হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা নামে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ কর্তৃক কী প্রকাশিত হয়?

A

চর্যাপদ

B

রামায়ণ

C

মহাভারত

D

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন


উত্তরের বিবরণ

img

চর্যাপদ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আদ্যপ্রামাণ্য নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত। এটি প্রাচীন বাংলার বৌদ্ধ সহজিয়াদের রচিত ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক কাব্যসংগ্রহ।

আবিষ্কার: ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের পুথি আবিষ্কার করেন।
– তাঁর সম্পাদনায় চর্যাপদে অন্তর্ভুক্ত ৪৭টি পদসহ পুথিটি “হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা” নামে ১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে প্রকাশিত হয়।
– চর্যাগুলো রচনা করেছিলেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ, যারা সহজ সাধনার মাধ্যমে ধর্মীয় সত্য উপলব্ধিতে বিশ্বাসী ছিলেন।
বিষয়বস্তু: চর্যাপদে মূলত বৌদ্ধ ধর্ম, যোগসাধনা, নৈতিক শিক্ষা, ও আধ্যাত্মিক জীবনবোধ প্রকাশ পেয়েছে।
– চর্যাপদের ভাষা হলো সান্ধ্য বা সন্ধ্যাভাষা, যা সংস্কৃত, পালি, অপভ্রংশ ও প্রাচীন বাংলা ভাষার সংমিশ্রণে গঠিত।
– চর্যাপদের ২৩তম পদটি খণ্ডিত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
তিব্বতি অনুবাদ: কীর্তিচন্দ্র চর্যাপদকে তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন; পরবর্তীতে ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী এই তিব্বতি অনুবাদটি আবিষ্কার করেন।

প্রধান কবিগণ:
– সরহপা
– শবরপা
– লুইপা
– ডোম্বীপা
– ভুসুকুপা
– কাহ্নপা
– কুক্কুরীপা
– মীনপা
– আর্যদেব
– ঢেণ্ঢনপা

বিশেষ তথ্য:
কাহ্নপা সর্বাধিক ১৩টি পদ রচনা করেন
ভুসুকুপা দ্বিতীয় সর্বাধিক ৮টি পদ রচনা করেন


Unfavorite

0

Updated: 3 days ago

Related MCQ

মণীন্দ্রমোহন বসু চর্যার কত নং পদের সঙ্গে 'সোনার তরী' কবিতার সাদৃশ্য খুঁজে পেয়েছেন?

Created: 2 weeks ago

A

৩৩নং 

B

৮নং 

C

১০নং 

D

৪৯নং 

Unfavorite

0

Updated: 2 weeks ago

চর্যাপদের কোন পদকর্তা ত্রিপুরা’র রাজা ছিলেন?


Created: 1 month ago

A

ভুসুকুপা


B

সরহপা


C

কাহ্নপা


D

ডোম্বীপা


Unfavorite

0

Updated: 1 month ago

বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কত সালে? 

Created: 2 months ago

A

২০০৭ 

B

১৯০৭ 

C

১৯০৯ 

D

১৯১৬

Unfavorite

0

Updated: 2 months ago

© LXMCQ, Inc. - All Rights Reserved

Developed by WiztecBD