মোট মার্জিন অনুপাত কোনটি সবচেয়ে ভালোভাবে বর্ণনা করে?
A
লিভারেজ অনুপাত
B
তারল্য অনুপাত
C
কাভারেজ অনুপাত
D
লাভজনকতা অনুপাত
উত্তরের বিবরণ
মোট মার্জিন অনুপাত (Gross Margin Ratio) হলো একটি লাভজনকতা অনুপাত (Profitability Ratio), যা কোম্পানির মোট মুনাফা ও নিট বিক্রয়ের মধ্যে সম্পর্ক পরিমাপ করে। এটি দেখায়, বিক্রয় আয়ের কত শতাংশ পণ্য বিক্রির খরচ বাদ দেওয়ার পর মুনাফা হিসেবে অবশিষ্ট থাকে, যা প্রতিষ্ঠানের লাভজনকতার দক্ষতা নির্দেশ করে।
-
লাভজনকতা অনুপাত (Profitability Ratio) কোনো প্রতিষ্ঠানের আয় থেকে কতটা মুনাফা অর্জিত হচ্ছে তা নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়।
-
লিভারেজ অনুপাত (Leverage Ratio) কোম্পানির ঋণ ও মালিকানা মূলধনের অনুপাত পরিমাপ করে, যা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ঝুঁকি ও ঋণ পরিশোধ সক্ষমতা নির্দেশ করে।
-
তারল্য অনুপাত (Liquidity Ratio) কোম্পানির স্বল্পমেয়াদী দায় পরিশোধ করার ক্ষমতা মূল্যায়ন করে, অর্থাৎ তাৎক্ষণিক নগদ প্রবাহের সক্ষমতা বোঝায়।
-
কাভারেজ অনুপাত (Coverage Ratio) কোম্পানি তার সুদ বা নির্দিষ্ট ব্যয় পরিশোধে কতটা সক্ষম তা নির্ধারণ করে, যা ঋণদাতাদের নিরাপত্তার সূচক হিসেবে কাজ করে।

0
Updated: 2 days ago
কোন ক্ষেত্রে প্রসপেকটাসের প্রয়োজন হয় না?
Created: 2 days ago
A
প্রাইভেট প্লেসমেন্ট
B
আইপিও
C
রাইট ইস্যু
D
কোনটিই নয়
প্রাইভেট প্লেসমেন্ট (Private Placement) হলো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে কোনো কোম্পানি সাধারণ জনগণের পরিবর্তে নির্দিষ্ট ও সীমিত সংখ্যক বিনিয়োগকারীর কাছে সরাসরি শেয়ার বা সিকিউরিটিজ বিক্রি করে। এই কারণে এ ধরনের অফারে প্রসপেক্টাস প্রকাশের প্রয়োজন হয় না, কারণ এখানে জনসাধারণের অংশগ্রহণ থাকে না।
পয়েন্টগুলো নিম্নরূপ
-
প্রাইভেট প্লেসমেন্ট সাধারণত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, উচ্চ সম্পদসম্পন্ন ব্যক্তি বা নির্দিষ্ট পার্টনারদের কাছে সীমাবদ্ধ থাকে।
-
এতে আইনি প্রক্রিয়া অপেক্ষাকৃত সহজ ও দ্রুত, কারণ জনসাধারণের কাছে বিজ্ঞপ্তি বা প্রসপেক্টাস প্রকাশের প্রয়োজন হয় না।
-
অন্যদিকে, IPO (Initial Public Offering) হলো কোম্পানির প্রথমবারের মতো জনসাধারণের কাছে শেয়ার বিক্রয়, যেখানে প্রসপেক্টাস প্রকাশ বাধ্যতামূলক। এতে কোম্পানির আর্থিক অবস্থা, ঝুঁকি, ব্যবসার প্রকৃতি ইত্যাদি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করতে হয়।
-
রাইট ইস্যু (Right Issue)-এর ক্ষেত্রেও প্রসপেক্টাস প্রয়োজন হয়, কারণ এটি বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের কাছে নতুন শেয়ার ইস্যু করার প্রক্রিয়া, যেখানে তাদের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য পূর্ণ তথ্য সরবরাহ করতে হয়।
-
এইভাবে, প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ও আইপিও/রাইট ইস্যুর মধ্যে মূল পার্থক্য হলো জনসাধারণের অংশগ্রহণ ও তথ্য প্রকাশের বাধ্যবাধকতা।

0
Updated: 2 days ago
কোন শেয়ার নতুন কোনো মূলধনের যোগান দেয় না?
Created: 2 days ago
A
সাধারন শেয়ার
B
রাইট শেয়ার
C
অগ্রাধিকার শেয়ার
D
বোনাস শেয়ার
বোনাস শেয়ার কোনো নতুন মূলধন যোগান দেয় না, কারণ এটি কোম্পানির ইতিমধ্যে অর্জিত সংরক্ষিত মুনাফা (retained earnings) থেকে ইস্যু করা হয়। এই শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের নতুন করে অর্থ প্রদান করতে হয় না; বরং কোম্পানি তার মুনাফার একটি অংশ শেয়ার আকারে বিতরণ করে।
পয়েন্ট আকারে ব্যাখ্যা:
-
বোনাস শেয়ার: এটি কোম্পানির মুনাফা থেকে বিনামূল্যে বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এর ফলে কোম্পানির শেয়ার মূলধন বৃদ্ধি পায়, কিন্তু নগদ অর্থের কোনো প্রবাহ ঘটে না।
-
এই প্রক্রিয়ায় কোম্পানির মোট সম্পদের পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকে, শুধুমাত্র মূলধনের গঠন (capital structure) পরিবর্তিত হয়।
-
সাধারণ শেয়ার (Ordinary Share): এটি নতুন বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে নগদ অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে কোম্পানির মূলধন বৃদ্ধি করে।
-
রাইট শেয়ার (Right Share): এটি বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের নির্দিষ্ট মূল্যে নতুন শেয়ার ক্রয়ের অধিকার দেয়, যার মাধ্যমে কোম্পানি নতুন মূলধন সংগ্রহ করে।
-
অগ্রাধিকার শেয়ার (Preference Share): এটিও নতুন মূলধন যোগানের জন্য ইস্যু করা হয়, যেখানে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পাওয়ার অধিকার রাখে।
-
সুতরাং, বোনাস শেয়ার কেবল লাভের পুনর্বণ্টন নির্দেশ করে, এটি নতুন মূলধনের উৎস নয়।

0
Updated: 2 days ago
নগদের পরিবর্তে লভ্যাংশ হিসেবে শেয়ার প্রদানকে কি বলে?
Created: 3 days ago
A
নগদ লভ্যাংশ
B
স্টক খন্ডন
C
স্টক ডিভিডেন্ড
D
সবগুলো
যখন কোনো কোম্পানি নগদের পরিবর্তে নিজস্ব শেয়ারের অতিরিক্ত অংশ শেয়ারহোল্ডারদের প্রদান করে, তখন সেটিকে স্টক ডিভিডেন্ড বা বোনাস শেয়ার বলা হয়। এটি এক ধরনের লভ্যাংশ যা কোম্পানি তার মুনাফা বা রিজার্ভ থেকে নতুন শেয়ার আকারে প্রদান করে, ফলে শেয়ারহোল্ডারদের হাতে শেয়ারের সংখ্যা বাড়ে কিন্তু কোম্পানির মোট মূলধন অপরিবর্তিত থাকে।
-
নগদ লভ্যাংশ (Cash Dividend): যখন কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের নগদ অর্থ প্রদান করে, সেটি নগদ লভ্যাংশ হিসেবে পরিচিত। এটি কোম্পানির তরল সম্পদ (Cash) কমিয়ে দেয়।
-
স্টক খণ্ডন (Stock Split): এটি কোনো লভ্যাংশ নয়, বরং একটি শেয়ার পুনর্গঠন প্রক্রিয়া, যেখানে একটি শেয়ারকে নির্দিষ্ট অনুপাতে একাধিক ছোট শেয়ারে ভাগ করা হয়। এর ফলে মোট শেয়ারের সংখ্যা বাড়ে, কিন্তু প্রতিটি শেয়ারের মূল্য অনুপাতে কমে যায় এবং শেয়ারহোল্ডারদের মোট বিনিয়োগ অপরিবর্তিত থাকে।
-
স্টক ডিভিডেন্ড মূলত কোম্পানির রিটেইনড আর্নিংস (Retained Earnings) থেকে ইস্যু করা হয় এবং এটি কোম্পানির ইকুইটি (Equity)-এর অভ্যন্তরীণ পুনর্বিন্যাস নির্দেশ করে, কোনো নগদ বহির্গমন নয়।

0
Updated: 3 days ago