বাজার ক্ষমতা (Markelt Efficiency) বলতে কি বুঝায়?
A
সব তথ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে সমানভাবে পৌঁছায়
B
সব কোম্পানীর সমান মুনাফা নিশ্চিত করা
C
লভ্যাংশ সব সময় নিশ্চিত থাকে
D
পূর্বের তথ্য ব্যবহার করে মুনাফা করা
উত্তরের বিবরণ
বাজার দক্ষতা (Market Efficiency) এমন একটি অর্থনৈতিক ধারণা যা বলে যে বাজারে সকল প্রাসঙ্গিক তথ্য দ্রুত ও সম্পূর্ণভাবে সিকিউরিটির দামে প্রতিফলিত হয়। ফলে কোনো বিনিয়োগকারী ধারাবাহিকভাবে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করতে পারে না, কারণ বাজারে অবমূল্যায়িত (Undervalued) বা অতিমূল্যায়িত (Overvalued) সিকিউরিটি থাকে না।
-
এই ধারণা Efficient Market Hypothesis (EMH)-এর ওপর ভিত্তি করে, যা অর্থনীতিবিদ ইউজিন ফামা (Eugene Fama) প্রণয়ন করেন।
-
বাজার দক্ষতার মূল শর্ত হলো: সকল বিনিয়োগকারীর কাছে একই তথ্য সমানভাবে এবং একই সময়ে পৌঁছানো।
-
এতে ধরে নেওয়া হয় যে বাজার অংশগ্রহণকারীরা যুক্তিসঙ্গত (Rational) আচরণ করে এবং তথ্য প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে দাম সমন্বয় ঘটে।
-
বাজার দক্ষতা সাধারণত তিন ধরনের হয়:
-
Weak Form Efficiency: এখানে শুধুমাত্র অতীত দামের তথ্য দামে প্রতিফলিত থাকে।
-
Semi-Strong Form Efficiency: এখানে প্রকাশিত সব পাবলিক তথ্য দামে অন্তর্ভুক্ত থাকে।
-
Strong Form Efficiency: এখানে এমনকি অভ্যন্তরীণ বা গোপন তথ্যও দামে প্রতিফলিত হয়।
-
-
এর ফলে, বাজার দক্ষ হলে কোনো বিনিয়োগকারী কেবল তথ্যের বিশ্লেষণ বা পূর্বাভাসের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে বাজারকে পরাজিত করতে পারে না।

0
Updated: 2 days ago
কোন প্রক্রিয়ায় শেয়ার বিক্রয়ের নিশ্চয়তা দেয়া হয়?
Created: 2 days ago
A
আন্ডার রাইটিং
B
রেজিস্ট্রেশন
C
প্রসপেকটাস
D
কোনোটিই নয়
আন্ডাররাইটিং (Underwriting) হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে বিনিয়োগ ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান নতুন শেয়ার বা সিকিউরিটিজ ইস্যুর বিক্রয় নিশ্চয়তা প্রদান করে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো, ইস্যুকারী কোম্পানি যেন বাজারে পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহ করতে পারে, এমনকি বিনিয়োগকারীদের চাহিদা কম হলেও।
-
আন্ডাররাইটার মূলত শেয়ার বিক্রয়ের গ্যারান্টি দেয়, অর্থাৎ বাজারে পুরো শেয়ার বিক্রি না হলে অবিক্রিত অংশটি নিজেরাই ক্রয় করে নেয়।
-
এর ফলে কোম্পানি নিরবচ্ছিন্ন অর্থায়নের নিশ্চয়তা পায় এবং মূলধন সংগ্রহে অনিশ্চয়তা কমে।
-
আন্ডাররাইটাররা সাধারণত বিনিয়োগ ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউস বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যারা ইস্যু প্রক্রিয়ায় ঝুঁকি গ্রহণ করে।
-
এই প্রক্রিয়ায় কোম্পানির শেয়ার মূল্য নির্ধারণ, বিপণন এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ সম্পর্কিত কার্যক্রমও পরিচালিত হয়।
-
আন্ডাররাইটিং মূলত প্রাথমিক শেয়ার ইস্যু (IPO) ও বন্ড ইস্যু-এর সময় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 2 days ago
ব্যাংক ও গ্রাহকের মধ্যে কোন সম্পর্কটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?
Created: 2 days ago
A
দেনাদার ও পাওনাদার
B
জামিনগ্রহিতা ও জামিন দাতা
C
প্রতিনিধি ও প্রধান
D
ট্রাস্টি ও সুবিধাভোগী
ব্যাংক ও গ্রাহকের সম্পর্ক মূলত দেনাদার ও পাওনাদার সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে গঠিত, যা ব্যাংকিং লেনদেনের মূল কাঠামো তৈরি করে। এই সম্পর্কের ধরন নির্ভর করে অর্থের প্রবাহ কোন দিকে হচ্ছে তার উপর।
-
যখন গ্রাহক ব্যাংকে টাকা জমা দেন, তখন ব্যাংক সেই অর্থ ব্যবহার করতে পারে, ফলে ব্যাংক হয় দেনাদার (Debtor) এবং গ্রাহক হন পাওনাদার (Creditor)।
-
বিপরীতে, যখন গ্রাহক ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেন, তখন গ্রাহক হন দেনাদার এবং ব্যাংক হয় পাওনাদার।
-
এই সম্পর্কের মাধ্যমেই ব্যাংক ও গ্রাহকের মধ্যে মৌলিক লেনদেনের ভিত্তি গড়ে ওঠে।
-
এছাড়াও ব্যাংক ও গ্রাহকের মধ্যে অছি (Trustee), এজেন্ট (Agent) বা বিনিয়োগ পরামর্শদাতা (Advisor) হিসেবেও সম্পর্ক থাকতে পারে, যা নির্ভর করে নির্দিষ্ট লেনদেন বা সেবার ধরন অনুযায়ী।
-
সারাংশে, ব্যাংক ও গ্রাহকের সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দু হলো আস্থা ও আর্থিক দায়বদ্ধতা, যা আর্থিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে।

0
Updated: 2 days ago
একটি পাবলিক কোম্পানি নতুন শেয়ার ইস্যু করলে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে?
Created: 2 days ago
A
সিকিউরিটিজের মূল্য নির্ধারন
B
ইস্যুটির অবলেখন সংক্রান্ত জাটলতা
C
স্প্রেড নির্ধারন
D
বিদ্যমান শেয়ারের মূলা হ্রাস
যখন একটি পাবলিক কোম্পানি নতুন শেয়ার ইস্যু করে, তখন সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দেয় বিদ্যমান শেয়ারের মূল্য হ্রাসে (Dilution of Existing Shares)। নতুন শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে শেয়ারের সংখ্যা বেড়ে যায়, ফলে পূর্ববর্তী শেয়ারহোল্ডারদের মালিকানার অংশ ও প্রতি শেয়ারে আয়ের হার (EPS) কমে যায়।
বিষয়টি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা যায়ঃ
-
নতুন শেয়ার ইস্যুর ফলে মোট শেয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, কিন্তু কোম্পানির মোট আয় অপরিবর্তিত থাকলে প্রতি শেয়ারে আয় (Earnings per Share) অনুপাতে কমে যায়।
-
এই অবস্থায় বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের মালিকানার শতকরা হার ও ভোটাধিকার হ্রাস পায়।
-
Dilution effect বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিতে নেতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ এটি তাদের প্রতি শেয়ারের সম্ভাব্য রিটার্ন কমিয়ে দেয়।
-
যদিও সিকিউরিটিজের মূল্য নির্ধারণ সাধারণত ব্যাংক বা ব্রোকারদের মাধ্যমে করা হয় এবং অবলেখন (Underwriting) বা স্প্রেড নির্ধারণে কিছু জটিলতা থাকতে পারে, তবুও এগুলো মূল সমস্যা নয়।
-
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো — বিদ্যমান শেয়ারের মূল্য ও শেয়ারহোল্ডারদের অংশীদারিত্ব হ্রাস পাওয়া, অর্থাৎ Dilution of Existing Shares।

0
Updated: 2 days ago