'সত্যপরী ভিটা' কোথায় অবস্থিত?
A
পাহাড়পুর বিহারে
B
ময়নামতি বিহারে
C
মহাস্থানগড়ে
D
উয়ারি বটেশ্বরে
উত্তরের বিবরণ
সত্যপীর ভিটা বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থান, যা সোমপুর বিহার থেকে প্রায় ১২২ মিটার পূর্বে অবস্থিত। প্রত্নতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে জানা যায়, এটি মূলত একটি প্রসিদ্ধ তারা মন্দির ছিল, যা প্রাচীন বাংলার ধর্মীয় ও স্থাপত্য ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন।
প্রধান তথ্যগুলো হলো—
-
অবস্থান: সত্যপীর ভিটা সোমপুর মহাবিহার–এর পূর্বদিকে প্রায় ১২২ মিটার দূরে অবস্থিত।
-
ধর্মীয় পরিচয়: এটি প্রকৃতপক্ষে একটি তারা দেবীর মন্দির, যা মধ্যযুগীয় বাংলায় প্রচলিত বৌদ্ধ-তান্ত্রিক উপাসনার কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত।
-
স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য: ভিটার প্রধান মন্দিরটি চতুষ্কোণ (চারকোণা) আকৃতির এবং দক্ষিণমুখী। এই বিন্যাস তৎকালীন মন্দির স্থাপত্যে সৌরদিক নির্দেশনার ধর্মীয় তাৎপর্য বহন করে।
-
সময়সূচক প্রমাণ: এটি একাদশ থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে নির্মিত বলে প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা।
-
উৎস: এই তথ্য পাওয়া যায় “অক্ষরপত্র” প্রকাশনার ৭০ পৃষ্ঠায় (একাদশ–দ্বাদশ বই), যেখানে এ ভিটার ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
সুতরাং, সত্যপীর ভিটা কেবল প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নয়, বরং প্রাচীন বাংলার বৌদ্ধ ও তান্ত্রিক সংস্কৃতির সংমিশ্রণের এক অনন্য প্রতিফলন।

0
Updated: 2 days ago
মাক্স ওয়েভার কর্তৃত্বকে কয়ভাগে ভাগ করেছেন?
Created: 2 days ago
A
৪
B
৩
C
৫
D
২
ম্যাক্স ওয়েবার (Max Weber) সমাজে কর্তৃত্বের উৎস ও ধরন বিশ্লেষণ করে এটিকে তিনটি প্রধান ভাগে বিভক্ত করেছেন। তাঁর মতে, কর্তৃত্বের বৈধতা নির্ভর করে মানুষ কেন ও কীভাবে শাসকের আদেশ মেনে নেয় তার ওপর। প্রতিটি কর্তৃত্বের ধরন সমাজে ভিন্ন সামাজিক কাঠামো ও নেতৃত্বব্যবস্থা তৈরি করে।
তিনটি প্রধান কর্তৃত্ব হলো—
-
চিহ্নিত বা ঐতিহ্যগত কর্তৃত্ব (Traditional Authority):
-
উৎস: প্রাচীন প্রথা, ঐতিহ্য ও বংশগত উত্তরাধিকার।
-
বৈশিষ্ট্য: মানুষ এই কর্তৃত্ব মেনে নেয় কারণ এটি দীর্ঘদিন ধরে স্বীকৃত ও প্রচলিত।
-
উদাহরণ: রাজা, উপজাতি প্রধান, বা গ্রামীণ নেতা।
-
-
চারিত্রিক বা বৈধ-আইনগত কর্তৃত্ব (Legal-Rational Authority):
-
উৎস: আইন, বিধি ও আনুষ্ঠানিক নিয়মকানুন।
-
বৈশিষ্ট্য: এই কর্তৃত্ব যুক্তি ও আইননির্ভর; ব্যক্তি নয়, বরং পদ ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি আনুগত্য থাকে।
-
উদাহরণ: আধুনিক রাষ্ট্র, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বিচারব্যবস্থা বা সরকারি প্রতিষ্ঠান।
-
-
ক্যারিশমাটিক বা ব্যক্তিত্বভিত্তিক কর্তৃত্ব (Charismatic Authority):
-
উৎস: নেতার অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, আদর্শ, সাহস বা আধ্যাত্মিক শক্তি।
-
বৈশিষ্ট্য: মানুষ নেতার প্রতি গভীর বিশ্বাস ও অনুপ্রেরণার কারণে তার নির্দেশ অনুসরণ করে।
-
উদাহরণ: ধর্মীয় নেতা, বিপ্লবী নেতা বা সামাজিক আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ব্যতিক্রমী ব্যক্তি।
-
ওয়েবারের এই বিশ্লেষণ সমাজবিজ্ঞানে নেতৃত্ব, ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের প্রকৃতি বোঝার ক্ষেত্রে মৌলিক ভিত্তি হিসেবে গণ্য হয়।

0
Updated: 2 days ago
বাংলাদেশে ২০২৪ বিবিএস তথ্যানুযায়ী স্বাক্ষরতার হার কত?
Created: 2 days ago
A
৭০.৭%
B
৭৮.৯%
C
৭৭.৯%
D
৭৬.৯%
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS) প্রকাশিত ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী জনগণের মধ্যে কার্যকর সাক্ষরতার হার ৭৭.৯%। এই পরিসংখ্যান বাংলাদেশের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নের অগ্রগতি নির্দেশ করে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো—
-
মোট সাক্ষরতার হার: ৭৭.৯% (৭ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে)
-
পুরুষদের সাক্ষরতার হার: ৮০.১%
-
মহিলাদের সাক্ষরতার হার: ৭৫.৮%
-
তথ্যের উৎস: “বাংলাদেশ স্যাম্পল ভিটাল স্ট্যাটিস্টিকস ২০২৩: কী ফাইন্ডিংস” প্রতিবেদন
-
প্রকাশকাল: ২০২৪ সালের মার্চ মাসে
এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, দেশে সাক্ষরতার হার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে এখনো লিঙ্গভিত্তিক পার্থক্য বিদ্যমান। নারী শিক্ষা ও গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধিই ভবিষ্যতে এ ব্যবধান কমাতে সহায়তা করতে পারে।

0
Updated: 2 days ago
'শ্রেণীর ভিত্তি হচ্ছে সম্পত্তি'-কে বলেছেন?
Created: 2 days ago
A
মার্ক্স
B
ওয়েভার
C
মর্গান
D
মার্টন
“শ্রেণীর ভিত্তি হচ্ছে সম্পত্তি” — এই উক্তিটি সমাজবিজ্ঞানের ইতিহাসে কার্ল মার্ক্স (Karl Marx)-এর শ্রেণী তত্ত্বের (Class Theory) মূল ভিত্তিকে প্রকাশ করে। মার্ক্স সমাজকে অর্থনৈতিক কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে বিশ্লেষণ করেন এবং বলেন যে, মানুষের সামাজিক অবস্থান নির্ধারিত হয় তার উৎপাদনের উপকরণের মালিকানা দ্বারা।
মূল বিষয়গুলো হলো:
১। শ্রেণীভিত্তিক সমাজ:
-
মার্ক্স সমাজকে শ্রেণীভিত্তিক হিসেবে দেখেছেন, যেখানে শ্রেণী নির্ধারিত হয় অর্থনৈতিক সম্পদের মালিকানা ও উৎপাদনের উপকরণে অংশগ্রহণের ভিত্তিতে।
২। বুর্জোয়া শ্রেণী (Bourgeoisie):
-
এরা হলো উৎপাদনের উপকরণের মালিক, যেমন—কারখানা, জমি, পুঁজি ও যন্ত্রপাতি।
-
এই শ্রেণী শ্রমিকদের শ্রম কিনে মুনাফা অর্জন করে।
৩। প্রলেতারিয়েট শ্রেণী (Proletariat):
-
এরা হলো শ্রমজীবী শ্রেণী, যাদের নিজের কোনো সম্পদ বা উৎপাদনের উপকরণ নেই।
-
তারা জীবিকার জন্য তাদের শ্রমশক্তি বিক্রি করে এবং মজুরি পায়।
৪। শ্রেণী দ্বন্দ্ব (Class Conflict):
-
এই দুই শ্রেণীর মধ্যে স্বার্থের সংঘর্ষ বা দ্বন্দ্ব সমাজের পরিবর্তনের প্রধান চালিকাশক্তি।
-
বুর্জোয়া শ্রেণী সম্পদ ও ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়, আর প্রলেতারিয়েট শ্রেণী মুক্তি ও সমতা চায়।
৫। চূড়ান্ত লক্ষ্য:
-
মার্ক্সের মতে, শ্রেণী সংগ্রামের মাধ্যমে পুঁজিবাদ ভেঙে শ্রেণীহীন সমাজ (Classless Society) প্রতিষ্ঠিত হবে, যেখানে উৎপাদনের উপকরণ হবে সমষ্টিগত মালিকানায়।
অতএব, মার্ক্সের মতে সমাজে শ্রেণী বিভাজনের মূল কারণ হলো সম্পত্তি ও উৎপাদনের উপকরণের মালিকানা, এবং সমাজের ইতিহাস আসলে শ্রেণী সংগ্রামের ইতিহাস।

0
Updated: 2 days ago