’বিপরীত শব্দ’ ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
A
অর্থতত্ত্ব
B
ধ্বনিতত্ত্ব
C
রূপতত্ত্ব
D
বাক্যতত্ত্ব
উত্তরের বিবরণ
ব্যাকরণের বিভিন্ন অংশ ভাষার গঠন ও ব্যবহারকে বিশ্লেষণ করে ব্যাখ্যা করে। এর মধ্যে অর্থতত্ত্ব হলো সেই অংশ যেখানে শব্দ ও বাক্যের অর্থ এবং তার ব্যঞ্জনা বিশ্লেষণ করা হয়। নিচে প্রতিটি অংশের আলোচ্য বিষয় উল্লেখ করা হলো—
-
অর্থতত্ত্ব: ব্যাকরণের যে অংশে শব্দ, বর্গ ও বাক্যের অর্থ নিয়ে আলোচনা করা হয়, সেটি অর্থতত্ত্ব নামে পরিচিত। একে বাগর্থতত্ত্বও বলা হয়। এতে বিপরীত শব্দ, প্রতিশব্দ, শব্দজোড়, বাগধারা প্রভৃতি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে। এছাড়াও শব্দ, বর্গ ও বাক্যের ব্যঞ্জনা নিয়েও এখানে আলোচনা করা হয়।
-
ধ্বনিতত্ত্ব: এই অংশে বাগ্যন্ত্র ও তার উচ্চারণ-প্রক্রিয়া, ধ্বনির বিন্যাস, স্বর ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য, এবং ধ্বনিদল সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা করা হয়।
-
রূপতত্ত্ব: এতে বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়া, ক্রিয়াবিশেষণ এবং শব্দগঠন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
বাক্যতত্ত্ব: এখানে কারক বিশ্লেষণ, বাক্যের যোগ্যতা, বাক্যের উপাদান লোপ, ও যতিচিহ্ন সম্পর্কিত বিষয় ব্যাখ্যা করা হয়।

0
Updated: 2 days ago
নিচের কোনটি সঠিক?
Created: 3 weeks ago
A
চলৎ + শক্তি = চলৎশক্তি
B
চলৎ + শক্তি = চলচ্ছক্তি
C
চলৎ + শক্তি = চলতশক্তি
D
চলৎ + শক্তি = চলচ্চক্তি
সন্ধি নিয়ম (ত/দ + শ → চ/ছ + ছ)
১. সূত্র:
-
যদি ত বা দ-এর পরে শ থাকে, তাহলে ত/দ-এর স্থলে চ এবং শ-এর স্থলে ছ উচ্চারিত হয়।
২. উদাহরণ:
-
চলৎ + শক্তি = চলচ্ছক্তি
-
উৎ + শৃঙ্খল = উচ্ছৃঙ্খল
-
উৎ + শ্বাস = উচ্ছ্বাস

0
Updated: 3 weeks ago
"আ + উ = ও"- সন্ধি বিচ্ছেদের এই নিয়মে গঠিত শব্দ কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
দীর্ঘোচ্চারণ
B
কথোপকথন
C
গঙ্গোর্মি
D
নবোঢ়া
• স্বরসন্ধির নিয়ম:
বাংলা ভাষায় দুটি পদ একত্রিত হলে কিছু নির্দিষ্ট স্বরধ্বনি পরিবর্তন ঘটে। বিশেষত, প্রথম পদের শেষের অ-ধ্বনি বা আ-ধ্বনি এবং দ্বিতীয় পদের প্রথম উ বা ঊ ধ্বনির সংযোগে ও-ধ্বনি সৃষ্টি হয়। বানানে এটি ও-কারের রূপ হিসেবে প্রকাশ পায়।
উদাহরণসমূহ:
-
অ + উ = ও:
-
সর্ব + উচ্চ → সর্বোচ্চ
-
সূর্য + উদয় → সূর্যোদয়
-
দীর্ঘ + উচ্চারণ → দীর্ঘোচ্চারণ
-
প্রশ্ন + উত্তর → প্রশ্নোত্তর
-
অ + ঊ = ও:
-
নব + ঊঢ়া → নবোঢ়া
-
সর্ব + ঊর্ধ্ব → সর্বোর্ধ্ব
-
আ + উ = ও:
-
যথা + উচিত → যথোচিত
-
কথা + উপকথন → কথোপকথন
-
যথা + উপযুক্ত → যথোপযুক্ত
-
আ + ঊ = ও:
-
গঙ্গা + ঊর্মি → গঙ্গোর্মি
-
মহা + ঊর্মি → মহোর্মি
-
মহা + ঊর্ধ্ব → মহোর্ধ্ব
সংক্ষেপে:
অ/আ + উ/ঊ → ও-কার (যথাযথভাবে মিলিত হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয়)।

0
Updated: 2 weeks ago
নিচের কোন বানানটি শুদ্ধ?
Created: 3 weeks ago
A
ষান্মাসিক
B
স্নেহাষ্পদ
C
নির্নীমেষ
D
পূর্বাহ্ণ
প্রমিত বাংলা বানানের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে, যেখানে উপসর্গ ও প্রত্যয়ের সংযোগে ধ্বনিগত পরিবর্তন ঘটে। সেই নিয়ম অনুযায়ী ‘অহ্ন’ প্রত্যয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
-
তৎসম শব্দে ‘অপর, পরা, পূর্ব, প্রা’ ইত্যাদি উপসর্গের সঙ্গে ‘অহ্ন’ প্রত্যয় যুক্ত হলে, ‘অহ্ন’ শব্দের দন্ত্য ‘ন’ পরিবর্তিত হয়ে মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়।
যেমন: অপরাহ্ণ, পরাহ্ণ, প্রাহ্ণ, পূর্বাহ্ণ। -
প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুযায়ী, শুদ্ধ বানান হলো ‘পূর্বাহ্ণ’।

0
Updated: 2 weeks ago