বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় যুব বেকারত্ব একটি ক্রমবর্ধমান সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা। গ্রামে কর্মসংস্থানের সীমিত সুযোগ, জমির সংকট এবং কৃষির মৌসুমি চরিত্রের কারণে অনেক যুবক জীবিকার সন্ধানে শহরমুখী হচ্ছে।
মূল বিষয়গুলো হলো:
১। কর্মসংস্থানের অভাব: গ্রামীণ এলাকায় শিল্প, কারখানা বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কম থাকায় স্থানীয়ভাবে কাজের সুযোগ সীমিত। ফলে অনেক যুবক বেকার অবস্থায় থাকে।
২। কৃষিনির্ভর অর্থনীতি: অধিকাংশ গ্রামীণ পরিবার কৃষির ওপর নির্ভরশীল, কিন্তু কৃষিকাজ মৌসুমভিত্তিক হওয়ায় বছরজুড়ে কর্মসংস্থান থাকে না।
৩। আবাদযোগ্য জমির সংকট: জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও জমির খণ্ডীকরণের কারণে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ক্রমে কমে যাচ্ছে। এর ফলে কৃষিক্ষেত্রে শ্রমের চাহিদাও হ্রাস পাচ্ছে।
৪। শিক্ষা ও দক্ষতার সীমাবদ্ধতা: অনেক যুবক প্রযুক্তি বা কারিগরি শিক্ষায় অদক্ষ থাকায় বিকল্প পেশায় যুক্ত হতে পারে না।
৫। শহরমুখী প্রবণতা: জীবিকার আশায় ও উন্নত সুযোগের প্রত্যাশায় গ্রামীণ যুবকরা শহরে পাড়ি জমায়, যা নগরায়ণ ও বস্তিবাস বৃদ্ধির কারণ হচ্ছে।
অতএব, গ্রামীণ যুব বেকারত্ব মোকাবেলায় গ্রামে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প স্থাপন, কারিগরি শিক্ষা সম্প্রসারণ এবং কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রয়োজন, যাতে তারা নিজ এলাকায় থেকেই কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়।