২০২৪ সালের বিবিএস তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যার গড় আয়ু কত বছর?
A
৭০.২
B
৭৩.২
C
৭২
D
৭২.৩
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS) প্রকাশিত ২০২৪ সালের তথ্যানুসারে, দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২.৩ বছর। এটি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি ও জীবনমানের উন্নতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত।
প্রধান তথ্যগুলো হলো—
-
মোট গড় আয়ু: ৭২.৩ বছর
-
পুরুষদের গড় আয়ু: ৭০.৮ বছর
-
মহিলাদের গড় আয়ু: ৭৩.৮ বছর
-
তথ্যের উৎস: “বাংলাদেশ স্যাম্পল ভিটাল স্ট্যাটিস্টিকস রিপোর্ট ২০২৩”
-
প্রকাশকাল: ২০২৪ সাল
এই পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, মহিলাদের গড় আয়ু পুরুষদের তুলনায় প্রায় ৩ বছর বেশি। এর কারণ হিসেবে নারীদের স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধি, মাতৃস্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিকে বিবেচনা করা হয়। সামগ্রিকভাবে এই অগ্রগতি বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নের ইতিবাচক ইঙ্গিত বহন করে।

0
Updated: 2 days ago
'আদর্শবাদী,আদর্শ ভিত্তিক এবং ইন্ডীয়গ্রাহ্য' এই ৩টির চক্রাকার আবর্তনে সমাজ পরিবর্তন হয়'-কার উক্তি?
Created: 1 day ago
A
সরোকিন
B
টয়েনবি
C
চ্যাপিন
D
প্যারোটো
পিতিরিম এ. সোরোকিন সামাজিক পরিবর্তনের ব্যাখ্যা দিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব উপস্থাপন করেন, যা চক্রবৃত্তীয় সামাজিক পরিবর্তন তত্ত্ব (Cyclic Theory of Social Change) নামে পরিচিত। তাঁর মতে, সমাজে পরিবর্তন সরলরেখায় ঘটে না; বরং এটি একধরনের চক্রাকার প্রক্রিয়া, যেখানে সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ পর্যায়ক্রমে পুনরাবৃত্ত হয়।
তত্ত্বের মূল বিষয়গুলো হলো—
১। চক্রবৃত্তীয় প্রকৃতি (Cyclic Nature): সমাজ ও সংস্কৃতি কখনও একদিকে অগ্রসর হয়ে স্থায়ী থাকে না। বরং তা এক ধরণের উত্থান-পতনের চক্রে ঘুরতে থাকে। অর্থাৎ, সামাজিক পরিবর্তন সরলরেখায় (Linear) নয়, বরং চক্রাকারভাবে (Cyclical) ঘটে।
২। সংস্কৃতির তিনটি মানসিক রূপ (Three Types of Cultural Mentality):
-
Ideational (আদর্শবাদী): এই ধরণের সংস্কৃতিতে আধ্যাত্মিক, নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রাধান্য পায়। বাস্তবতা এখানে ঈশ্বর, আত্মা ও নৈতিক আদর্শ দ্বারা নির্ধারিত হয়।
-
Sensate (ইন্দ্রিয়নির্ভর): এই পর্যায়ে সমাজ বস্তুবাদী ও ভোগবাদী হয়ে ওঠে। ইন্দ্রিয়সুখ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও বস্তুগত উন্নয়ন এখানে মূল মূল্যবোধ হিসেবে দেখা যায়।
-
Idealistic বা Mixed (মিশ্র): এই ধাপে আদর্শবাদী ও ইন্দ্রিয়নির্ভর মূল্যবোধের সংমিশ্রণ ঘটে। সমাজ একদিকে নৈতিক আদর্শকে ধরে রাখে, অন্যদিকে বাস্তব ও বস্তুগত উন্নয়নেও গুরুত্ব দেয়।
৩। চক্রাকার পরিবর্তনের ধারা (Cyclical Shift): সমাজ ও সংস্কৃতি এই তিন রূপে পর্যায়ক্রমে পরিবর্তিত হয়—
Ideational → Idealistic → Sensate → আবার Ideational। এইভাবে এক পর্যায় শেষ হলে অন্যটি শুরু হয়, এবং সমাজ তার মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্গঠন করে।
সুতরাং, সোরোকিনের মতে, সামাজিক পরিবর্তন কখনো স্থায়ী নয়; বরং এটি সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের ধারাবাহিক ওঠানামার এক অনন্ত চক্র, যা মানব সভ্যতার বিকাশকে নিরন্তর গতিশীল রাখে।

0
Updated: 1 day ago
গারোদের উর্বরতা দেবতার নাম কি?
Created: 1 day ago
A
সুসাইন
B
পোয়ারা
C
কালসেম
D
সালজং
গারো জাতির ধর্মীয় বিশ্বাস ও ঐতিহ্য তাদের সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তারা প্রকৃতি ও বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল। তাদের ঐতিহ্যবাহী ধর্মকে সাংসারেক বলা হয়, যা মূলত প্রকৃতিনির্ভর এক ধর্মব্যবস্থা।
তথ্যগুলো হলো:
-
সাংসারেক ধর্ম গারোদের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ধর্ম, যা প্রকৃতির উপাসনা ও আত্মিক শক্তিতে বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে।
-
এ ধর্মে বহু দেবতার পূজা করা হয়, যারা জীবনের বিভিন্ন দিক যেমন—সূর্য, বৃষ্টি, ফসল, পাহাড় ইত্যাদির সঙ্গে সম্পর্কিত।
-
তাদের প্রধান দেবতা হলেন টাটারা রাবুগা, যিনি সর্বশক্তিমান ও সৃষ্টির অধিপতি বলে বিশ্বাস করা হয়।
-
এছাড়া হর সালজং নামের এক দেবতা আছেন, যিনি সূর্যদেবতা হিসেবে পূজিত হন এবং আলো, শক্তি ও জীবনের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
-
সাংসারেক ধর্মে দেবতাদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, নাচ-গান ও উৎসবের মাধ্যমে তাদের সন্তুষ্ট করাই ধর্মীয় আচারবিধির মূল অংশ।

0
Updated: 1 day ago
'সমাজে মৌল কাঠামোর পরিবর্তন হলে উপরি কাঠামোর পরিবর্তন ঘটে'-কে বলেছেন?
Created: 1 day ago
A
ওয়েভার
B
সরোকিন
C
মার্ক্র
D
স্পেন্সার
কার্ল মার্কস সমাজব্যবস্থাকে বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছিলেন যে সমাজের মূল ভিত্তি অর্থনৈতিক কাঠামোর ওপর নির্ভরশীল। তাঁর মতে, সমাজের সব প্রতিষ্ঠান, ধারণা ও মূল্যবোধ মূলত অর্থনৈতিক শক্তি ও সম্পর্কের দ্বারা প্রভাবিত হয়। এজন্যই তিনি সমাজকাঠামোকে দুটি প্রধান অংশে ভাগ করেছেন।
এই দুটি কাঠামো হলো—
১। মৌল কাঠামো (Base): এটি সমাজের অর্থনৈতিক ভিত্তি, যেখানে উৎপাদন ব্যবস্থা, উৎপাদন সম্পর্ক, সম্পদের বণ্টন ও শ্রমের ভূমিকা অন্তর্ভুক্ত। এই কাঠামো নির্ধারণ করে কে উৎপাদন করবে, কারা উৎপাদনের উপকরণের মালিক, এবং শ্রম কীভাবে ব্যবহৃত হবে। মার্কসের মতে, সমাজের বাস্তব রূপ ও শক্তির সম্পর্ক এই অর্থনৈতিক কাঠামো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
২। উপরি কাঠামো (Superstructure): এটি সমাজের অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর নির্মিত সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সমষ্টি। যেমন—রাষ্ট্র, আইন, শিক্ষা, ধর্ম, সাহিত্য ও সংস্কৃতি। এগুলো সমাজের অর্থনৈতিক স্বার্থকে প্রতিফলিত ও রক্ষা করে।
মার্কস বলেন, অর্থনীতিই সমাজের ভিত্তি, তাই যখন মৌল কাঠামোতে পরিবর্তন ঘটে, তখন স্বাভাবিকভাবেই উপরি কাঠামোতেও পরিবর্তন আসে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো সমাজের উৎপাদনব্যবস্থায় পরিবর্তন ঘটলে তার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থাতেও রূপান্তর ঘটে।
অতএব, মার্কসের এই তত্ত্ব সমাজবিজ্ঞানে এক মৌলিক ধারণা—যে অর্থনৈতিক কাঠামোই সমাজের সব পরিবর্তনের চালিকা শক্তি।

0
Updated: 1 day ago