অপারেটিং লিভারেজ কী পরিমাপ করে?
A
ব্যবসায়ীক ঝুঁকি
B
আর্থিক ঝুঁকি
C
উৎপাদন ঝুঁকি
D
তারল্য ঝুঁকি
উত্তরের বিবরণ
অপারেটিং লিভারেজ (Operating Leverage) এমন একটি ধারণা যা একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক ঝুঁকি (Business Risk) পরিমাপ করে। এটি দেখায় বিক্রয় পরিমাণে সামান্য পরিবর্তন হলে মুনাফায় কতটা প্রভাব পড়ে। স্থায়ী ব্যয় যত বেশি, অপারেটিং লিভারেজ তত বেশি হয়, ফলে বিক্রয় কমলে ক্ষতির পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং বিক্রয় বাড়লে মুনাফা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
-
অপারেটিং লিভারেজ বেশি হলে কোম্পানির ব্যবসায়িক ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি হয়, কারণ বিক্রয়ের পরিবর্তনে আয় এবং মুনাফা উভয়েই বড় ওঠানামা করে।
-
এটি মূলত স্থায়ী ব্যয় (Fixed Cost) ও চলতি ব্যয় (Variable Cost)-এর অনুপাতের উপর নির্ভর করে।
-
অপারেটিং লিভারেজ = অবদান মার্জিন / অপারেটিং আয়, যা আয়ের প্রতি বিক্রয় পরিবর্তনের সংবেদনশীলতা নির্ধারণ করে।
-
আর্থিক ঝুঁকি (Financial Risk): এটি Financial Leverage দ্বারা পরিমাপ করা হয়, যা ঋণ ব্যবহারের কারণে কোম্পানির সুদ প্রদানের বাধ্যবাধকতা থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিকে বোঝায়।
-
উৎপাদন ঝুঁকি (Production Risk): উৎপাদন প্রক্রিয়ার অনিশ্চয়তা, যেমন যন্ত্রপাতির ত্রুটি, কাঁচামালের ঘাটতি বা শ্রম অদক্ষতা ইত্যাদিকে নির্দেশ করে।
-
তারল্য ঝুঁকি (Liquidity Risk): এটি তখন ঘটে যখন কোম্পানি তার স্বল্পমেয়াদি দায়সমূহ নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়।
-
সারসংক্ষেপে, অপারেটিং লিভারেজ বিক্রয় পরিবর্তনের প্রভাবে মুনাফার ওঠানামা পরিমাপ করে এবং এটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক স্থিতিশীলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক।

0
Updated: 2 days ago
কোন ক্ষেত্রে প্রসপেকটাসের প্রয়োজন হয় না?
Created: 2 days ago
A
প্রাইভেট প্লেসমেন্ট
B
আইপিও
C
রাইট ইস্যু
D
কোনটিই নয়
প্রাইভেট প্লেসমেন্ট (Private Placement) হলো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে কোনো কোম্পানি সাধারণ জনগণের পরিবর্তে নির্দিষ্ট ও সীমিত সংখ্যক বিনিয়োগকারীর কাছে সরাসরি শেয়ার বা সিকিউরিটিজ বিক্রি করে। এই কারণে এ ধরনের অফারে প্রসপেক্টাস প্রকাশের প্রয়োজন হয় না, কারণ এখানে জনসাধারণের অংশগ্রহণ থাকে না।
পয়েন্টগুলো নিম্নরূপ
-
প্রাইভেট প্লেসমেন্ট সাধারণত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, উচ্চ সম্পদসম্পন্ন ব্যক্তি বা নির্দিষ্ট পার্টনারদের কাছে সীমাবদ্ধ থাকে।
-
এতে আইনি প্রক্রিয়া অপেক্ষাকৃত সহজ ও দ্রুত, কারণ জনসাধারণের কাছে বিজ্ঞপ্তি বা প্রসপেক্টাস প্রকাশের প্রয়োজন হয় না।
-
অন্যদিকে, IPO (Initial Public Offering) হলো কোম্পানির প্রথমবারের মতো জনসাধারণের কাছে শেয়ার বিক্রয়, যেখানে প্রসপেক্টাস প্রকাশ বাধ্যতামূলক। এতে কোম্পানির আর্থিক অবস্থা, ঝুঁকি, ব্যবসার প্রকৃতি ইত্যাদি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করতে হয়।
-
রাইট ইস্যু (Right Issue)-এর ক্ষেত্রেও প্রসপেক্টাস প্রয়োজন হয়, কারণ এটি বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের কাছে নতুন শেয়ার ইস্যু করার প্রক্রিয়া, যেখানে তাদের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য পূর্ণ তথ্য সরবরাহ করতে হয়।
-
এইভাবে, প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ও আইপিও/রাইট ইস্যুর মধ্যে মূল পার্থক্য হলো জনসাধারণের অংশগ্রহণ ও তথ্য প্রকাশের বাধ্যবাধকতা।

0
Updated: 2 days ago
সুকুক কী?
Created: 2 days ago
A
ঋণ
B
চেক
C
লাভ
D
বিনিয়োগ সার্টিফিকেট
সুকুক (Sukuk) হলো ইসলামী অর্থব্যবস্থার একটি বিনিয়োগ সার্টিফিকেট, যা কোনো বাস্তব সম্পদ, প্রকল্প বা ব্যবসায়িক উদ্যোগে অংশীদারিত্বের প্রতিনিধিত্ব করে। এটি প্রচলিত বন্ডের মতো ঋণপত্র নয়, কারণ ইসলামী শরিয়তে সুদ (riba) গ্রহণ ও প্রদান নিষিদ্ধ।
-
সুকুক বিনিয়োগকারীদের প্রকৃত সম্পদের মালিকানা অধিকার প্রদান করে, অর্থাৎ তারা সম্পদের ওপর আংশিক মালিকানা লাভ করে।
-
বিনিয়োগকারীরা সুকুক থেকে লাভ-ক্ষতি ভাগাভাগির ভিত্তিতে আয় পান, যা প্রকল্পের প্রকৃত পারফরম্যান্সের সঙ্গে সম্পর্কিত।
-
এটি সুদনির্ভর ঋণ নয়, বরং বাস্তব সম্পদভিত্তিক বিনিয়োগ, যা ইসলামী আর্থিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
-
সুকুকের মুনাফা হার পূর্বনির্ধারিত নয়, বরং ব্যবসা বা প্রকল্পের আয় থেকে বণ্টিত হয়।
-
এই কাঠামোর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা নৈতিক ও শরিয়তসম্মত উপায়ে আয় অর্জন করতে পারেন, যা ইসলামী পুঁজিবাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক উপকরণ হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 2 days ago
তহবিলের সবচেয়ে ব্যয়বহল উৎস কোনটি?
Created: 2 days ago
A
নতুন সাধারন শেয়ার
B
নতুন অগ্রাধিকার শেয়ার
C
নতুন ঋণ
D
সংরক্ষিত মুনাফা
তহবিলের সবচেয়ে ব্যয়বহুল উৎস হলো নতুন সাধারণ শেয়ার (New Common Stock), কারণ এটি কোম্পানির জন্য উচ্চ মূলধন ব্যয়ের প্রতিনিধিত্ব করে। সাধারণ শেয়ারের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করলে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশিত রিটার্ন বেশি হয়, যা কোম্পানির খরচও বৃদ্ধি করে।
বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা যায়ঃ
-
সাধারণ শেয়ার (Common Stock):
-
শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির মুনাফার অংশীদার, তাই তারা তুলনামূলকভাবে উচ্চ রিটার্নের প্রত্যাশা করে।
-
কোম্পানি লভ্যাংশ দিতে আইনগতভাবে বাধ্য নয়, কিন্তু শেয়ারহোল্ডারদের প্রত্যাশা পূরণ না হলে বাজারমূল্য হ্রাস পেতে পারে।
-
সাধারণ শেয়ারের ঝুঁকি বেশি, কারণ অবসায়নের সময় (liquidation) তাদের দাবি সবার শেষে আসে।
-
এ কারণে বিনিয়োগকারীরা বেশি রিটার্ন দাবি করে, যা কোম্পানির জন্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল তহবিল উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
-
অগ্রাধিকার শেয়ার (Preferred Stock):
-
সাধারণ শেয়ারের তুলনায় কম ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ অগ্রাধিকার শেয়ারহোল্ডাররা নির্দিষ্ট লভ্যাংশ পেয়ে থাকে এবং অবসায়নের সময় তাদের দাবি সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের আগে নিষ্পত্তি হয়।
-
তাই এর মূলধন ব্যয় সাধারণ শেয়ারের তুলনায় কম।
-
-
ঋণ (Debt):
-
এটি সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল তহবিল উৎস, কারণ সুদ কর ছাড়যোগ্য (Tax-deductible)।
-
কোম্পানি সুদ প্রদানের মাধ্যমে ঋণের খরচ কমাতে পারে, যা সাধারণ শেয়ারের তুলনায় বেশি সাশ্রয়ী।
-
-
সংরক্ষিত মুনাফা (Retained Earnings):
-
এটি অভ্যন্তরীণ তহবিলের উৎস, যেখানে কোম্পানি মুনাফা পুনঃবিনিয়োগ করে নতুন প্রকল্পে ব্যবহার করে।
-
নতুন শেয়ার ইস্যু বা ঋণ গ্রহণের প্রয়োজন না থাকায় এর খরচ তুলনামূলকভাবে কম।
-
সুতরাং, তুলনামূলকভাবে নতুন সাধারণ শেয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল, এরপর অগ্রাধিকার শেয়ার, সংরক্ষিত মুনাফা, এবং সর্বশেষে ঋণ হলো সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল তহবিল উৎস।

0
Updated: 2 days ago