গ্রাহক চিহ্নিত করনের ক্ষেত্রে Psychographic Segmentation কিসের উপর ভিত্তি করে হয়?
A
বয়স ও আয়
B
শিক্ষা ও পেশা
C
জীবনধারা, মূল্যবোধ ও আগ্রহ
D
অবস্থান ও অঞ্চল
উত্তরের বিবরণ
Psychographic Segmentation হলো এমন একটি বাজার বিভাজন পদ্ধতি, যেখানে গ্রাহকদের ভাগ করা হয় তাদের জীবনধারা (Lifestyle), মূল্যবোধ (Values), মনোভাব (Attitudes), আগ্রহ (Interests) এবং ব্যক্তিত্ব (Personality) অনুসারে। এটি শুধুমাত্র জনসংখ্যাগত বা ভৌগোলিক উপাদানের বাইরে গিয়ে গ্রাহকদের মানসিক ও সামাজিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বিভাজন করে।
পয়েন্ট আকারে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যায়ঃ
-
Demographic Segmentation: বয়স, লিঙ্গ, আয়, শিক্ষা, পেশা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে গ্রাহক শ্রেণিবিন্যাস।
-
Geographic Segmentation: গ্রাহকদের অবস্থান, যেমন দেশ, অঞ্চল, শহর বা জলবায়ু অনুযায়ী বিভাজন।
-
Psychographic Segmentation: গ্রাহকদের জীবনধারা, মূল্যবোধ, আগ্রহ, মনোভাব ও ব্যক্তিত্ব অনুসারে শ্রেণিবিন্যাস।
-
Behavioral Segmentation: গ্রাহকের ক্রয় আচরণ, ব্যবহার প্যাটার্ন, ব্র্যান্ড আনুগত্য ও ক্রয় উপলক্ষ অনুযায়ী বিভাজন।
-
Psychographic বিভাজন প্রতিষ্ঠানকে গ্রাহকের আচরণগত প্রেরণা ও মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে, ফলে বিপণন কৌশল আরও নির্দিষ্ট ও কার্যকর হয়।
সঠিক উত্তর: জীবনধারা, মূল্যবোধ ও আগ্রহ (Lifestyle, Values & Interests)

0
Updated: 2 days ago
মূলধন বাজেটিং পদ্ধতির কাজ কি?
Created: 2 days ago
A
প্রকল্প গ্রহণ
B
বাট্টার হার নির্ণয়
C
লাভজনক প্রকল্প নির্বাচন
D
কোনোটিই নয়
মূলধন বাজেটিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে লাভজনক প্রকল্প নির্বাচন করা। এটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের সম্ভাবনা যাচাই করতে সাহায্য করে এবং আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
এটি বিভিন্ন প্রকল্পের সম্ভাব্য নগদ প্রবাহ (cash flow) বিশ্লেষণ করে।
-
বিনিয়োগের ঝুঁকি মূল্যায়ন করে এবং ঝুঁকির মাত্রা অনুযায়ী বাট্টা হার নির্ধারণ করা হয়।
-
বিনিয়োগের কার্যকারিতা যাচাই করে কোন প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদে বেশি মুনাফা দেবে তা নির্ধারণ করে।
-
প্রকল্প গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত আসে মূলধন বাজেটিং প্রক্রিয়ার ফলাফল হিসেবে, এটি নিজে কাজ নয়।
-
বাট্টা হার নির্ণয় আসলে Discount Rate নির্ধারণের একটি ধাপ, যা মূলধন বাজেটিং পদ্ধতির সহায়ক অংশ।

0
Updated: 2 days ago
তহবিলের সবচেয়ে ব্যয়বহল উৎস কোনটি?
Created: 2 days ago
A
নতুন সাধারন শেয়ার
B
নতুন অগ্রাধিকার শেয়ার
C
নতুন ঋণ
D
সংরক্ষিত মুনাফা
তহবিলের সবচেয়ে ব্যয়বহুল উৎস হলো নতুন সাধারণ শেয়ার (New Common Stock), কারণ এটি কোম্পানির জন্য উচ্চ মূলধন ব্যয়ের প্রতিনিধিত্ব করে। সাধারণ শেয়ারের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করলে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশিত রিটার্ন বেশি হয়, যা কোম্পানির খরচও বৃদ্ধি করে।
বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা যায়ঃ
-
সাধারণ শেয়ার (Common Stock):
-
শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির মুনাফার অংশীদার, তাই তারা তুলনামূলকভাবে উচ্চ রিটার্নের প্রত্যাশা করে।
-
কোম্পানি লভ্যাংশ দিতে আইনগতভাবে বাধ্য নয়, কিন্তু শেয়ারহোল্ডারদের প্রত্যাশা পূরণ না হলে বাজারমূল্য হ্রাস পেতে পারে।
-
সাধারণ শেয়ারের ঝুঁকি বেশি, কারণ অবসায়নের সময় (liquidation) তাদের দাবি সবার শেষে আসে।
-
এ কারণে বিনিয়োগকারীরা বেশি রিটার্ন দাবি করে, যা কোম্পানির জন্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল তহবিল উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
-
অগ্রাধিকার শেয়ার (Preferred Stock):
-
সাধারণ শেয়ারের তুলনায় কম ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ অগ্রাধিকার শেয়ারহোল্ডাররা নির্দিষ্ট লভ্যাংশ পেয়ে থাকে এবং অবসায়নের সময় তাদের দাবি সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের আগে নিষ্পত্তি হয়।
-
তাই এর মূলধন ব্যয় সাধারণ শেয়ারের তুলনায় কম।
-
-
ঋণ (Debt):
-
এটি সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল তহবিল উৎস, কারণ সুদ কর ছাড়যোগ্য (Tax-deductible)।
-
কোম্পানি সুদ প্রদানের মাধ্যমে ঋণের খরচ কমাতে পারে, যা সাধারণ শেয়ারের তুলনায় বেশি সাশ্রয়ী।
-
-
সংরক্ষিত মুনাফা (Retained Earnings):
-
এটি অভ্যন্তরীণ তহবিলের উৎস, যেখানে কোম্পানি মুনাফা পুনঃবিনিয়োগ করে নতুন প্রকল্পে ব্যবহার করে।
-
নতুন শেয়ার ইস্যু বা ঋণ গ্রহণের প্রয়োজন না থাকায় এর খরচ তুলনামূলকভাবে কম।
-
সুতরাং, তুলনামূলকভাবে নতুন সাধারণ শেয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল, এরপর অগ্রাধিকার শেয়ার, সংরক্ষিত মুনাফা, এবং সর্বশেষে ঋণ হলো সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল তহবিল উৎস।

0
Updated: 2 days ago
কোনটি ডেরিভেটিভ সিকিউরিটিজ এর উদাহরণ?
Created: 2 days ago
A
সোয়াপ
B
অপশনস
C
ফিউচার
D
উপরের সবগুলো
সোয়াপ, অপশনস এবং ফিউচার—এই তিনটি হলো ডেরিভেটিভ সিকিউরিটিজ, যেগুলোর মূল্য নির্ভর করে কোনো অন্তর্নিহিত সম্পদ (underlying asset) যেমন শেয়ার, বন্ড, মুদ্রা বা পণ্যের মূল্যের ওপর। এই আর্থিক যন্ত্রগুলো ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, মুনাফা অর্জন বা ভবিষ্যৎ মূল্য পরিবর্তনের পূর্বাভাসের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
সোয়াপ (Swap): এটি একটি আর্থিক বিনিময় চুক্তি, যেখানে দুটি পক্ষ ভবিষ্যতের নগদ প্রবাহ বা দায়বদ্ধতা পরস্পরের মধ্যে বিনিময়ে সম্মত হয়। উদাহরণস্বরূপ, এক পক্ষ নির্দিষ্ট সুদের হারে পরিশোধ করে এবং অপর পক্ষ পরিবর্তনশীল সুদের হারে পরিশোধ করে।
-
অপশনস (Options): এটি এমন একটি চুক্তি, যা ক্রেতাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বা তার আগে একটি নির্দিষ্ট মূল্যে সম্পদ কেনা বা বিক্রির অধিকার প্রদান করে, তবে এটি বাধ্যবাধকতা নয়। দুই প্রকার অপশন আছে—Call Option (কেনার অধিকার) ও Put Option (বিক্রির অধিকার)।
-
ফিউচার (Futures): এটি একটি মানককৃত (standardized) চুক্তি, যা অনুযায়ী নির্দিষ্ট তারিখে, নির্দিষ্ট মূল্যে, নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ কেনা বা বিক্রি করা বাধ্যতামূলক। এটি সাধারণত স্টক এক্সচেঞ্জে ট্রেড করা হয়।
-
এই তিনটি যন্ত্রই মূলত হেজিং (hedging) ও স্পেকুলেশন (speculation) উভয় উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
-
এগুলোর মূল্য সরাসরি অন্তর্নিহিত সম্পদের মূল্য পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই এগুলোকে ডেরিভেটিভ বলা হয়।

0
Updated: 2 days ago