ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান?
A
ব্রোকার
B
প্রাইমারি বাজার
C
সেকেন্ডারি বাজার
D
ডিলার
উত্তরের বিবরণ
প্রাইমারি বাজার (Primary Market) হলো সেই বাজার যেখানে কোনো কোম্পানি প্রথমবারের মতো নতুন শেয়ার বা বন্ড ইস্যু করে বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করে মূলধন সংগ্রহ করে। এটি কোম্পানির জন্য সরাসরি অর্থ সংগ্রহের প্রধান উৎস।
-
এখানে Initial Public Offering (IPO) হলো সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি, যার মাধ্যমে কোম্পানি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রথমবার মূলধন তোলে।
-
প্রাইমারি বাজারের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণ, নতুন প্রকল্প বা ঋণ পরিশোধে ব্যবহৃত হয়।
সেকেন্ডারি বাজার (Secondary Market) হলো সেই বাজার যেখানে আগে ইস্যু করা শেয়ার বা বন্ড বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ক্রয়-বিক্রয় হয়।
-
এখানে কোম্পানি নতুন অর্থ সংগ্রহ করে না, কারণ লেনদেন হয় কেবল বিনিয়োগকারীদের মধ্যেই।
-
এই বাজার বিনিয়োগকারীদের জন্য লিকুইডিটি (liquidity) বা শেয়ার সহজে বিক্রির সুযোগ প্রদান করে।
-
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (DSE) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (CSE) সেকেন্ডারি বাজারের প্রধান প্ল্যাটফর্ম, যেখানে প্রতিদিন শেয়ার লেনদেন পরিচালিত হয়।

0
Updated: 2 days ago
একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সমপরিমান নগদ প্রবাহের ধারাকে কি বলা হয়?
Created: 2 days ago
A
বর্তমান মূল্য
B
ভবিষ্যৎ মূল্য
C
এন্যুইটি
D
চিরস্থায়ী বৃত্তি
ন্যুইটি (Annuity) হলো এমন একধরনের নগদ প্রবাহের ধারা, যেখানে সমান অঙ্কের অর্থ নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর একটি নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত প্রদান বা গ্রহণ করা হয়। এটি সাধারণত ঋণ পরিশোধ, অবসর ভাতা, বা বিনিয়োগ আয় নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়।
-
বর্তমান মূল্য (Present Value): ভবিষ্যতে যে নগদ প্রবাহ পাওয়া যাবে তার বর্তমান মান নির্ধারণ করা হয়, যাতে বোঝা যায় এখন সেই অর্থের মূল্য কত।
-
ভবিষ্যৎ মূল্য (Future Value): বর্তমানে বিনিয়োগ করা অর্থ ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট সুদের হারে কত হবে তা নির্দেশ করে।
-
চিরস্থায়ী বৃত্তি (Perpetuity): এমন একটি নগদ প্রবাহের ধারা যা অসীম সময় ধরে সমান পরিমাণ অর্থ প্রদান বা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেয়, অর্থাৎ এর কোনো শেষ নেই।
-
ন্যুইটির মূল বৈশিষ্ট্য হলো সময় নির্ধারিত ও সমান পরিমাণ অর্থের পুনরাবৃত্তি, যা এটিকে সাধারণ নগদ প্রবাহ থেকে আলাদা করে।
-
এই ধারণা আর্থিক পরিকল্পনা, ঋণ বিশ্লেষণ ও বিনিয়োগ মূল্যায়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সময়ের মূল্য (Time Value of Money) ধারণার সাথে সরাসরি সম্পর্কিত।

0
Updated: 2 days ago
মোট আমানত ও তরল সম্পদের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে যে নির্দিষ্ট অনুপাত মেনে চলতে হয়, তা হলো
Created: 2 days ago
A
CRR
B
SLR
C
CLR
D
CAR
বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থায় SLR (Statutory Liquidity Ratio) হলো এমন একটি অনুপাত, যেখানে ব্যাংকগুলোকে তাদের মোট আমানতের একটি নির্দিষ্ট অংশ নগদ টাকা, সোনা বা সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করে রাখতে হয়। এর উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকের তারল্য নিশ্চিত করা এবং আমানতকারীদের অর্থ ফেরত প্রদানে সক্ষমতা বজায় রাখা।
-
SLR (Statutory Liquidity Ratio): ব্যাংকগুলোকে তাদের মোট আমানতের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ নগদ অর্থ, সোনা বা সরকারি সিকিউরিটিজে সংরক্ষণ করতে হয়, যাতে প্রয়োজনের সময় তাৎক্ষণিক অর্থ প্রদান সম্ভব হয়।
-
CRR (Cash Reserve Ratio): ব্যাংকগুলোকে তাদের মোট আমানতের একটি নির্দিষ্ট অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখতে হয়, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে থাকে।
-
CAR (Capital Adequacy Ratio): এটি একটি ব্যাংকের মূলধন পর্যাপ্ততা অনুপাত, যা ব্যাংকের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে কত মূলধন রয়েছে তা নির্দেশ করে। এটি ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা ও ঝুঁকি সহনশীলতার পরিমাপক।
-
CLR: এটি কোনো স্বীকৃত বা প্রচলিত ব্যাংকিং অনুপাত নয়, তাই এর কোনো মান বা সংজ্ঞা ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ব্যবহৃত হয় না।
-
SLR, CRR এবং CAR — এই তিনটি সূচক ব্যাংকের আর্থিক নিরাপত্তা, তারল্য ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 2 days ago
উপযুক্ত মূলধন মিশ্রন নির্ধারনের ক্ষেত্রে ফার্মের জন্য শুরু বিন্দু হলো
Created: 2 days ago
A
সাধারন ইক্যুইটির ব্যয়
B
বর্তমান মূলধন কাঠামো
C
সর্বোত্তম মূলধন কাঠামো
D
ঋণের কর পরবর্তী খরচ
কোনো ফার্মের উপযুক্ত মূলধন মিশ্রণ নির্ধারণের সূচনাবিন্দু হলো তার বর্তমান মূলধন কাঠামো, অর্থাৎ ফার্মটির বর্তমান ঋণ ও ইক্যুইটির অনুপাত। এই বিদ্যমান কাঠামোই ভবিষ্যতে মূলধনের ভারসাম্য ও খরচ বিশ্লেষণের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
-
বর্তমান মূলধন কাঠামো ফার্মের আর্থিক অবস্থান, ঋণনির্ভরতা ও শেয়ারহোল্ডারদের ইক্যুইটি অংশ নির্দেশ করে।
-
ফার্ম এই কাঠামো বিশ্লেষণ করে দেখে, কীভাবে ঋণ ও ইক্যুইটির অনুপাত পরিবর্তন করলে মূলধনের খরচ কমানো ও মুনাফা বৃদ্ধি করা যায়।
-
সর্বোত্তম মূলধন কাঠামো (Optimal Capital Structure) হলো এমন একটি ভারসাম্য, যেখানে ফার্মের মূলধনের খরচ সর্বনিম্ন এবং শেয়ারহোল্ডারদের সম্পদ সর্বাধিক হয়।
-
বর্তমান কাঠামো থেকে শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি অতীত সিদ্ধান্ত, বাজারের অবস্থা ও ফার্মের ঝুঁকি প্রোফাইলের প্রতিফলন বহন করে।
-
এই প্রক্রিয়ায় ফার্ম ঋণ, ইক্যুইটি, সুদের হার ও মুনাফা বিশ্লেষণ করে ধাপে ধাপে কাঠামো উন্নত করে, যা দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে।

0
Updated: 2 days ago