কোন ইসলামী বিনিয়োগ পদ্ধতি লিজের অনুরূপ, যেখানে মালিকানা ব্যাংকের কাছে থাকে কিন্তু ব্যবহারের অধিকার থাকে গ্রাহকের?
A
সালাম
B
ইজারা
C
ইস্তিসনা
D
মুদারাবা
উত্তরের বিবরণ
ইসলামী বিনিয়োগ পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরণের চুক্তি ব্যবহৃত হয় যা শরিয়াহ-সম্মতভাবে লেনদেন ও মুনাফা বণ্টনের সুযোগ দেয়। এসব চুক্তির লক্ষ্য হলো সুদমুক্ত আর্থিক ব্যবস্থার মাধ্যমে ন্যায়সঙ্গত বিনিয়োগ ও অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করা।
-
ইজারা (Ijara): এটি ইসলামিক লিজিং পদ্ধতি, যেখানে ব্যাংক সম্পদের মালিকানা ধরে রাখে এবং গ্রাহককে নির্দিষ্ট ভাড়ার বিনিময়ে সম্পদ ব্যবহারের অধিকার দেয়। গ্রাহক মূলধন ফেরত না দিয়ে শুধুমাত্র ভাড়া প্রদান করে, এবং লিজের শেষে সম্পদটি ক্রয়ের সুযোগ পেতে পারে। প্রচলিত লিজিংয়ের সঙ্গে এর সাদৃশ্য রয়েছে, তবে ইজারায় সুদের কোনো ধারণা নেই।
-
সালাম (Salam): এটি একটি অগ্রিম ক্রয় চুক্তি, যেখানে ক্রেতা পুরো মূল্য আগেই প্রদান করে এবং বিক্রেতা ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য সরবরাহ করতে বাধ্য থাকে। এটি কৃষি বা মৌসুমি পণ্যের ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়।
-
ইস্তিসনা (Istisna): এখানে কোনো পণ্য, ভবন বা অবকাঠামো ভবিষ্যতে তৈরি বা নির্মাণের জন্য অর্ডার দেওয়া হয়। ব্যাংক বা বিনিয়োগকারী এই উৎপাদন বা নির্মাণ প্রক্রিয়ায় অর্থায়ন করে এবং কাজ সম্পন্ন হলে চুক্তি অনুযায়ী পণ্য হস্তান্তর করা হয়। এটি সাধারণত শিল্প বা নির্মাণ প্রকল্পে প্রযোজ্য।
-
মুদারাবা (Mudaraba): এটি অংশীদারিত্বভিত্তিক একটি চুক্তি, যেখানে এক পক্ষ মূলধন সরবরাহ করে (Rabb-ul-Maal) এবং অন্য পক্ষ ব্যবসা পরিচালনা করে (Mudarib)। লাভ পূর্বনির্ধারিত অনুপাতে বণ্টন হয়, তবে ক্ষতির দায়ভার বহন করে শুধুমাত্র মূলধনদাতা, যদি মুদারিবের অবহেলা বা অনিয়ম না থাকে।

0
Updated: 2 days ago
কোন প্রক্রিয়ায় শেয়ার বিক্রয়ের নিশ্চয়তা দেয়া হয়?
Created: 2 days ago
A
আন্ডার রাইটিং
B
রেজিস্ট্রেশন
C
প্রসপেকটাস
D
কোনোটিই নয়
আন্ডাররাইটিং (Underwriting) হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে বিনিয়োগ ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান নতুন শেয়ার বা সিকিউরিটিজ ইস্যুর বিক্রয় নিশ্চয়তা প্রদান করে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো, ইস্যুকারী কোম্পানি যেন বাজারে পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহ করতে পারে, এমনকি বিনিয়োগকারীদের চাহিদা কম হলেও।
-
আন্ডাররাইটার মূলত শেয়ার বিক্রয়ের গ্যারান্টি দেয়, অর্থাৎ বাজারে পুরো শেয়ার বিক্রি না হলে অবিক্রিত অংশটি নিজেরাই ক্রয় করে নেয়।
-
এর ফলে কোম্পানি নিরবচ্ছিন্ন অর্থায়নের নিশ্চয়তা পায় এবং মূলধন সংগ্রহে অনিশ্চয়তা কমে।
-
আন্ডাররাইটাররা সাধারণত বিনিয়োগ ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউস বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যারা ইস্যু প্রক্রিয়ায় ঝুঁকি গ্রহণ করে।
-
এই প্রক্রিয়ায় কোম্পানির শেয়ার মূল্য নির্ধারণ, বিপণন এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ সম্পর্কিত কার্যক্রমও পরিচালিত হয়।
-
আন্ডাররাইটিং মূলত প্রাথমিক শেয়ার ইস্যু (IPO) ও বন্ড ইস্যু-এর সময় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 2 days ago
ঋণ ৭ মাস অপরিশোধিত থাকলে তাকে বলে
Created: 2 days ago
A
সাব-স্ট্যান্ডার্ড
B
স্ট্যান্ডার্ড -২
C
সন্দেহজনক
D
কৃঋণ
যখন কোনো ঋণগ্রহীতা নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তখন সেই ঋণকে শ্রেণিবদ্ধ করা হয় তার অবশিষ্ট সময়কাল অনুযায়ী। এই শ্রেণিবিন্যাস ব্যাংকিং খাতে ঋণের মান নির্ধারণ ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
Continuous Loan এর ক্ষেত্রে:
-
৩ – <৬ মাস বকেয়া থাকলে সেটি Sub-standard ধরা হয়।
-
৬ – <৯ মাস হলে Doubtful শ্রেণিতে পড়ে।
-
≥৯ মাস হলে সেটি Bad/Loss হিসেবে গণ্য হয়।
-
সুতরাং, ৭ মাস বকেয়া থাকা Continuous Loan হবে Doubtful।
-
-
Demand Loan এর ক্ষেত্রেও একই শ্রেণিবিন্যাস প্রযোজ্য:
-
৩ – <৬ মাস ⇒ Sub-standard
-
৬ – <৯ মাস ⇒ Doubtful
-
≥৯ মাস ⇒ Bad/Loss
-
তাই ৭ মাস বকেয়া থাকা Demand Loan-ও Doubtful হিসেবে গণ্য হবে।
-

0
Updated: 2 days ago
কোনটি ডেরিভেটিভ সিকিউরিটিজ এর উদাহরণ?
Created: 2 days ago
A
সোয়াপ
B
অপশনস
C
ফিউচার
D
উপরের সবগুলো
সোয়াপ, অপশনস এবং ফিউচার—এই তিনটি হলো ডেরিভেটিভ সিকিউরিটিজ, যেগুলোর মূল্য নির্ভর করে কোনো অন্তর্নিহিত সম্পদ (underlying asset) যেমন শেয়ার, বন্ড, মুদ্রা বা পণ্যের মূল্যের ওপর। এই আর্থিক যন্ত্রগুলো ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, মুনাফা অর্জন বা ভবিষ্যৎ মূল্য পরিবর্তনের পূর্বাভাসের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
সোয়াপ (Swap): এটি একটি আর্থিক বিনিময় চুক্তি, যেখানে দুটি পক্ষ ভবিষ্যতের নগদ প্রবাহ বা দায়বদ্ধতা পরস্পরের মধ্যে বিনিময়ে সম্মত হয়। উদাহরণস্বরূপ, এক পক্ষ নির্দিষ্ট সুদের হারে পরিশোধ করে এবং অপর পক্ষ পরিবর্তনশীল সুদের হারে পরিশোধ করে।
-
অপশনস (Options): এটি এমন একটি চুক্তি, যা ক্রেতাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বা তার আগে একটি নির্দিষ্ট মূল্যে সম্পদ কেনা বা বিক্রির অধিকার প্রদান করে, তবে এটি বাধ্যবাধকতা নয়। দুই প্রকার অপশন আছে—Call Option (কেনার অধিকার) ও Put Option (বিক্রির অধিকার)।
-
ফিউচার (Futures): এটি একটি মানককৃত (standardized) চুক্তি, যা অনুযায়ী নির্দিষ্ট তারিখে, নির্দিষ্ট মূল্যে, নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ কেনা বা বিক্রি করা বাধ্যতামূলক। এটি সাধারণত স্টক এক্সচেঞ্জে ট্রেড করা হয়।
-
এই তিনটি যন্ত্রই মূলত হেজিং (hedging) ও স্পেকুলেশন (speculation) উভয় উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
-
এগুলোর মূল্য সরাসরি অন্তর্নিহিত সম্পদের মূল্য পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই এগুলোকে ডেরিভেটিভ বলা হয়।

0
Updated: 2 days ago