অর্থের সময় মূল্যের কারণ কোনটি?
A
সুদের হার
B
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি
C
দ্রব্যমূল্য হ্রাস
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
অর্থের সময় মূল্য (Time Value of Money) ধারণার মূল ভিত্তি হলো সুদের হার (Interest Rate)। অর্থের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ মূল্যের পার্থক্য সৃষ্টি হয় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অর্থের উপার্জনক্ষমতার কারণে। আজকের অর্থ ভবিষ্যতের অর্থের চেয়ে বেশি মূল্যবান, কারণ এটি এখনই বিনিয়োগ করে সুদ বা রিটার্ন অর্জনের সুযোগ তৈরি করে।
বিষয়টি বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা যায়ঃ
-
সুদের হারই অর্থের সময় মূল্যের প্রধান কারণ, কারণ এটি নির্ধারণ করে বর্তমান অর্থ ভবিষ্যতে কতটা বৃদ্ধি পাবে বা ভবিষ্যতের অর্থ বর্তমানে কতটা মূল্যবান হবে।
-
যদি আপনি আজ টাকা বিনিয়োগ করেন, তবে সুদের হারে বৃদ্ধি পেয়ে ভবিষ্যতে সেই টাকার পরিমাণ আরও বেশি হবে — এটি অর্থের ভবিষ্যৎ মূল্য (Future Value)।
-
অন্যদিকে, ভবিষ্যতে প্রাপ্ত টাকার বর্তমান মূল্য (Present Value) নির্ধারণ করতে হলে সুদের হার ব্যবহার করে তা বর্তমান সময়ে ডিসকাউন্ট করতে হয়।
-
উচ্চ সুদের হার মানে বর্তমান মূল্য কম, কারণ ভবিষ্যতের অর্থের জন্য অপেক্ষা করার সুযোগ ব্যয় (Opportunity Cost) বেশি হয়।
-
যদিও দ্রব্যমূল্যের পরিবর্তন (Inflation or Deflation) অর্থের ক্রয়ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে, এটি সময় মূল্যের প্রধান কারণ নয়; এটি কেবল অর্থের প্রকৃত মূল্যকে প্রভাবিত করে।
-
সারাংশে, অর্থের সময় মূল্য নির্ভর করে সুদের হার ও বিনিয়োগের মাধ্যমে উপার্জনের সম্ভাবনার ওপর, যা আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে একটি মৌলিক ধারণা।

0
Updated: 2 days ago
একটি পাবলিক কোম্পানি নতুন শেয়ার ইস্যু করলে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে?
Created: 2 days ago
A
সিকিউরিটিজের মূল্য নির্ধারন
B
ইস্যুটির অবলেখন সংক্রান্ত জাটলতা
C
স্প্রেড নির্ধারন
D
বিদ্যমান শেয়ারের মূলা হ্রাস
যখন একটি পাবলিক কোম্পানি নতুন শেয়ার ইস্যু করে, তখন সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দেয় বিদ্যমান শেয়ারের মূল্য হ্রাসে (Dilution of Existing Shares)। নতুন শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে শেয়ারের সংখ্যা বেড়ে যায়, ফলে পূর্ববর্তী শেয়ারহোল্ডারদের মালিকানার অংশ ও প্রতি শেয়ারে আয়ের হার (EPS) কমে যায়।
বিষয়টি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা যায়ঃ
-
নতুন শেয়ার ইস্যুর ফলে মোট শেয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, কিন্তু কোম্পানির মোট আয় অপরিবর্তিত থাকলে প্রতি শেয়ারে আয় (Earnings per Share) অনুপাতে কমে যায়।
-
এই অবস্থায় বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের মালিকানার শতকরা হার ও ভোটাধিকার হ্রাস পায়।
-
Dilution effect বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিতে নেতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ এটি তাদের প্রতি শেয়ারের সম্ভাব্য রিটার্ন কমিয়ে দেয়।
-
যদিও সিকিউরিটিজের মূল্য নির্ধারণ সাধারণত ব্যাংক বা ব্রোকারদের মাধ্যমে করা হয় এবং অবলেখন (Underwriting) বা স্প্রেড নির্ধারণে কিছু জটিলতা থাকতে পারে, তবুও এগুলো মূল সমস্যা নয়।
-
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো — বিদ্যমান শেয়ারের মূল্য ও শেয়ারহোল্ডারদের অংশীদারিত্ব হ্রাস পাওয়া, অর্থাৎ Dilution of Existing Shares।

0
Updated: 2 days ago
কোনটি আর্থিক ব্যবস্থাপনার প্রাথমিক লক্ষ্য নয়?
Created: 2 days ago
A
শেয়ারহোল্ডারদের সম্পদ সর্বাধিকরন
B
ঝুঁকি হ্রাস করা
C
মুনাফা সর্বাধিকরন
D
তারল্য বজায় রাখা
আর্থিক ব্যবস্থাপনার মূল উদ্দেশ্য হলো শেয়ারহোল্ডারদের সম্পদ সর্বাধিক করা (Maximize Shareholder Wealth), যা প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে। মুনাফা সর্বাধিককরণ যদিও একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য, এটি মূল লক্ষ্য নয় বরং সহায়ক লক্ষ্য।
পয়েন্ট আকারে ব্যাখ্যা:
-
শেয়ারহোল্ডারদের সম্পদ সর্বাধিককরণ মানে হলো প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের বাজারমূল্য বৃদ্ধি করা, যাতে বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদে বেশি রিটার্ন পান।
-
এই লক্ষ্য প্রতিষ্ঠানের লাভ, ঝুঁকি, এবং ভবিষ্যৎ নগদ প্রবাহের সময়মূল্য — সব কিছু বিবেচনা করে নির্ধারিত হয়।
-
মুনাফা সর্বাধিককরণ স্বল্পমেয়াদী দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলেও, এটি সব সময় ঝুঁকি ও দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বকে বিবেচনা করে না।
-
ঝুঁকি হ্রাস প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্থিতি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যা বিনিয়োগকারীর আস্থা বৃদ্ধি করে।
-
তারল্য বজায় রাখা নিশ্চিত করে যে প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় নগদ অর্থের অভাবে তার দায়বদ্ধতা পূরণে ব্যর্থ না হয়।
-
সর্বোপরি, আর্থিক ব্যবস্থাপনার সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণই প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদি বৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগকারীর আস্থা অর্জনে সহায়তা করে।

0
Updated: 2 days ago
সুকুক কী?
Created: 2 days ago
A
ঋণ
B
চেক
C
লাভ
D
বিনিয়োগ সার্টিফিকেট
সুকুক (Sukuk) হলো ইসলামী অর্থব্যবস্থার একটি বিনিয়োগ সার্টিফিকেট, যা কোনো বাস্তব সম্পদ, প্রকল্প বা ব্যবসায়িক উদ্যোগে অংশীদারিত্বের প্রতিনিধিত্ব করে। এটি প্রচলিত বন্ডের মতো ঋণপত্র নয়, কারণ ইসলামী শরিয়তে সুদ (riba) গ্রহণ ও প্রদান নিষিদ্ধ।
-
সুকুক বিনিয়োগকারীদের প্রকৃত সম্পদের মালিকানা অধিকার প্রদান করে, অর্থাৎ তারা সম্পদের ওপর আংশিক মালিকানা লাভ করে।
-
বিনিয়োগকারীরা সুকুক থেকে লাভ-ক্ষতি ভাগাভাগির ভিত্তিতে আয় পান, যা প্রকল্পের প্রকৃত পারফরম্যান্সের সঙ্গে সম্পর্কিত।
-
এটি সুদনির্ভর ঋণ নয়, বরং বাস্তব সম্পদভিত্তিক বিনিয়োগ, যা ইসলামী আর্থিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
-
সুকুকের মুনাফা হার পূর্বনির্ধারিত নয়, বরং ব্যবসা বা প্রকল্পের আয় থেকে বণ্টিত হয়।
-
এই কাঠামোর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা নৈতিক ও শরিয়তসম্মত উপায়ে আয় অর্জন করতে পারেন, যা ইসলামী পুঁজিবাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক উপকরণ হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 2 days ago