উচ্চ ঝুঁকি ও উচ্চ রিটার্ন সম্বলিত বন্ড কোনটি?
A
ইনভেস্টমেন্ট গ্রেড বন্ড
B
জাংক বন্ড
C
ডিসকাউন্ট বন্ড
D
উপরের সবগুলো
উত্তরের বিবরণ
Junk Bonds হলো এমন বন্ড যা উচ্চ ঝুঁকি এবং উচ্চ রিটার্ন উভয়ই বহন করে। এই বন্ডগুলো সাধারণত সেইসব কোম্পানি ইস্যু করে যাদের আর্থিক অবস্থান দুর্বল বা যাদের ডিফল্ট (খেলাপি) হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য এসব কোম্পানি সাধারণের তুলনায় উচ্চ সুদের হার (High Yield) প্রদান করে, যাতে বিনিয়োগকারীরা অতিরিক্ত ঝুঁকির জন্য ক্ষতিপূরণ পান।
-
Investment Grade Bonds: এই বন্ডগুলোর ক্রেডিট রেটিং উচ্চ হওয়ায় ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম, তাই এর রিটার্নও কম হয়। বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেন বলে এগুলো কম সুদে বিক্রি হয়।
-
Discount Bonds: এগুলো এমন বন্ড যা অভিহিত মূল্যের চেয়ে কম দামে বিক্রি হয়। তবে এর ঝুঁকি ও রিটার্ন নির্ভর করে ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থান, বাজার পরিস্থিতি এবং সুদের হারের পরিবর্তনের উপর—শুধুমাত্র ডিসকাউন্ট দামে বিক্রি হওয়া এর ঝুঁকি নির্ধারণ করে না।
-
Junk Bonds মূলত “High Yield Bonds” নামেও পরিচিত, এবং বিনিয়োগকারীরা এতে বেশি মুনাফা পাওয়ার সম্ভাবনার পাশাপাশি উচ্চ খেলাপির ঝুঁকিও গ্রহণ করেন।

0
Updated: 2 days ago
অর্থায়নে কার্যকরী মূলধন বলতে কী বুঝায়?
Created: 2 days ago
A
মোট সম্পদ
B
স্থায়ী সম্পদ
C
চলতি সম্পদ
D
কোনোটিই নয়
একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় মূলধনকে বলা হয় কার্যকরী মূলধন (Working Capital)। এটি প্রতিষ্ঠানের স্বল্পমেয়াদী আর্থিক স্বাস্থ্যের সূচক এবং চলতি সম্পদ ও চলতি দায়ের পার্থক্যের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়।
পয়েন্টগুলো নিম্নরূপ
-
কার্যকরী মূলধন = চলতি সম্পদ (Current Assets) – চলতি দায় (Current Liabilities)।
-
চলতি সম্পদ (Current Assets): এতে অন্তর্ভুক্ত হয় নগদ অর্থ, ব্যাংক ব্যালেন্স, গ্রাহক পাওনা (Debtors), মজুত দ্রব্য (Stock), স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগ ইত্যাদি। এগুলো এক বছরের মধ্যে নগদে রূপান্তরযোগ্য।
-
চলতি দায় (Current Liabilities): এতে অন্তর্ভুক্ত হয় সরবরাহকারীদের পাওনা (Creditors), স্বল্পমেয়াদী ঋণ (Short-term Loans), প্রদেয় খরচ, বেতন বা কর পরিশোধযোগ্য অঙ্ক ইত্যাদি, যা এক বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়।
-
কার্যকরী মূলধন একটি প্রতিষ্ঠানের তারল্য (Liquidity) ও অপারেশনাল দক্ষতা নির্দেশ করে। পর্যাপ্ত কার্যকরী মূলধন থাকলে প্রতিষ্ঠান নিয়মিত ব্যয় নির্বাহ ও ঋণ পরিশোধে সক্ষম হয়।
-
অপরদিকে, কার্যকরী মূলধনের ঘাটতি থাকলে প্রতিষ্ঠান তার দৈনন্দিন কার্যক্রমে আর্থিক সংকটে পড়তে পারে, যা উৎপাদন ও বিক্রয় প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে।
-
তাই, কার্যকরী মূলধনের সঠিক ব্যবস্থাপনা ব্যবসার স্থিতিশীলতা, তারল্য ও লাভজনকতা রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 2 days ago
কোনটি অভ্যন্তরীণ তহবিলের উৎস?
Created: 2 days ago
A
কর্পোরেট বন্ড
B
সাধারণ স্টক
C
বাণিজ্যিক পত্র
D
সংরক্ষিত আয় ও পরিশোধকৃত নগদ প্রবাহ
অভ্যন্তরীণ তহবিলের উৎস বলতে বোঝায় কোনো প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয় বা মুনাফার সেই অংশ, যা পুনঃবিনিয়োগ বা ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। এটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বনির্ভরতা বাড়ায় এবং বাইরের ঋণ বা বিনিয়োগের উপর নির্ভরতা কমায়।
-
সংরক্ষিত আয় (Retained Earnings): মুনাফার সেই অংশ যা লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ না করে ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণ বা বিনিয়োগে ব্যবহার করা হয়।
-
পরিশোধকৃত নগদ প্রবাহ (Free Cash Flow): ব্যয় ও বিনিয়োগ বাদ দিয়ে যে নগদ অর্থ অবশিষ্ট থাকে, সেটি পুনঃবিনিয়োগের জন্য ব্যবহার করা যায়।
-
অভ্যন্তরীণ তহবিল সাধারণত কম খরচে, কম ঝুঁকিতে এবং দ্রুত ব্যবহারের উপযোগী।
-
অন্যদিকে, কর্পোরেট বন্ড, সাধারণ স্টক ও বাণিজ্যিক পত্র হলো বাহ্যিক তহবিলের উৎস, যা বাইরের বাজার বা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়।
-
বাহ্যিক তহবিল সংগ্রহে সুদের খরচ, শেয়ার ইস্যুর ব্যয় ও বাজার ঝুঁকি যুক্ত থাকে, তাই ফার্মগুলো সাধারণত প্রথমে অভ্যন্তরীণ তহবিল ব্যবহার করতে চায়।
-
এই নীতি “Pecking Order Theory” দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়, যেখানে বলা হয়—কোম্পানিগুলো প্রথমে অভ্যন্তরীণ তহবিল, পরে ঋণ এবং সর্বশেষে ইক্যুইটি অর্থায়নকে অগ্রাধিকার দেয়।

0
Updated: 2 days ago
যে বিনিয়োগকারী ঝুঁকি নিতে চায় সে কোন সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করবে?
Created: 2 days ago
A
সাধারণ শেয়ার
B
অগ্রাধিকার শেয়ার
C
বন্ড
D
ডিবেঞ্চার
যে বিনিয়োগকারী উচ্চ ঝুঁকি নিতে ইচ্ছুক, সে সাধারণত সাধারণ শেয়ারে (Ordinary Shares) বিনিয়োগ করে। কারণ এই শেয়ারগুলোতে লাভের সম্ভাবনা বেশি হলেও ক্ষতির ঝুঁকিও বেশি, এবং কোম্পানির আর্থিক অবস্থা বা বাজার পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে লভ্যাংশ প্রদানে অনিশ্চয়তা থাকে।
-
সাধারণ শেয়ারধারীরা কোম্পানির প্রকৃত মালিক হিসেবে ভোটাধিকার পায়, তবে কোম্পানি বিলুপ্ত হলে তাদের দাবি সবার শেষে পরিশোধ করা হয়।
-
কোম্পানি লাভ করলেও লভ্যাংশ প্রদানের কোনো নিশ্চয়তা থাকে না, কারণ এটি পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।
-
অন্যদিকে, অগ্রাধিকার শেয়ার (Preference Shares) নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ প্রদান নিশ্চিত করে, এবং কোম্পানি বিলুপ্ত হলে তাদের দাবি সাধারণ শেয়ারধারীদের আগে মেটানো হয়।
-
বন্ড ও ডিবেঞ্চার হলো ঋণপত্র, যা নির্দিষ্ট সুদের হারে আয় প্রদান করে এবং মূলধন ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা বেশি থাকে।
-
তাই ঝুঁকিপ্রবণ বিনিয়োগকারীরা সাধারণ শেয়ার পছন্দ করেন, আর ঝুঁকি এড়াতে ইচ্ছুক বিনিয়োগকারীরা অগ্রাধিকার শেয়ার, বন্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হন।

0
Updated: 2 days ago