কোনটি অর্থায়নের দীর্ঘমেয়াদী উৎস?
A
বাণিজ্যিক ঋণ
B
লিজিং
C
ক্ষুদ্র ঋণ
D
সবগুলো
উত্তরের বিবরণ
লিজিং (Leasing) হলো একটি দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন পদ্ধতি, যেখানে কোনো প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সম্পদ (যেমন যন্ত্রপাতি, ভবন, যানবাহন ইত্যাদি) ব্যবহারের অধিকার ভাড়ার বিনিময়ে অর্জন করে। এতে প্রতিষ্ঠান সম্পদের মালিক না হলেও তার ব্যবহারিক সুবিধা পায়, এবং চুক্তির মেয়াদ সাধারণত কয়েক বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
-
বাণিজ্যিক ঋণ (Trade Credit): এটি একটি স্বল্পমেয়াদী অর্থায়ন ব্যবস্থা, যেখানে সরবরাহকারী পণ্য বা সেবা ক্রেতাকে ঋণ হিসেবে দেয় এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (সাধারণত ৩০–৯০ দিনের মধ্যে) মূল্য পরিশোধের সুযোগ দেয়।
-
ক্ষুদ্র ঋণ (Microcredit): এটি দরিদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য স্বল্পমেয়াদী ঋণ, যার উদ্দেশ্য হলো তাদেরকে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও স্বনির্ভর কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করা।
-
লিজিং-এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান বড় মূলধনী ব্যয় ছাড়াই সম্পদ ব্যবহার করতে পারে, যেখানে Trade Credit ও Microcredit তুলনামূলকভাবে স্বল্পমেয়াদি ও কার্যক্রমভিত্তিক অর্থায়ন প্রদান করে।

0
Updated: 2 days ago
অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে দেশীয় মুদ্রার দাম কমলে বিদেশে দেশীয় পণ্যের চাহিদা
Created: 2 days ago
A
কমে
B
বাড়ে
C
স্থিতিশীল থাকে
D
কোনো প্রভাব পড়ে না
যখন কোনো দেশের মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটে, তখন সেই দেশের পণ্যের দাম বিদেশিদের কাছে তুলনামূলকভাবে কমে যায়, ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে তা সুবিধাজনক প্রভাব ফেলে।
-
দেশীয় মুদ্রার দাম কমে গেলে, দেশীয় পণ্য বিদেশি ক্রেতাদের জন্য সস্তা হয়ে যায়।
-
এর ফলে দেশীয় পণ্যের রপ্তানি বাড়ে, কারণ বিদেশি ক্রেতারা কম দামে পণ্য কিনতে আগ্রহী হয়।
-
অপরদিকে, বিদেশি পণ্য দেশীয় বাজারে তুলনামূলকভাবে দামি হয়ে যায়, যার ফলে আমদানি কমে যায়।
-
এভাবে মুদ্রার অবমূল্যায়ন রপ্তানি উৎসাহিত করে এবং আমদানি নিরুৎসাহিত করে, যা দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সাহায্য করে।

0
Updated: 2 days ago
বাণিজ্যিক ব্যাংক হতে নগদ উত্তোলনের পরিমান বাড়তে থাকলে কী হতে পারে?
Created: 2 days ago
A
মূল্যস্ফীতির তীব্রতা
B
ঋণ প্রদানের জন্য নগদ সক্ষমতা বৃদ্ধি
C
তারল্য বৃদ্ধি
D
ঋণ প্রদানের সক্ষমতার উপর সীমাবদ্ধতা তৈরি
যখন বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নগদ উত্তোলন বৃদ্ধি পায়, তখন ব্যাংকের হাতে থাকা নগদের পরিমাণ কমে যায়, যা সরাসরি ব্যাংকের তারল্য (liquidity) এবং ঋণ প্রদানের সক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। এই অবস্থায় ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা ঝুঁকির মুখে পড়ে।
পয়েন্টগুলো নিম্নরূপ
-
ব্যাংক তার মোট আমানতের একটি অংশ রিজার্ভ বা নগদ আকারে ধরে রাখে, এবং বাকিটা ঋণ ও বিনিয়োগে ব্যবহার করে।
-
গ্রাহকরা বেশি পরিমাণে নগদ উত্তোলন করলে ব্যাংকের নগদ রিজার্ভ কমে যায়, ফলে ব্যাংকের তারল্য সংকট দেখা দেয়।
-
নগদ কমে যাওয়ায় ব্যাংকের ঋণ প্রদানের সক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়ে, কারণ ব্যাংক পর্যাপ্ত অর্থ ধার দেওয়ার অবস্থায় থাকে না।
-
যদি উত্তোলনের হার অত্যধিক বৃদ্ধি পায়, তবে ব্যাংককে তার সম্পদ বিক্রি বা ঋণ কার্যক্রম বন্ধ করতে হতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত দেউলিয়াত্বের ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
-
মূল্যস্ফীতির তীব্রতার সঙ্গে সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই, কারণ এটি মূলত ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তারল্য ব্যবস্থাপনার সমস্যা।
-
ঋণ প্রদানের সক্ষমতা বৃদ্ধি বা তারল্য বৃদ্ধি—উভয়ই ভুল, কারণ বাস্তবে নগদ হ্রাস পায় এবং তারল্য সংকুচিত হয়।

0
Updated: 2 days ago
আর্থিক লেভারেজের মান (DPS) যদি ৩ হয় তবে
Created: 2 days ago
A
EBIT ১% পরিবর্তিত হলে EPS ৩% পরিবর্তিত হবে
B
EPS ১% পরিবর্তিত হলে EBIT ৩% পরিবর্তিত হবে
C
EPS সর্বদা তিনগুণ হবে
D
EPS ১% পরিবর্তিত হলে NAV ৩% পরিবর্তিত হবে
DPS (Degree of Financial Leverage) হলো এমন একটি সূচক যা দেখায়, EBIT (Earnings Before Interest and Taxes)-এর পরিবর্তনের ফলে EPS (Earnings Per Share) কতটা পরিবর্তিত হবে। এটি মূলত প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেভারেজের প্রভাব পরিমাপ করে।
-
যদি DPS = ৩ হয়, তবে বুঝায় EBIT ১% পরিবর্তিত হলে EPS ৩% পরিবর্তিত হবে।
-
অর্থাৎ, ফার্মে যত বেশি ঋণনির্ভরতা (Debt Financing) থাকবে, তত বেশি EPS পরিবর্তনের মাত্রা বাড়বে।
-
DPS ফার্মের আর্থিক ঝুঁকি (Financial Risk) নির্দেশ করে, কারণ সুদ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা বেশি হলে আয় ওঠানামার প্রভাবও বাড়ে।
-
এই ধারণা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করে ঋণ ও ইক্যুইটির ভারসাম্য নির্ধারণে, যাতে লাভজনকতা বজায় রেখে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
-
উচ্চ DPS মানে আয় বৃদ্ধিতে বেশি লাভের সম্ভাবনা, তবে একইসাথে ক্ষতির সময় অধিক ঝুঁকির সম্ভাবনাও থাকে।

0
Updated: 2 days ago