিডেন্ডকে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ লাভের চেয়ে নিরাপদ ধরা হয়।
-
Stable Dividend Policy: কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের নিয়মিত ও স্থিতিশীল হারে ডিভিডেন্ড প্রদান করে, যাতে তাদের আয়ের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।
-
Extra Dividend Policy: কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোম্পানি অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করলে বা বিশেষ উপলক্ষে অতিরিক্ত বা বিশেষ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে।
-
তুলনামূলকভাবে, Residual Policy বিনিয়োগকেন্দ্রিক, যেখানে অন্য নীতিগুলো শেয়ারহোল্ডারদের আয় ও সন্তুষ্টির দিকে বেশি মনোযোগ দেয়।

0
Updated: 2 days ago
বেশীরভাগ মূলধন বাজেটে নিচের কোন বিষয়ের উপর জোর দেয়া হয়?
Created: 2 days ago
A
রিপোর্ট কৃত আয়ে
B
নগদ প্রবাহে
C
স্বল্প মেয়াদী মুনাফায়
D
শেয়ারহোল্ডারদের সম্পদ সর্বাধিকরনে
মূলধন বাজেটিং প্রক্রিয়ায় নগদ প্রবাহ (Cash Flow)-এর উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়, কারণ এটি একটি প্রকল্পের বাস্তব আর্থিক কার্যকারিতা ও দীর্ঘমেয়াদী লাভজনকতা সবচেয়ে সঠিকভাবে প্রতিফলিত করে। হিসাবভুক্ত আয় প্রায়শই নন-ক্যাশ আইটেম যেমন অবচয় দ্বারা প্রভাবিত হয়, কিন্তু নগদ প্রবাহ সরাসরি দেখায় প্রকল্প থেকে কত টাকা বাস্তবে আসছে বা যাচ্ছে।
পয়েন্টগুলো নিম্নরূপ
-
নগদ প্রবাহ প্রকল্পের প্রকৃত নগদ আগমন (inflow) ও বহির্গমন (outflow) প্রদর্শন করে, যা বিনিয়োগ মূল্যায়নের জন্য অপরিহার্য।
-
রিপোর্ট করা আয় বা স্বল্পমেয়াদী মুনাফা কোনো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যবসার হিসাবভিত্তিক ফলাফল, যা প্রকল্পের দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব ও নগদ প্রাপ্তির ক্ষমতা প্রতিফলিত করে না।
-
মূলধন বাজেটিংয়ের লক্ষ্য হলো প্রকল্পের দীর্ঘমেয়াদী লাভজনকতা নির্ধারণ করা, তাই এতে প্রকৃত নগদ প্রবাহকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়।
-
নন-ক্যাশ ব্যয় (যেমন অবচয় বা অবমূল্যায়ন) প্রকৃত নগদের বহির্গমন নয়, তাই এগুলো নগদ প্রবাহ বিশ্লেষণে বাদ দেওয়া হয়।
-
শেয়ারহোল্ডারদের সম্পদ সর্বাধিককরণ মূলত নগদ প্রবাহ বৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদী লাভজনকতার ফলাফল হিসেবে আসে, যদিও এটি মূলধন বাজেটিংয়ের সরাসরি উদ্দেশ্য নয়।
-
এভাবে, নগদ প্রবাহ বিশ্লেষণ কোনো প্রকল্পের বাস্তব টিকে থাকা, পরিশোধ সক্ষমতা ও আর্থিক দক্ষতা নির্ধারণে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সূচক হিসেবে কাজ করে।

0
Updated: 2 days ago
যদি বাট্টার হার = K হয়, তবে নিচের কোনটি সঠিক?
Created: 2 days ago
A
যখন K = IRR, NPV = 0
B
যখন K > IRR, NPV < 0
C
যখন IRR > K, NPV < 0
D
'ক' ও 'খ' উভয়ই
IRR (Internal Rate of Return) এবং NPV (Net Present Value) এর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, যা বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সম্পর্ক অনুযায়ী, মূলধনের খরচ (K) পরিবর্তনের সাথে সাথে NPV-এর মান পরিবর্তিত হয়।
পয়েন্টগুলো নিম্নরূপ
-
যখন K = IRR, তখন প্রকল্পের নিট বর্তমান মূল্য বা NPV = 0, কারণ ডিসকাউন্ট রেট এমন পর্যায়ে থাকে যেখানে নগদ প্রবাহের বর্তমান মূল্য বিনিয়োগের সমান হয়।
-
যখন K > IRR, তখন ডিসকাউন্ট রেট বেশি হওয়ায় ভবিষ্যৎ নগদ প্রবাহের বর্তমান মূল্য কমে যায়, ফলে NPV < 0 হয়।
-
যখন IRR > K, তখন ডিসকাউন্ট রেট কম হওয়ায় ভবিষ্যৎ নগদ প্রবাহের বর্তমান মূল্য বিনিয়োগের চেয়ে বেশি হয়, তাই NPV > 0 হয়।
-
সুতরাং, প্রদত্ত বিকল্প অনুযায়ী ‘ক’ ও ‘খ’ উভয়ই সঠিক, কারণ তৃতীয়টি ভুলভাবে NPV-কে নেতিবাচক দেখিয়েছে।

0
Updated: 2 days ago
একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক তার মূলধনের সর্বোচ্চ কত শতাংশ একজন গ্রাহককে ঋণ দিতে পারে?
Created: 2 days ago
A
২০ শতাংশ
B
৩০ শতাংশ
C
৮ শতাংশ
D
২৫ শতাংশ
একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক তার মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত একজন একক গ্রাহককে ঋণ দিতে পারে, যা ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী নির্ধারিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। এই নীতির উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করা এবং কোনো একক গ্রাহকের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা কমানো।
-
এই সীমা ঋণ ঝুঁকি (Credit Risk) হ্রাসে সহায়তা করে, কারণ একজন গ্রাহকের ঋণ খেলাপি হলে পুরো ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা বিপন্ন হতে পারে।
-
মূলধনের ২৫ শতাংশ হিসাব করা হয় ব্যাংকের paid-up capital, reserve ও retained earnings এর ভিত্তিতে।
-
এই নিয়ম নিশ্চিত করে যে ব্যাংক তার ঋণপোর্টফোলিওকে বৈচিত্র্যময় (diversified) রাখবে এবং বিভিন্ন খাতে ঋণ বিতরণ করবে।
-
এর ফলে ব্যাংকের liquidity ও solvency বজায় থাকে এবং আর্থিক ব্যবস্থার সামগ্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষা পায়।
-
এই সীমা লঙ্ঘন করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক (বাংলাদেশ ব্যাংক) কর্তৃক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে, যেমন জরিমানা বা অন্যান্য নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ।

0
Updated: 2 days ago