কোন ধরনের মূলধনের জন্য লভ্যাংশ প্রদান করা হয়?
A
অনুমোদিত মূলধন
B
জারিকৃত মূলধন
C
পরিশোধিত মূলধন
D
তলবি মূলধন
উত্তরের বিবরণ
লভ্যাংশ (Dividend) প্রদান করা হয় শুধুমাত্র সেই মূলধনের উপর, যা শেয়ারহোল্ডাররা বাস্তবে কোম্পানিতে পরিশোধ করেছে, অর্থাৎ পরিশোধিত মূলধন (Paid-up Capital)। কারণ এটি কোম্পানির হাতে বাস্তবিকভাবে থাকা অর্থ, যা ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহারযোগ্য। অনুমোদিত বা জারিকৃত মূলধনের সম্পূর্ণ পরিমাণ কোম্পানির কাছে আসে না, তাই সেগুলোর উপর লভ্যাংশ প্রদান করা যৌক্তিক নয়।
পয়েন্টগুলো নিম্নরূপ
-
অনুমোদিত মূলধন (Authorized Capital): এটি হলো সর্বোচ্চ পরিমাণ মূলধন যা কোম্পানি আইনত শেয়ার ইস্যু করার অনুমতি পায়। এটি কোম্পানির সংবিধি (Memorandum of Association) দ্বারা নির্ধারিত হয়।
-
জারিকৃত মূলধন (Issued Capital): কোম্পানি অনুমোদিত মূলধনের একটি অংশ শেয়ারহোল্ডারদের কাছে ইস্যু করে, তবে এই অর্থের পুরোটা কোম্পানির হাতে আসে না যতক্ষণ না তা পরিশোধ করা হয়।
-
তলবি মূলধন (Called-up Capital): এটি জারিকৃত মূলধনের সেই অংশ যা কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে পরিশোধের জন্য আহ্বান করেছে, যদিও তা সম্পূর্ণ পরিশোধিত না-ও হতে পারে।
-
পরিশোধিত মূলধন (Paid-up Capital): এটি হলো তলবি মূলধনের সেই অংশ, যা শেয়ারহোল্ডাররা বাস্তবে পরিশোধ করেছে এবং কোম্পানির হাতে এসেছে।
-
যেহেতু কোম্পানি বাস্তব ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও লভ্যাংশ প্রদানের জন্য এই অর্থই ব্যবহার করতে পারে, তাই লভ্যাংশ প্রদান করা হয় শুধুমাত্র পরিশোধিত মূলধনের উপর।
-
এই নীতি কোম্পানির আর্থিক স্বচ্ছতা বজায় রাখে এবং অবাস্তব বা অসম্পূর্ণ মূলধনের উপর লভ্যাংশ বিতরণের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।

0
Updated: 2 days ago
ব্যাংক ও গ্রাহকের মধ্যে কোন সম্পর্কটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?
Created: 2 days ago
A
দেনাদার ও পাওনাদার
B
জামিনগ্রহিতা ও জামিন দাতা
C
প্রতিনিধি ও প্রধান
D
ট্রাস্টি ও সুবিধাভোগী
ব্যাংক ও গ্রাহকের সম্পর্ক মূলত দেনাদার ও পাওনাদার সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে গঠিত, যা ব্যাংকিং লেনদেনের মূল কাঠামো তৈরি করে। এই সম্পর্কের ধরন নির্ভর করে অর্থের প্রবাহ কোন দিকে হচ্ছে তার উপর।
-
যখন গ্রাহক ব্যাংকে টাকা জমা দেন, তখন ব্যাংক সেই অর্থ ব্যবহার করতে পারে, ফলে ব্যাংক হয় দেনাদার (Debtor) এবং গ্রাহক হন পাওনাদার (Creditor)।
-
বিপরীতে, যখন গ্রাহক ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেন, তখন গ্রাহক হন দেনাদার এবং ব্যাংক হয় পাওনাদার।
-
এই সম্পর্কের মাধ্যমেই ব্যাংক ও গ্রাহকের মধ্যে মৌলিক লেনদেনের ভিত্তি গড়ে ওঠে।
-
এছাড়াও ব্যাংক ও গ্রাহকের মধ্যে অছি (Trustee), এজেন্ট (Agent) বা বিনিয়োগ পরামর্শদাতা (Advisor) হিসেবেও সম্পর্ক থাকতে পারে, যা নির্ভর করে নির্দিষ্ট লেনদেন বা সেবার ধরন অনুযায়ী।
-
সারাংশে, ব্যাংক ও গ্রাহকের সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দু হলো আস্থা ও আর্থিক দায়বদ্ধতা, যা আর্থিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে।

0
Updated: 2 days ago
মেজনাইন ফাইন্যান্সিং কি ধরনের অর্থায়ন?
Created: 2 days ago
A
সম্পূর্ণ ঋণ ভিত্তিক অর্থায়ন
B
সম্পূর্ণ ইক্যুইটি ভিত্তিক অর্থায়ন
C
ঋণ ও ইক্যুইটির মধ্যবর্তী অর্থায়ন
D
পাবলিক প্রাইভেট অংশীদারিত্ব অর্থায়ন
মেজনাইন ফাইন্যান্সিং এমন এক ধরনের অর্থায়ন যেখানে ঋণ ও ইক্যুইটির বৈশিষ্ট্য একসাথে দেখা যায়। এটি সাধারণত তখন ব্যবহৃত হয় যখন কোনো প্রতিষ্ঠান মূলধনের ঘাটতি পূরণের জন্য ঐতিহ্যবাহী ঋণ বা শেয়ার বিক্রির মধ্যবর্তী সমাধান খোঁজে।
-
মেজনাইন ফাইন্যান্সিং (Mezzanine Financing) হলো ঋণ ও ইক্যুইটির মধ্যবর্তী অর্থায়ন, যাকে Hybrid Financing between Debt and Equity বলা হয়।
-
এতে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট সুদের হার অনুযায়ী পরিশোধ করা হয়, কিন্তু কোনো কারণে ঋণ পরিশোধ না হলে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান কোম্পানির ইক্যুইটি শেয়ার পাওয়ার সুযোগ পায়।
-
সম্পূর্ণ ঋণ ভিত্তিক অর্থায়নকে বলা হয় Debt Financing, যেখানে সুদসহ অর্থ ফেরত দেওয়া বাধ্যতামূলক এবং মালিকানার অংশীদারিত্ব থাকে না।
-
সম্পূর্ণ ইক্যুইটি ভিত্তিক অর্থায়নকে বলা হয় Equity Investment, যেখানে বিনিয়োগকারী কোম্পানির মালিকানার অংশীদার হন এবং লাভ-ক্ষতিতে অংশগ্রহণ করেন।
-
Public-Private Partnership (PPP) হলো এমন একটি প্রকল্প যেখানে সরকার ও বেসরকারি সংস্থা যৌথভাবে বিনিয়োগ ও পরিচালনা করে, যা অবকাঠামো উন্নয়ন ও বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 2 days ago
একজন পরিচালক তার ব্যাংক থেকে তার সরবরাহকৃত মূলধনের সর্বোচ্চ কত পরিমান ঋণ হিসেবে পেতে পারে?
Created: 2 days ago
A
৪০ শতাংশ
B
৪৫ শতাংশ
C
৫০ শতাংশ
D
৬০ শতাংশ
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিকা ও ব্যাংকিং নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো ব্যাংকের পরিচালক বা বোর্ড সদস্য তার নিজস্ব মূলধনের উপর ভিত্তি করে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারেন, তবে সেই ঋণের পরিমাণ তার প্রদত্ত মূলধনের সর্বোচ্চ ৫০% পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। এই নীতির মাধ্যমে ব্যাংকের সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়।
-
এই সীমা নির্ধারণের উদ্দেশ্য হলো পরিচালকদের স্বার্থের সংঘাত (Conflict of Interest) রোধ করা এবং ব্যাংকের সম্পদের অপব্যবহার ঠেকানো।
-
পরিচালকরা ব্যাংকের নীতি নির্ধারণে যুক্ত থাকায় তাদের অতিরিক্ত ঋণ সুবিধা গ্রহণ ব্যাংকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
-
তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সীমা নির্ধারণ করেছে যাতে পরিচালকরা নিজের অবস্থান ব্যবহার করে অযৌক্তিক সুবিধা নিতে না পারেন।
-
এই নীতি Basel নির্দেশিকা ও কর্পোরেট গভর্ন্যান্স নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
-
যদি কোনো পরিচালক এই সীমা অতিক্রম করে ঋণ গ্রহণ করেন, তা নীতিবহির্ভূত ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।

0
Updated: 2 days ago