শেয়ারের প্রকৃত মূল্য (Intrinsic Value) যদি ১৫০ টাকা হয় এবং বাজার দর ১৩০ টাকা হয়, তবে কি সিদ্ধান্ত হবে?
A
শেয়ার অতিমূল্যায়িত
B
শেয়ার অবমূল্যায়িত
C
শেয়ার যথাযথ ভাবে মূল্যায়িত
D
শেয়ার বিক্রি করা উচিত
উত্তরের বিবরণ
Intrinsic Value হলো কোনো শেয়ারের প্রকৃত বা অন্তর্নিহিত মূল্য, যা কোম্পানির বাস্তব আর্থিক অবস্থা, আয়, ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি ও ঝুঁকি ইত্যাদি বিশ্লেষণের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। এটি বাজারের ওঠানামা থেকে স্বাধীনভাবে কোম্পানির প্রকৃত সক্ষমতা প্রকাশ করে।
-
Market Price হলো সেই দাম, যেটিতে শেয়ারটি বর্তমানে শেয়ারবাজারে লেনদেন হচ্ছে, এবং এটি চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্যের ওপর নির্ভর করে।
-
যখন কোনো শেয়ারের Intrinsic Value বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি, যেমন প্রকৃত মূল্য ১৫০ টাকা এবং বাজার মূল্য ১৩০ টাকা, তখন শেয়ারটি অবমূল্যায়িত (Undervalued) বলে গণ্য হয়।
-
এই অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি সাধারণত একটি ভালো বিনিয়োগ সুযোগ, কারণ সময়ের সঙ্গে বাজারমূল্য তার প্রকৃত মূল্যের কাছাকাছি উঠতে পারে।
-
বিপরীতে, যদি Market Price প্রকৃত মূল্যের চেয়ে বেশি হয়, তবে শেয়ারটি অতিরিক্ত মূল্যায়িত (Overvalued) হিসেবে বিবেচিত হয় এবং বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

0
Updated: 3 days ago
নীট মুনাফা হতে বিনিয়োগ প্রয়োজনীয়তা মেটানোর পর অবশিষ্ট অর্থ ডিভিডেন্ড দেয়া হলে তাকে বলা হয়?
Created: 2 days ago
A
Bird-in-Hand Policy
B
Stable Dividend Policy
C
Residual Dividend Policy
D
Extra Dividend Policy
Residual Dividend Policy হলো এমন একটি লভ্যাংশ নীতি যেখানে কোম্পানি প্রথমে নিজের বিনিয়োগের প্রয়োজন (Investment Needs) পূরণ করে, তারপর যদি অর্থ অবশিষ্ট থাকে, তখনই সেই অংশ শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে ডিভিডেন্ড হিসেবে বিতরণ করে। এই নীতি মূলত কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদী বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দেয়, ডিভিডেন্ড প্রদানে নয়।
পয়েন্টগুলো নিম্নরূপ
-
এই নীতিতে বিনিয়োগের সুযোগ ও অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের প্রয়োজন আগে বিবেচনা করা হয়, যাতে কোম্পানি বাইরের ঋণের উপর নির্ভরশীল না হয়।
-
বিনিয়োগের পর যদি অতিরিক্ত লাভ থাকে, তখনই শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ বিতরণ করা হয়।
-
এর ফলে লভ্যাংশের পরিমাণ প্রতি বছর স্থিতিশীল না-ও হতে পারে, কারণ তা নির্ভর করে কোম্পানির লাভ ও বিনিয়োগ চাহিদার উপর।
-
Bird-in-Hand Policy: এই নীতিতে শেয়ারহোল্ডাররা উচ্চ ও স্থিতিশীল লভ্যাংশকে বেশি মূল্যবান মনে করেন, কারণ নগদ ডিভিডেন্ডকে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ লাভের চেয়ে নিরাপদ ধরা হয়।
-
Stable Dividend Policy: কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের নিয়মিত ও স্থিতিশীল হারে ডিভিডেন্ড প্রদান করে, যাতে তাদের আয়ের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।
-
Extra Dividend Policy: কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোম্পানি অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করলে বা বিশেষ উপলক্ষে অতিরিক্ত বা বিশেষ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে।
-
তুলনামূলকভাবে, Residual Policy বিনিয়োগকেন্দ্রিক, যেখানে অন্য নীতিগুলো শেয়ারহোল্ডারদের আয় ও সন্তুষ্টির দিকে বেশি মনোযোগ দেয়।

0
Updated: 2 days ago
একটি ফার্মের ঋণ ও মূলধন মিশ্রনকে কি বলা হয়?
Created: 2 days ago
A
প্রাথমিক মূলধন
B
মূলধন কাঠামো
C
মুলধন গঠন
D
মুলধন ব্যয়
মূলধন কাঠামো (Capital Structure) হলো একটি প্রতিষ্ঠানের ঋণ ও ইক্যুইটির অনুপাতভিত্তিক গঠন, যা নির্ধারণ করে প্রতিষ্ঠান তার কার্যক্রম ও সম্পদ অর্থায়নের জন্য কোন উৎস থেকে কতটা তহবিল ব্যবহার করবে। এটি একটি প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক নীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকি ও মুনাফার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে।
-
মূলধন মিশ্রণ (Capital Mix): এটি হলো বিভিন্ন উৎস — যেমন ঋণ (Debt), ইক্যুইটি (Equity), প্রেফারেন্স শেয়ার ইত্যাদি থেকে আনুপাতিক হারে তহবিল সংগ্রহ করা। সঠিক মিশ্রণ ব্যবসার আর্থিক স্থিতিশীলতা ও লাভজনকতা নির্ধারণে সহায়তা করে।
-
মূলধন ব্যয় (Cost of Capital): এটি প্রতিষ্ঠানের তহবিল ব্যবহারের খরচ, যা মূলধন কাঠামোর উপর নির্ভরশীল। কার্যকর মূলধন কাঠামো তৈরি করার মূল উদ্দেশ্য হলো মূলধন ব্যয়কে সর্বনিম্নে রাখা, যাতে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সর্বোচ্চ রিটার্ন নিশ্চিত করা যায়।
-
প্রাথমিক মূলধন (Initial Capital): এটি হলো ব্যবসার শুরুতে প্রতিষ্ঠাতাদের প্রদত্ত মূলধন, যা দিয়ে ব্যবসার প্রাথমিক সম্পদ ও কার্যক্রম শুরু করা হয়।
সুতরাং, একটি প্রতিষ্ঠানের মূলধন কাঠামো নির্দেশ করে কীভাবে ঋণ ও মূলধনের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রেখে দীর্ঘমেয়াদে অর্থায়ন করা হবে।

0
Updated: 2 days ago
আর্থিক লেভারেজের মান (DPS) যদি ৩ হয় তবে
Created: 2 days ago
A
EBIT ১% পরিবর্তিত হলে EPS ৩% পরিবর্তিত হবে
B
EPS ১% পরিবর্তিত হলে EBIT ৩% পরিবর্তিত হবে
C
EPS সর্বদা তিনগুণ হবে
D
EPS ১% পরিবর্তিত হলে NAV ৩% পরিবর্তিত হবে
DPS (Degree of Financial Leverage) হলো এমন একটি সূচক যা দেখায়, EBIT (Earnings Before Interest and Taxes)-এর পরিবর্তনের ফলে EPS (Earnings Per Share) কতটা পরিবর্তিত হবে। এটি মূলত প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেভারেজের প্রভাব পরিমাপ করে।
-
যদি DPS = ৩ হয়, তবে বুঝায় EBIT ১% পরিবর্তিত হলে EPS ৩% পরিবর্তিত হবে।
-
অর্থাৎ, ফার্মে যত বেশি ঋণনির্ভরতা (Debt Financing) থাকবে, তত বেশি EPS পরিবর্তনের মাত্রা বাড়বে।
-
DPS ফার্মের আর্থিক ঝুঁকি (Financial Risk) নির্দেশ করে, কারণ সুদ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা বেশি হলে আয় ওঠানামার প্রভাবও বাড়ে।
-
এই ধারণা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করে ঋণ ও ইক্যুইটির ভারসাম্য নির্ধারণে, যাতে লাভজনকতা বজায় রেখে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
-
উচ্চ DPS মানে আয় বৃদ্ধিতে বেশি লাভের সম্ভাবনা, তবে একইসাথে ক্ষতির সময় অধিক ঝুঁকির সম্ভাবনাও থাকে।

0
Updated: 2 days ago