বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য নিচের কোনটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ?
A
দ্রুত নগরায়ন
B
যোগাযোগের অভাব
C
কৃষি উৎপাদনশীলতা কম ও নিম্ন কর্মসংস্থান
D
মূল্যস্ফীতি
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতির প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো কৃষি উৎপাদনশীলতা কম থাকা এবং কর্মসংস্থানের নিম্ন হার। দেশের অধিকাংশ জনগণ এখনো কৃষিনির্ভর, তাই কৃষি খাতের অকার্যকারিতা সরাসরি গ্রামীণ জীবিকা, আয় এবং জীবনমানকে প্রভাবিত করে।
-
কৃষি উৎপাদনশীলতা কম ও নিম্ন কর্মসংস্থান: কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তির সীমিত ব্যবহার, পর্যাপ্ত বিনিয়োগের অভাব এবং শ্রমের সঠিক ব্যবহারের ঘাটতি উৎপাদনকে সীমিত করে। পাশাপাশি, কৃষিতে মৌসুমি কাজের আধিক্যের কারণে সারা বছর কর্মসংস্থানের সুযোগ কম, যা দারিদ্র্য বৃদ্ধি করে।
-
দ্রুত নগরায়ন: শহরমুখী জনস্রোত গ্রামীণ অঞ্চলে শ্রমিক ঘাটতি তৈরি করে এবং কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয়।
-
যোগাযোগের অভাব: রাস্তা, পরিবহন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সীমাবদ্ধতা গ্রামীণ পণ্য বাজারজাতকরণ ও শিল্প বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
-
মূল্যস্ফীতি: দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে গ্রামীণ জনগণের ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়, যা স্থানীয় বাজারে চাহিদা হ্রাস ঘটায় এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সুতরাং, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে কৃষি উৎপাদনশীলতা কম থাকা ও নিম্ন কর্মসংস্থানই বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

0
Updated: 2 days ago
কোন ধরনের মূলধনের জন্য লভ্যাংশ প্রদান করা হয়?
Created: 2 days ago
A
অনুমোদিত মূলধন
B
জারিকৃত মূলধন
C
পরিশোধিত মূলধন
D
তলবি মূলধন
লভ্যাংশ (Dividend) প্রদান করা হয় শুধুমাত্র সেই মূলধনের উপর, যা শেয়ারহোল্ডাররা বাস্তবে কোম্পানিতে পরিশোধ করেছে, অর্থাৎ পরিশোধিত মূলধন (Paid-up Capital)। কারণ এটি কোম্পানির হাতে বাস্তবিকভাবে থাকা অর্থ, যা ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহারযোগ্য। অনুমোদিত বা জারিকৃত মূলধনের সম্পূর্ণ পরিমাণ কোম্পানির কাছে আসে না, তাই সেগুলোর উপর লভ্যাংশ প্রদান করা যৌক্তিক নয়।
পয়েন্টগুলো নিম্নরূপ
-
অনুমোদিত মূলধন (Authorized Capital): এটি হলো সর্বোচ্চ পরিমাণ মূলধন যা কোম্পানি আইনত শেয়ার ইস্যু করার অনুমতি পায়। এটি কোম্পানির সংবিধি (Memorandum of Association) দ্বারা নির্ধারিত হয়।
-
জারিকৃত মূলধন (Issued Capital): কোম্পানি অনুমোদিত মূলধনের একটি অংশ শেয়ারহোল্ডারদের কাছে ইস্যু করে, তবে এই অর্থের পুরোটা কোম্পানির হাতে আসে না যতক্ষণ না তা পরিশোধ করা হয়।
-
তলবি মূলধন (Called-up Capital): এটি জারিকৃত মূলধনের সেই অংশ যা কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে পরিশোধের জন্য আহ্বান করেছে, যদিও তা সম্পূর্ণ পরিশোধিত না-ও হতে পারে।
-
পরিশোধিত মূলধন (Paid-up Capital): এটি হলো তলবি মূলধনের সেই অংশ, যা শেয়ারহোল্ডাররা বাস্তবে পরিশোধ করেছে এবং কোম্পানির হাতে এসেছে।
-
যেহেতু কোম্পানি বাস্তব ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও লভ্যাংশ প্রদানের জন্য এই অর্থই ব্যবহার করতে পারে, তাই লভ্যাংশ প্রদান করা হয় শুধুমাত্র পরিশোধিত মূলধনের উপর।
-
এই নীতি কোম্পানির আর্থিক স্বচ্ছতা বজায় রাখে এবং অবাস্তব বা অসম্পূর্ণ মূলধনের উপর লভ্যাংশ বিতরণের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।

0
Updated: 2 days ago
কোন শেয়ার নতুন কোনো মূলধনের যোগান দেয় না?
Created: 2 days ago
A
সাধারন শেয়ার
B
রাইট শেয়ার
C
অগ্রাধিকার শেয়ার
D
বোনাস শেয়ার
বোনাস শেয়ার কোনো নতুন মূলধন যোগান দেয় না, কারণ এটি কোম্পানির ইতিমধ্যে অর্জিত সংরক্ষিত মুনাফা (retained earnings) থেকে ইস্যু করা হয়। এই শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের নতুন করে অর্থ প্রদান করতে হয় না; বরং কোম্পানি তার মুনাফার একটি অংশ শেয়ার আকারে বিতরণ করে।
পয়েন্ট আকারে ব্যাখ্যা:
-
বোনাস শেয়ার: এটি কোম্পানির মুনাফা থেকে বিনামূল্যে বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এর ফলে কোম্পানির শেয়ার মূলধন বৃদ্ধি পায়, কিন্তু নগদ অর্থের কোনো প্রবাহ ঘটে না।
-
এই প্রক্রিয়ায় কোম্পানির মোট সম্পদের পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকে, শুধুমাত্র মূলধনের গঠন (capital structure) পরিবর্তিত হয়।
-
সাধারণ শেয়ার (Ordinary Share): এটি নতুন বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে নগদ অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে কোম্পানির মূলধন বৃদ্ধি করে।
-
রাইট শেয়ার (Right Share): এটি বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের নির্দিষ্ট মূল্যে নতুন শেয়ার ক্রয়ের অধিকার দেয়, যার মাধ্যমে কোম্পানি নতুন মূলধন সংগ্রহ করে।
-
অগ্রাধিকার শেয়ার (Preference Share): এটিও নতুন মূলধন যোগানের জন্য ইস্যু করা হয়, যেখানে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পাওয়ার অধিকার রাখে।
-
সুতরাং, বোনাস শেয়ার কেবল লাভের পুনর্বণ্টন নির্দেশ করে, এটি নতুন মূলধনের উৎস নয়।

0
Updated: 2 days ago
ঋণের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহের সুবিধা কোনটি?
Created: 2 days ago
A
সুদ হ্রাস পায়
B
কর হ্রাস পায়
C
মুনাফা বৃদ্ধি পায়
D
তহবিল বৃদ্ধি পায়
যখন কোনো প্রতিষ্ঠান ঋণ গ্রহণ করে, তখন সেই ঋণের উপর প্রদত্ত সুদ (Interest Expense) কর হিসাবের সময় ব্যয় হিসেবে গণ্য হয়। ফলে এটি করযোগ্য আয় কমিয়ে কোম্পানিকে কর সাশ্রয়ের সুবিধা দেয়, যা Tax Shield নামে পরিচিত।
-
ঋণের সুদ করযোগ্য আয়ের হিসাবের আগে ব্যয় হিসেবে বাদ দেওয়া হয়, ফলে করযোগ্য আয় কমে যায়।
-
করযোগ্য আয় কমে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানের পরিশোধযোগ্য করের পরিমাণও কমে যায়।
-
এই সুবিধাকেই বলা হয় Tax Shield, যা কোম্পানির জন্য একটি আর্থিক সুবিধা সৃষ্টি করে।
-
ঋণভিত্তিক অর্থায়ন (Debt Financing) ব্যবহারের অন্যতম কারণ হলো এই কর সাশ্রয়ের সুযোগ।
-
অর্থাৎ, ঋণের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করলে কোম্পানি সুদের ব্যয় করযোগ্য আয় থেকে বাদ দিতে পারে, যা নিট মুনাফা বৃদ্ধি ও করের চাপ হ্রাসে সহায়তা করে।

0
Updated: 2 days ago