মুদ্রার চাহিদা বেড়ে গেলে বা সরবরাহ কমে গেলে অর্থনীতিতে কি ঘটে?
A
পণ্যের দাম কমে
B
সুদের হার বাড়ে
C
সুদের হার কমে
D
পণ্যের দাম বাড়ে
উত্তরের বিবরণ
যখন অর্থনীতিতে মুদ্রার চাহিদা বৃদ্ধি পায় বা সরবরাহ কমে যায়, তখন টাকার প্রাপ্যতা সীমিত হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় ব্যাংক ও বিনিয়োগকারীরা অর্থ ধার নেওয়ার জন্য বেশি প্রতিযোগিতা করে, যার ফলে ঋণের সুদের হার বৃদ্ধি পায়। এটি মুদ্রানীতি (Monetary Policy)-এর একটি মৌলিক নীতি অনুযায়ী ঘটে, যেখানে টাকার সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্যের মাধ্যমে সুদের হার নিয়ন্ত্রিত হয়।
-
মুদ্রার সরবরাহ কমে গেলে বাজারে অর্থের সংকট দেখা দেয়, ফলে সুদহার বাড়ে, কারণ ঋণ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
-
বিপরীতভাবে, যখন মুদ্রার সরবরাহ বেশি থাকে, তখন অর্থ সহজলভ্য হয়, প্রতিযোগিতা কমে এবং সুদের হার হ্রাস পায়।
-
পণ্যের দাম সরাসরি এই পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত নয়; এটি মূলত চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্যের ওপর নির্ভরশীল।
-
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতি ব্যবহার করে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখে।

0
Updated: 2 days ago
Portfolio Diversification এর মাধ্যমে ঝুঁকি হ্রাস সম্ভব হয় যখন সিকিউরিটি সমূহের রিটার্ন
Created: 2 days ago
A
খুব বেশী হয়
B
ধনাত্মকভাবে সম্পর্কযুক্ত হয়
C
ঋণাত্মকভাবে সম্পর্কযুক্ত হয়
D
সম্পর্কহীন হয়
Portfolio Diversification এমন একটি বিনিয়োগ কৌশল, যেখানে বিভিন্ন ধরনের সিকিউরিটি (যেমন শেয়ার, বন্ড, ডিবেঞ্চার ইত্যাদি) একত্র করে একটি পোর্টফোলিও তৈরি করা হয়, যাতে বিনিয়োগের সামগ্রিক ঝুঁকি কমানো যায়। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর হয় যখন সিকিউরিটিগুলোর মধ্যে ঋণাত্মক সম্পর্ক (Negatively Correlated) থাকে, অর্থাৎ একটির রিটার্ন বাড়লে অন্যটির রিটার্ন কমে।
পয়েন্ট আকারে ব্যাখ্যা:
-
ঋণাত্মক সম্পর্ক (Negative Correlation) মানে হলো দুটি সিকিউরিটির রিটার্ন বিপরীতমুখীভাবে পরিবর্তিত হয়।
-
যদি একটি সিকিউরিটির দাম বাড়ে, অন্যটির দাম কমে, ফলে একটির ক্ষতি অন্যটির লাভ দ্বারা সমন্বিত (offset) হয়।
-
এই প্রক্রিয়ায় মোট ঝুঁকি কমে যায়, কারণ পোর্টফোলিওর সামগ্রিক অস্থিরতা (volatility) হ্রাস পায়।
-
Diversification বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কার্যকর উপায়, যা একক সিকিউরিটির উপর নির্ভরতা কমায়।
-
সম্পূর্ণভাবে সম্পর্কহীন (uncorrelated) বা ঋণাত্মকভাবে সম্পর্কযুক্ত সম্পদের সমন্বয় পোর্টফোলিওর রিটার্ন স্থিতিশীল রাখে।
-
তাই আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকে, একটি সুষ্ঠু পোর্টফোলিও গঠনের জন্য ঋণাত্মকভাবে সম্পর্কযুক্ত সম্পদ নির্বাচন করা সর্বাধিক কার্যকর।

0
Updated: 2 days ago
এজেন্সি তত্ত্ব নিচের কোন বিষয়টি পরীক্ষা করে?
Created: 2 days ago
A
ফার্মের মালিক ও পরিচালকের মধ্যে সম্পর্ক
B
ফার্মের সম্পদের বীমা যোগ্যতা
C
লভ্যাংশ নীতি ও ফার্মের মূল্যের মধ্যে সম্পর্ক
D
শিল্পের অন্যান্য ফার্মের তুলনায় ফার্মের মূল্য
এজেন্সি তত্ত্ব (Agency Theory) একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক ধারণা, যা ফার্মের মালিক (শেয়ারহোল্ডার) এবং পরিচালক বা ব্যবস্থাপক (Manager)-এর মধ্যে সম্পর্ক বিশ্লেষণ করে। এই তত্ত্ব ব্যাখ্যা করে কীভাবে মালিকদের স্বার্থ রক্ষা করার দায়িত্বে থাকা পরিচালকরা মাঝে মাঝে নিজস্ব স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, যা মালিকদের আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
পয়েন্ট আকারে ব্যাখ্যা:
-
মূল উদ্দেশ্য হলো মালিক ও পরিচালকের মধ্যে দায়িত্ব, ক্ষমতা এবং স্বার্থের সংঘাত (Conflict of Interest) বিশ্লেষণ করা।
-
মালিকরা (Shareholders) তাদের মূলধন বিনিয়োগ করেন, আর পরিচালকরা (Managers) সেই মূলধন ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
-
সমস্যা দেখা দেয় যখন পরিচালকরা মালিকদের চেয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত লাভ বা লক্ষ্যকে অগ্রাধিকার দেয়।
-
এই অবস্থাকে বলা হয় এজেন্সি সমস্যা (Agency Problem), এবং এটি কমানোর জন্য উপযুক্ত তদারকি, প্রণোদনা (incentives), ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োজন।
-
খ) ফার্মের সম্পদের বীমা যোগ্যতা — এটি বীমা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার বিষয়, এজেন্সি তত্ত্বের নয়।
-
গ) লভ্যাংশ নীতি ও ফার্মের মূল্যের সম্পর্ক — এটি কর্পোরেট ফাইন্যান্সের আওতায় পড়ে।
-
ঘ) শিল্পের অন্যান্য ফার্মের তুলনায় ফার্মের মূল্য — এটি বাজার বিশ্লেষণ বা প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত আলোচনা।
-
তাই সঠিক উত্তর হলো ক) ফার্মের মালিক ও পরিচালকের মধ্যে সম্পর্ক, যা এজেন্সি তত্ত্বের মূল আলোচ্য বিষয়।

0
Updated: 2 days ago
বেশীরভাগ মূলধন বাজেটে নিচের কোন বিষয়ের উপর জোর দেয়া হয়?
Created: 2 days ago
A
রিপোর্ট কৃত আয়ে
B
নগদ প্রবাহে
C
স্বল্প মেয়াদী মুনাফায়
D
শেয়ারহোল্ডারদের সম্পদ সর্বাধিকরনে
মূলধন বাজেটিং প্রক্রিয়ায় নগদ প্রবাহ (Cash Flow)-এর উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়, কারণ এটি একটি প্রকল্পের বাস্তব আর্থিক কার্যকারিতা ও দীর্ঘমেয়াদী লাভজনকতা সবচেয়ে সঠিকভাবে প্রতিফলিত করে। হিসাবভুক্ত আয় প্রায়শই নন-ক্যাশ আইটেম যেমন অবচয় দ্বারা প্রভাবিত হয়, কিন্তু নগদ প্রবাহ সরাসরি দেখায় প্রকল্প থেকে কত টাকা বাস্তবে আসছে বা যাচ্ছে।
পয়েন্টগুলো নিম্নরূপ
-
নগদ প্রবাহ প্রকল্পের প্রকৃত নগদ আগমন (inflow) ও বহির্গমন (outflow) প্রদর্শন করে, যা বিনিয়োগ মূল্যায়নের জন্য অপরিহার্য।
-
রিপোর্ট করা আয় বা স্বল্পমেয়াদী মুনাফা কোনো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যবসার হিসাবভিত্তিক ফলাফল, যা প্রকল্পের দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব ও নগদ প্রাপ্তির ক্ষমতা প্রতিফলিত করে না।
-
মূলধন বাজেটিংয়ের লক্ষ্য হলো প্রকল্পের দীর্ঘমেয়াদী লাভজনকতা নির্ধারণ করা, তাই এতে প্রকৃত নগদ প্রবাহকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়।
-
নন-ক্যাশ ব্যয় (যেমন অবচয় বা অবমূল্যায়ন) প্রকৃত নগদের বহির্গমন নয়, তাই এগুলো নগদ প্রবাহ বিশ্লেষণে বাদ দেওয়া হয়।
-
শেয়ারহোল্ডারদের সম্পদ সর্বাধিককরণ মূলত নগদ প্রবাহ বৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদী লাভজনকতার ফলাফল হিসেবে আসে, যদিও এটি মূলধন বাজেটিংয়ের সরাসরি উদ্দেশ্য নয়।
-
এভাবে, নগদ প্রবাহ বিশ্লেষণ কোনো প্রকল্পের বাস্তব টিকে থাকা, পরিশোধ সক্ষমতা ও আর্থিক দক্ষতা নির্ধারণে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সূচক হিসেবে কাজ করে।

0
Updated: 2 days ago