একটি পাবলিক কোম্পানি নতুন শেয়ার ইস্যু করলে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে?
A
সিকিউরিটিজের মূল্য নির্ধারন
B
ইস্যুটির অবলেখন সংক্রান্ত জাটলতা
C
স্প্রেড নির্ধারন
D
বিদ্যমান শেয়ারের মূলা হ্রাস
উত্তরের বিবরণ
যখন একটি পাবলিক কোম্পানি নতুন শেয়ার ইস্যু করে, তখন সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দেয় বিদ্যমান শেয়ারের মূল্য হ্রাসে (Dilution of Existing Shares)। নতুন শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে শেয়ারের সংখ্যা বেড়ে যায়, ফলে পূর্ববর্তী শেয়ারহোল্ডারদের মালিকানার অংশ ও প্রতি শেয়ারে আয়ের হার (EPS) কমে যায়।
বিষয়টি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা যায়ঃ
-
নতুন শেয়ার ইস্যুর ফলে মোট শেয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, কিন্তু কোম্পানির মোট আয় অপরিবর্তিত থাকলে প্রতি শেয়ারে আয় (Earnings per Share) অনুপাতে কমে যায়।
-
এই অবস্থায় বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের মালিকানার শতকরা হার ও ভোটাধিকার হ্রাস পায়।
-
Dilution effect বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিতে নেতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ এটি তাদের প্রতি শেয়ারের সম্ভাব্য রিটার্ন কমিয়ে দেয়।
-
যদিও সিকিউরিটিজের মূল্য নির্ধারণ সাধারণত ব্যাংক বা ব্রোকারদের মাধ্যমে করা হয় এবং অবলেখন (Underwriting) বা স্প্রেড নির্ধারণে কিছু জটিলতা থাকতে পারে, তবুও এগুলো মূল সমস্যা নয়।
-
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো — বিদ্যমান শেয়ারের মূল্য ও শেয়ারহোল্ডারদের অংশীদারিত্ব হ্রাস পাওয়া, অর্থাৎ Dilution of Existing Shares।

0
Updated: 2 days ago
Internet Banking এ "Two Factor Authentication' বলতে কি বুঝায়?
Created: 2 days ago
A
একই ব্যাংকে দুইটি একাউন্ট থাকা
B
পাসওয়ার্ডের সাথে OTP ব্যবহার করা
C
একই পাস ওয়ার্ড দুইবার ব্যবহার করা
D
পাসওয়ার্ডের সাথে টেলিফোন ব্যাংকিং ব্যবহার করা
Two-Factor Authentication (2FA) হলো এমন একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেখানে ব্যবহারকারীর পরিচয় যাচাইয়ের জন্য দুটি ভিন্ন প্রমাণীকরণ স্তর ব্যবহার করা হয়। এর উদ্দেশ্য হলো অ্যাকাউন্ট বা সিস্টেমে অননুমোদিত প্রবেশ প্রতিরোধ করা এবং নিরাপত্তা বাড়ানো।
-
প্রথম ধাপ: ব্যবহারকারী তার ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড প্রদান করে, যা প্রাথমিক পরিচয় যাচাই হিসেবে কাজ করে।
-
দ্বিতীয় ধাপ: ব্যবহারকারীর নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে প্রেরিত OTP (One-Time Password) বা অ্যাপ-ভিত্তিক ভেরিফিকেশন কোড ব্যবহার করা হয়। এটি প্রমাণ করে যে লগইন করার চেষ্টা করা ব্যক্তি প্রকৃত ব্যবহারকারীই।
-
এই দুই ধাপ একত্রে ব্যবহার করার ফলে যদি প্রথম স্তর (পাসওয়ার্ড) ফাঁসও হয়ে যায়, তবুও দ্বিতীয় স্তর ছাড়া প্রবেশ সম্ভব নয়।
-
ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, ইমেল সার্ভিস ও অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমে 2FA ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
-
এটি ফিশিং, পাসওয়ার্ড চুরি ও হ্যাকিং আক্রমণ থেকে ব্যবহারকারীর আর্থিক ও ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 2 days ago
সময় ও সুদের হারের সাথে ভবিষ্যত মূল্যের সম্পর্ক?
Created: 2 days ago
A
শূন্য
B
ঋণাত্মক
C
ধনাত্মক
D
কোনোটিই নয়
সময় এবং সুদের হার — উভয়ের সাথেই ভবিষ্যৎ মূল্যের (Future Value) সম্পর্ক ধনাত্মক বা সমমুখী (positive relationship)। অর্থাৎ, সময় বা সুদের হার যত বাড়বে, বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ মূল্যও তত বৃদ্ধি পাবে; বিপরীতে, সময় বা সুদের হার কমলে ভবিষ্যৎ মূল্যও হ্রাস পাবে।
পয়েন্টগুলো নিম্নরূপ
-
সময়: সময়কাল যত দীর্ঘ হয়, চক্রবৃদ্ধি সুদের (compound interest) প্রভাবে ভবিষ্যৎ মূল্য তত দ্রুত বৃদ্ধি পায়, কারণ সুদ শুধু মূলধনের উপর নয়, আগের সুদের উপরও জমা হয়।
-
সুদের হার: সুদের হার যত বেশি হবে, প্রতি সময়কালে অর্জিত সুদের পরিমাণ তত বেশি হবে, ফলে ভবিষ্যৎ মূল্যও বৃদ্ধি পাবে।
-
ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণের সূত্র হলো FV = PV (1 + r)^n, যেখানে FV = ভবিষ্যৎ মূল্য, PV = বর্তমান মূল্য, r = সুদের হার, এবং n = সময়কাল।
-
যদিও সুদের হার ও ভবিষ্যৎ মূল্যের মধ্যে সম্পর্ক ধনাত্মক, তবুও এটি রৈখিক নয় (non-linear) — অর্থাৎ, সুদের হার দ্বিগুণ হলেও ভবিষ্যৎ মূল্য দ্বিগুণ হয় না, বরং চক্রবৃদ্ধি প্রভাবে আরো বেশি বৃদ্ধি পায়।
-
এই সম্পর্ক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত, ঋণ বিশ্লেষণ এবং আর্থিক পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

0
Updated: 2 days ago
ব্যাংক ও গ্রাহকের মধ্যে কোন সম্পর্কটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?
Created: 2 days ago
A
দেনাদার ও পাওনাদার
B
জামিনগ্রহিতা ও জামিন দাতা
C
প্রতিনিধি ও প্রধান
D
ট্রাস্টি ও সুবিধাভোগী
ব্যাংক ও গ্রাহকের সম্পর্ক মূলত দেনাদার ও পাওনাদার সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে গঠিত, যা ব্যাংকিং লেনদেনের মূল কাঠামো তৈরি করে। এই সম্পর্কের ধরন নির্ভর করে অর্থের প্রবাহ কোন দিকে হচ্ছে তার উপর।
-
যখন গ্রাহক ব্যাংকে টাকা জমা দেন, তখন ব্যাংক সেই অর্থ ব্যবহার করতে পারে, ফলে ব্যাংক হয় দেনাদার (Debtor) এবং গ্রাহক হন পাওনাদার (Creditor)।
-
বিপরীতে, যখন গ্রাহক ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেন, তখন গ্রাহক হন দেনাদার এবং ব্যাংক হয় পাওনাদার।
-
এই সম্পর্কের মাধ্যমেই ব্যাংক ও গ্রাহকের মধ্যে মৌলিক লেনদেনের ভিত্তি গড়ে ওঠে।
-
এছাড়াও ব্যাংক ও গ্রাহকের মধ্যে অছি (Trustee), এজেন্ট (Agent) বা বিনিয়োগ পরামর্শদাতা (Advisor) হিসেবেও সম্পর্ক থাকতে পারে, যা নির্ভর করে নির্দিষ্ট লেনদেন বা সেবার ধরন অনুযায়ী।
-
সারাংশে, ব্যাংক ও গ্রাহকের সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দু হলো আস্থা ও আর্থিক দায়বদ্ধতা, যা আর্থিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে।

0
Updated: 2 days ago