নিচের কোনটি বিচ্যুত আচরণ?
A
কাউকে আঘাত করা
B
চুরি করা
C
চুল ধরে টানা
D
সালাম না দেয়া
উত্তরের বিবরণ
সমাজে প্রত্যেক ব্যক্তির কাছ থেকে নির্দিষ্ট আচরণ প্রত্যাশা করা হয়, যা সামাজিক আদর্শ ও মূল্যবোধের সঙ্গে সম্পর্কিত। যখন কেউ সমাজ কর্তৃক প্রত্যাশিত আচরণ প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়, তখন সেটি “বিচ্যুতি (Deviation)” বলে পরিচিত। অপরদিকে, যে কাজ আইন ভঙ্গ করে সমাজে ক্ষতি বা অপরাধ সৃষ্টি করে, সেটি “অপরাধ (Crime)” হিসেবে গণ্য হয়।
প্রধান পার্থক্যগুলো হলো—
-
বিচ্যুতি: সমাজের প্রচলিত রীতি, মূল্যবোধ ও আদর্শ লঙ্ঘন করলে তাকে বিচ্যুত আচরণ বলা হয়। এটি সবসময় আইনভঙ্গ নয়, তবে সমাজে এটি অগ্রহণযোগ্য বা অস্বাভাবিক হিসেবে দেখা হয়।
-
উদাহরণ: কাউকে সালাম না দেওয়া, বয়োজ্যেষ্ঠের প্রতি সম্মান না দেখানো, অশোভন ভাষায় কথা বলা— এসবই সামাজিক বিচ্যুতি।
-
-
অপরাধ: যখন কোনো কাজ আইনবিরুদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য, তখন তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। এটি সমাজে সরাসরি ক্ষতি সৃষ্টি করে।
-
উদাহরণ: কাউকে আঘাত করা, চুরি করা, বা চুল ধরে টানা— এগুলো অপরাধমূলক আচরণ, কারণ এগুলো আইন লঙ্ঘন করে।
-
অতএব, সালাম দেওয়া সমাজের আদর্শ আচরণের অংশ, আর সালাম না দেওয়া বা সামাজিক ভদ্রতা লঙ্ঘন করা বিচ্যুত আচরণ, কিন্তু তা অপরাধ নয়। অপরাধ সবসময় আইনগতভাবে শাস্তিযোগ্য, তবে বিচ্যুতি কেবল সামাজিকভাবে নিন্দনীয়।

0
Updated: 2 days ago
বাংলাদেশের শহরে দ্রুত বর্ধনশীল খাত কোনটি?
Created: 2 days ago
A
সেবা খাত
B
শিল্পায়ন
C
কৃষি
D
ক্ষুদ্র ব্যবস্থা
বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক ক্ষেত্র হলো সেবা খাত (Service Sector / Tertiary Sector)। শিল্প ও কৃষির পাশাপাশি এই খাত এখন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ও নগরজীবনের মানোন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে।
প্রধান উপাদানগুলো হলো—
-
ব্যাংক ও আর্থিক সেবা: বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিমা, মাইক্রোক্রেডিট ও ডিজিটাল আর্থিক সেবার সম্প্রসারণ শহরে অর্থনৈতিক গতিশীলতা বৃদ্ধি করেছে।
-
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা: সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক সেবা খাতের বড় অংশ। এ খাতে ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ হচ্ছে।
-
পরিবহন ও যোগাযোগ: সড়ক, রেল, বিমান ও ডিজিটাল যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন শহরের কর্মসংস্থান ও ব্যবসা বাড়াচ্ছে।
-
হোটেল, রেস্তোরাঁ ও বিনোদন: নগর জীবনে জীবনধারার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এ খাতে দ্রুত প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।
-
তথ্য প্রযুক্তি (IT): আইটি সার্ভিস, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও আউটসোর্সিং এখন শহুরে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এই খাত দেশের জিডিপি-তে সর্বাধিক অবদান রাখছে এবং আধুনিক শহরজীবনের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

0
Updated: 2 days ago
নিচের কোনটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান?
Created: 1 day ago
A
আমলাতন্ত্র
B
জনগণ
C
সরকার
D
পরিবার
রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান (Political Institution) হলো সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন, যা ক্ষমতা, শাসন, প্রশাসন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের কার্যক্রম পরিচালনা করে সমাজে শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখে। এটি রাষ্ট্র পরিচালনার মূল ভিত্তি এবং সামাজিক শৃঙ্খলার রক্ষক হিসেবে কাজ করে।
মূল বিষয়গুলো হলো:
১। ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব: রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান সমাজে মানুষের আচরণ ও কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের জন্য বৈধ ক্ষমতা (Power) ও কর্তৃত্ব (Authority) প্রদান করে। এর মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনা ও নীতি বাস্তবায়ন করা হয়।
২। আইন ও নিয়ম প্রণয়ন: সমাজে ন্যায়বিচার ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান নীতি, আইন ও বিধি-বিধান প্রণয়ন ও প্রয়োগ করে।
৩। প্রধান উদাহরণ: সরকার, সংসদ, বিচার বিভাগ ও প্রশাসন হলো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের মূল অঙ্গ, যা রাষ্ট্র পরিচালনার বিভিন্ন দিক নিয়ন্ত্রণ করে।
৪। আমলাতন্ত্র (Bureaucracy): এটি রাজনৈতিক ব্যবস্থার অধীন একটি প্রশাসনিক কাঠামো, যেখানে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ কর্মচারীরা (civil servants) আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী সরকার পরিচালনায় সহায়তা করে।
৫। অন্যান্য প্রতিষ্ঠান: পরিবার ও জনগণ যদিও সমাজের অংশ, তবে তারা সামাজিক প্রতিষ্ঠান— রাজনৈতিক নয়।
অতএব, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান সমাজে শাসন ও নীতিনির্ধারণের কেন্দ্রীয় সংগঠন, যা আইন, প্রশাসন ও ক্ষমতার প্রয়োগের মাধ্যমে রাষ্ট্রে শৃঙ্খলা ও সুশাসন নিশ্চিত করে।

0
Updated: 1 day ago
মানব সামজে কয় ধরনের জাতি সম্পর্ক আছে?
Created: 3 days ago
A
৫
B
৪
C
৩
D
২
মানব সমাজে জ্ঞাতি বা জাতি সম্পর্ক (Kinship) হলো পারিবারিক ও আত্মীয়তার সূত্রে গঠিত সামাজিক সম্পর্কের একটি মৌলিক কাঠামো। এটি সমাজে পারিবারিক গঠন, উত্তরাধিকার, সামাজিক অবস্থান এবং আচরণগত নিয়ম নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সমাজবিজ্ঞানে এই সম্পর্কের ধরন নির্ধারণে কিছু মতভেদ থাকলেও মূলত এটি রক্ত, বিবাহ এবং সামাজিক প্রতীকী বন্ধনের ওপর ভিত্তি করে গঠিত।
-
লুইস হেনরি মর্গান (Lewis Henry Morgan) জ্ঞাতি সম্পর্ককে দুই প্রকারে ভাগ করেছেন:
-
রক্তসম্পর্কীয় (Consanguineous kinship) — যেমন বাবা-মা, ভাই-বোন, দাদা-নাতি ইত্যাদি, যা জৈবিক রক্তের সম্পর্কের মাধ্যমে গঠিত।
-
বৈবাহিক সূত্রে (Affinal kinship) — যেমন স্বামী-স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ি ইত্যাদি, যা বিবাহের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়।
-
-
অপরদিকে, বাংলা সমাজবিজ্ঞানের অনেক গবেষক যেমন শওকত আলী, নূরুল ইসলাম প্রমুখ, জ্ঞাতি সম্পর্ককে তিন প্রকারে ভাগ করেছেন:
-
রক্তসম্পর্কীয় (Consanguineous)
-
বৈবাহিক সূত্রে (Affinal)
-
কাল্পনিক বা প্রতীকী জ্ঞাতিসম্পর্ক (Fictive kinship) — যেমন বন্ধুকে ভাই বলা বা শিক্ষকের স্ত্রীকে মা বলা, যা সামাজিক প্রতীক বা সংস্কৃতিগত প্রথার মাধ্যমে গঠিত।
-
সুতরাং, বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানীর ব্যাখ্যা অনুযায়ী জ্ঞাতি সম্পর্কের শ্রেণিবিন্যাসে পার্থক্য রয়েছে। সেই কারণে প্রশ্নে প্রদত্ত নির্দিষ্ট কোনো উত্তরে পৌঁছানো যায় না; তাই প্রশ্নটির উত্তর বাতিলযোগ্য বলে গণ্য করা হয়।

0
Updated: 3 days ago