টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা (Sustainable Development Planning) হলো এমন এক উন্নয়ন ধারণা, যেখানে বর্তমান প্রজন্মের প্রয়োজন মেটানো হয় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রয়োজন ও সম্পদের ক্ষতি না করেই। এটি অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক ন্যায্যতা ও পরিবেশ সংরক্ষণের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার ওপর জোর দেয়।
মূল বিষয়গুলো হলো:
১। পরিবেশ সংরক্ষণ (Environmental Protection):
-
উন্নয়ন কার্যক্রমের ফলে পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রের ওপর যেন অতিরিক্ত চাপ না পড়ে তা নিশ্চিত করা।
-
বন, নদী, পানি, ভূমি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা টেকসই উন্নয়নের অন্যতম মূল লক্ষ্য।
২। প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার:
-
পানি, খনিজ, জ্বালানি ও মাটির মতো প্রাকৃতিক সম্পদ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে, যাতে এগুলোর পুনঃউৎপাদন ও ভবিষ্যৎ ব্যবহার সম্ভব হয়।
৩। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভারসাম্য:
-
উন্নয়ন কেবল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নয়; বরং দারিদ্র্য হ্রাস, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নকেও অন্তর্ভুক্ত করে।
৪। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা:
-
টেকসই উন্নয়ন তাৎক্ষণিক লাভের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি সুফল ও প্রজন্মগত স্থায়িত্বে গুরুত্ব দেয়।
৫। জনসচেতনতা ও অংশগ্রহণ:
-
টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নে জনগণের সচেতনতা ও সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
অতএব, টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা এমন এক নীতি যা অর্থনৈতিক অগ্রগতি, সামাজিক কল্যাণ ও পরিবেশের সুরক্ষা—এই তিন উপাদানের সমন্বয়ে ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ ও ভারসাম্যপূর্ণ পৃথিবী গড়ে তোলে।