বাংলাদেশে ২০২৪ বিবিএস তথ্যানুযায়ী স্বাক্ষরতার হার কত?
A
৭০.৭%
B
৭৮.৯%
C
৭৭.৯%
D
৭৬.৯%
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS) প্রকাশিত ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী জনগণের মধ্যে কার্যকর সাক্ষরতার হার ৭৭.৯%। এই পরিসংখ্যান বাংলাদেশের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নের অগ্রগতি নির্দেশ করে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো—
-
মোট সাক্ষরতার হার: ৭৭.৯% (৭ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে)
-
পুরুষদের সাক্ষরতার হার: ৮০.১%
-
মহিলাদের সাক্ষরতার হার: ৭৫.৮%
-
তথ্যের উৎস: “বাংলাদেশ স্যাম্পল ভিটাল স্ট্যাটিস্টিকস ২০২৩: কী ফাইন্ডিংস” প্রতিবেদন
-
প্রকাশকাল: ২০২৪ সালের মার্চ মাসে
এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, দেশে সাক্ষরতার হার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে এখনো লিঙ্গভিত্তিক পার্থক্য বিদ্যমান। নারী শিক্ষা ও গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধিই ভবিষ্যতে এ ব্যবধান কমাতে সহায়তা করতে পারে।

0
Updated: 2 days ago
'প্রগতি হচ্ছে মানবীয় সুখের পরিমান বৃদ্ধি'- কে বলেছেন?
Created: 2 days ago
A
এলউইড
B
ওয়ার্ড
C
ফ্রেজার
D
ম্যালথাস
হর্বার্ট স্পেন্সার (Herbert Spencer) সমাজ পরিবর্তন ও অগ্রগতিকে জৈবিক বিবর্তনের (Organic Evolution) সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁর মতে, যেমন জীবজগৎ সহজ থেকে জটিল রূপে বিকশিত হয়, তেমনি সমাজও সময়ের সাথে ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ করে। সমাজের এই পরিবর্তন প্রাকৃতিক নিয়মে ঘটে এবং এর উদ্দেশ্য হলো মানবকল্যাণ ও সুখ বৃদ্ধি করা।
মূল ধারণাগুলো হলো—
-
সমাজের বিবর্তন: সমাজ একেবারে সহজ, ক্ষুদ্র ও অবিন্যস্ত অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে জটিল, সংগঠিত ও উন্নত অবস্থায় রূপ নেয়।
-
জৈবিক তুলনা: যেমন জীবদেহ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সমন্বয়ে বিকশিত হয়, তেমনি সমাজও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান (পরিবার, শিক্ষা, ধর্ম, অর্থনীতি, রাজনীতি ইত্যাদি) একত্রে বিকশিত হয়ে সামগ্রিক ঐক্য গড়ে তোলে।
-
উদ্দেশ্য: এই ক্রমবিকাশের প্রধান লক্ষ্য হলো মানবীয় সুখ ও কল্যাণের বৃদ্ধি।
-
স্পেন্সারের উক্তি: তিনি বলেন, “Progress is the increase in human happiness.” অর্থাৎ, প্রকৃত অগ্রগতি তখনই ঘটে যখন তা মানুষের সুখ ও মঙ্গল বৃদ্ধি করে।
-
প্রাসঙ্গিক মন্তব্য: যদিও প্রশ্নের উক্ত অপশনে স্পেন্সারের নাম নেই, তবুও এই বক্তব্যটি একমাত্র তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত, কারণ সমাজবিবর্তন ও অগ্রগতিকে জৈবিক নীতির আলোকে ব্যাখ্যা করার কৃতিত্ব তাঁরই।
এখানে সঠিক উত্তর দেওয়া নেই

0
Updated: 2 days ago
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার কে নির্মান করেন?
Created: 3 days ago
A
গোপাল
B
ধর্মপাল
C
লক্ষণ সেন
D
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
অষ্টম শতকে পাল রাজবংশের শাসনামলে বঙ্গদেশে রাজনৈতিক স্থিতি ও সাংস্কৃতিক বিকাশ এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়। এই সময়ের দুই মহান শাসক ধর্মপাল ও তার পুত্র দেবপাল উপমহাদেশে এক বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন, যা উত্তর ভারত, বিহার ও বঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
-
ধর্মপাল (৭৭০–৮১০ খ্রিস্টাব্দ) পাল সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় শাসক ছিলেন। তিনি রাজধানী স্থাপন করেন পাটলিপুত্রে (বর্তমান পাটনা) এবং নালন্দা মহাবিহার পুনর্নির্মাণ ও সম্প্রসারণ করেন।
-
তার শাসনামলে পাল রাজ্য উত্তর ভারতে গৌরবময় অবস্থান অর্জন করে; তিনি কান্নৌজ দখল করে নিজেকে “উত্তর ভারতের সম্রাট” হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।
-
দেবপাল (৮১০–৮৫০ খ্রিস্টাব্দ) ধর্মপালের পুত্র ও উত্তরসূরি হিসেবে পাল সাম্রাজ্যের সীমানা আরও সম্প্রসারিত করেন। তার শাসনকালে সাম্রাজ্য বঙ্গ, বিহার, উড়িষ্যা, আসাম এবং উত্তর ভারতের কিছু অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
-
পাল রাজারা বৌদ্ধ ধর্মের বিশেষ পৃষ্ঠপোষক ছিলেন; বিশেষত তারা মহাযান বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
-
তাদের প্রতিষ্ঠিত সোমপুর মহাবিহার (বর্তমান পাহাড়পুর, বাংলাদেশ) উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় বিহার হিসেবে খ্যাতি লাভ করে এবং বর্তমানে এটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান।
এইভাবে ধর্মপাল ও দেবপালের যুগে পাল সাম্রাজ্য শুধু রাজনৈতিক শক্তিতেই নয়, বরং শিক্ষা, ধর্ম ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও স্বর্ণযুগে উপনীত হয়।

0
Updated: 3 days ago
নিগ্রোদের প্রধান আবাস ভূমি কোথায়?
Created: 3 days ago
A
পলিনেশিয়া
B
আফ্রিকা
C
এশিয়া
D
আমেরিকা
নিগ্রো জনগোষ্ঠী আফ্রিকা মহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও বিস্তৃত মানবগোষ্ঠী, যাদের বসবাস প্রধানত উপ-সাহারান অঞ্চলে। এদের শারীরিক বৈশিষ্ট্য, ভাষা ও সংস্কৃতি আফ্রিকার ভূগোল ও আবহাওয়ার প্রভাব বহন করে।
-
প্রধান আবাস অঞ্চল:
-
পশ্চিম আফ্রিকা: নাইজেরিয়া, ঘানা, সেনেগাল, সিয়েরা লিওন, গাম্বিয়া প্রভৃতি দেশ এই অঞ্চলের প্রধান নিগ্রো আবাসভূমি।
-
মধ্য আফ্রিকা: কঙ্গো, গ্যাবন, ক্যামেরুন ও অ্যাঙ্গোলা অঞ্চলে এই জনগোষ্ঠীর ঘনবসতি রয়েছে।
-
দক্ষিণ আফ্রিকা: জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা ও মোজাম্বিকেও তাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
-
উত্তর ও পূর্ব আফ্রিকা: এই অঞ্চলে নিগ্রো জনগোষ্ঠীর উপস্থিতি তুলনামূলক কম; এখানে হামাইট ও সেমিট জাতিগোষ্ঠীর আধিক্য পরিলক্ষিত হয়।
-
-
বৈশিষ্ট্যগতভাবে:
-
গায়ের রং সাধারণত গাঢ় কৃষ্ণ বর্ণের।
-
কোঁকড়া বা ঘন চুল, যা গরম আবহাওয়ার সঙ্গে অভিযোজিত।
-
প্রশস্ত নাক ও ঠোঁট, যা শারীরিক গঠনে স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
-
সাধারণত শক্তপোক্ত দেহ ও গঠনগতভাবে সহনশীল প্রকৃতির।
-
এইভাবে নিগ্রো জনগোষ্ঠী আফ্রিকার একটি বৃহৎ নৃগোষ্ঠী, যারা তাদের স্বতন্ত্র শারীরিক বৈশিষ্ট্য, সংস্কৃতি ও ভাষাগত বৈচিত্র্যের মাধ্যমে মহাদেশটির সামাজিক ও মানবিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

0
Updated: 3 days ago