A
৫
B
৪
C
৩
D
৬
উত্তরের বিবরণ
সমাজবিজ্ঞানে সমাজ গবেষণার প্রধান মডেল (Major Models of Social Research) তিনটি মূল শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। এই মডেলগুলো সমাজের প্রকৃতি, কাঠামো ও পরিবর্তনের প্রক্রিয়া বোঝার ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করে।
প্রধান মডেলগুলো হলো—
-
১. তুলনামূলক বা পর্যবেক্ষণমূলক মডেল (Comparative / Observational Model):
-
এই মডেলে সমাজকে পর্যবেক্ষণ ও তুলনা করে তার গঠন, কার্যক্রম ও বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করা হয়।
-
গবেষক বিভিন্ন সমাজ, সংস্কৃতি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পার্থক্য ও মিল শনাক্ত করে সাধারণ নীতি নির্ধারণের চেষ্টা করেন।
-
উদাহরণ: বিভিন্ন সমাজে পরিবার কাঠামো, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বা ধর্মীয় আচরণ তুলনা করা।
-
-
২. পরীক্ষামূলক বা এক্সপেরিমেন্টাল মডেল (Experimental Model):
-
এখানে গবেষক কোনো নির্দিষ্ট কারণ-প্রভাব সম্পর্ক (Cause-Effect Relationship) পরীক্ষা করেন।
-
নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি বা শর্ত তৈরি করে মানব বা সামাজিক আচরণের পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করা হয়।
-
উদাহরণ: কোনো শিক্ষামূলক কর্মসূচির প্রভাবে শিক্ষার্থীর ফলাফলের উন্নতি পর্যালোচনা করা।
-
-
৩. তাত্ত্বিক বা ধারণাগত মডেল (Theoretical / Conceptual Model):
-
এই মডেল সমাজবিজ্ঞানের তত্ত্ব, ধারণা ও নীতির ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করে সমাজকে বোঝার চেষ্টা করে।
-
গবেষণার মাধ্যমে তত্ত্বের বাস্তব প্রাসঙ্গিকতা ও ব্যাখ্যাশক্তি যাচাই করা হয়।
-
উদাহরণ: মার্ক্সের শ্রেণীসংঘাত তত্ত্ব, ডুর্খেইমের সামাজিক সংহতি তত্ত্ব ইত্যাদি।
-
এছাড়াও কিছু সমাজবিজ্ঞানী ক্রিয়াবাদী (Functionalist Model), দ্বান্দ্বিক (Dialectical Model) ও কাঠামোবাদী (Structuralist Model) মডেলের কথাও উল্লেখ করেছেন। তবে পরীক্ষামূলক, তুলনামূলক ও তাত্ত্বিক মডেল—এই তিনটি প্রধান ও স্বীকৃত মডেল হিসেবে অধিকাংশ গবেষক স্বীকার করেন।

0
Updated: 2 days ago
বাংলাদেশের শহরে দ্রুত বর্ধনশীল খাত কোনটি?
Created: 2 days ago
A
সেবা খাত
B
শিল্পায়ন
C
কৃষি
D
ক্ষুদ্র ব্যবস্থা
বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক ক্ষেত্র হলো সেবা খাত (Service Sector / Tertiary Sector)। শিল্প ও কৃষির পাশাপাশি এই খাত এখন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ও নগরজীবনের মানোন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে।
প্রধান উপাদানগুলো হলো—
-
ব্যাংক ও আর্থিক সেবা: বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিমা, মাইক্রোক্রেডিট ও ডিজিটাল আর্থিক সেবার সম্প্রসারণ শহরে অর্থনৈতিক গতিশীলতা বৃদ্ধি করেছে।
-
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা: সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক সেবা খাতের বড় অংশ। এ খাতে ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ হচ্ছে।
-
পরিবহন ও যোগাযোগ: সড়ক, রেল, বিমান ও ডিজিটাল যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন শহরের কর্মসংস্থান ও ব্যবসা বাড়াচ্ছে।
-
হোটেল, রেস্তোরাঁ ও বিনোদন: নগর জীবনে জীবনধারার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এ খাতে দ্রুত প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।
-
তথ্য প্রযুক্তি (IT): আইটি সার্ভিস, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও আউটসোর্সিং এখন শহুরে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এই খাত দেশের জিডিপি-তে সর্বাধিক অবদান রাখছে এবং আধুনিক শহরজীবনের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

0
Updated: 2 days ago
বৃটিশরা এদেশে আসারপূর্বে গ্রামগুলো ছিল-
Created: 1 day ago
A
প্রজাতান্ত্রিক
B
স্বৈরতান্ত্রিক
C
স্বয়ংসম্পূর্ণ
D
রাজতান্ত্রিক
স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রাম (Self-sufficient Village) হলো এমন এক সমাজব্যবস্থা যেখানে গ্রামবাসীরা তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজন নিজেরাই মেটাতে সক্ষম হয় এবং বাইরের বাজার বা শহরের ওপর নির্ভরতা খুবই সীমিত থাকে। এই ধরনের গ্রাম অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে স্বনির্ভর, যা প্রাচীন কৃষিনির্ভর সমাজব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল।
মূল বিষয়গুলো হলো:
১। অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা (Economic Self-sufficiency):
-
গ্রামে উৎপাদিত খাদ্যশস্য, ফলমূল, সবজি, দুধ, হস্তশিল্প ও কৃষিজ পণ্য স্থানীয় চাহিদা পূরণে যথেষ্ট হয়।
-
বাইরের বাজার বা আমদানি করা পণ্যের প্রয়োজন খুবই কম।
-
কৃষি, পশুপালন, তাঁত ও মৃৎশিল্প গ্রামের অর্থনীতির মূল ভিত্তি।
২। সামাজিক স্বায়ত্তশাসন (Social Autonomy):
-
গ্রামের নিজস্ব প্রথা, রীতিনীতি ও সামাজিক নিয়ম দ্বারা সমাজ পরিচালিত হয়।
-
গ্রামীণ সমাজে বিরোধ বা সিদ্ধান্ত সাধারণত স্থানীয় পঞ্চায়েত বা প্রবীণদের সভায় নিষ্পত্তি করা হয়।
-
গ্রামের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জীবিকা, সম্পদের ব্যবহার ও সামাজিক সম্পর্ক নির্ধারিত হয়।
৩। সম্পদের যৌথ ব্যবহার:
-
পানি, বন, চারণভূমি ও পুকুরের মতো প্রাকৃতিক সম্পদ সমষ্টিগতভাবে ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।
৪। সাংস্কৃতিক ঐক্য:
-
গ্রামবাসীদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, ঐক্য ও সামাজিক সংহতি দৃঢ় থাকে।
অতএব, স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রাম হলো এমন এক স্বনির্ভর সামাজিক ও অর্থনৈতিক একক, যা নিজের উৎপাদনের ওপর নির্ভর করে টিকে থাকে এবং স্থানীয় ঐক্য, সহযোগিতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সমাজে স্থিতি বজায় রাখে।

0
Updated: 1 day ago
'সম্পত্তি হচ্ছে চুরি'- উক্তিটি কার?
Created: 1 day ago
A
ম্যাক্র
B
ওয়েভার
C
মর্গান
D
রুশো
“Property is theft” উক্তিটি মূলত ফরাসি দার্শনিক ও সমাজতাত্ত্বিক পিয়ের-জোসেফ প্রুধোঁ (Pierre-Joseph Proudhon, 1809–1865)-এর। তিনি এই উক্তির মাধ্যমে ব্যক্তিগত সম্পত্তি ব্যবস্থার সমালোচনা করেন এবং বলেন, সম্পত্তি মূলত শ্রমজীবী মানুষের শোষণের ফল।
তবে যদি প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে কার্ল মার্কস (Karl Marx) থাকেন, তাহলে তাঁকেই বেছে নেওয়া যৌক্তিক। কারণ যদিও মার্কস সরাসরি এই উক্তিটি করেননি, তবুও তাঁর উদ্বৃত্ত মূল্যতত্ত্ব (Theory of Surplus Value) অনুযায়ী, পুঁজিপতি বা মালিকরা শ্রমিকদের শ্রমের প্রকৃত মূল্য না দিয়ে উদ্বৃত্ত মূল্য আত্মসাৎ করেন, অর্থাৎ শ্রমিকদের শ্রমের একটি অংশ “চুরি” করেন। এই দৃষ্টিকোণ থেকে প্রুধোঁর “Property is theft” ধারণাটি মার্কসের অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।
অতএব, সঠিক ঐতিহাসিক উক্তিটি প্রুধোঁর হলেও, মার্কসের তত্ত্বগত ব্যাখ্যা একই ধারণাকে অর্থনৈতিক দৃষ্টিতে আরও গভীরভাবে প্রতিষ্ঠিত করে।

0
Updated: 1 day ago