'সাফটা' (SAFTA) চুক্তি কত সালে সম্পাদিত হয়?
A
১৯৯৮
B
২০০২
C
২০০৪
D
২০০৯
উত্তরের বিবরণ
সাফটা (SAFTA) চুক্তি
-
সাফটা মানে হলো: দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি।
-
এই চুক্তি ২০০৪ সালের ৬ জানুয়ারি পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত সার্কের দ্বাদশ শীর্ষ সম্মেলনে স্বাক্ষরিত হয়।
-
এটি ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়।
-
এই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ছিল সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে শুল্ক বা ট্যাক্স কমিয়ে ও বাণিজ্য বাধা দূর করে মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল তৈরি করা।
-
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তান—এই ৮টি দেশ সাফটা চুক্তির অন্তর্ভুক্ত।
-
এটি মূলত সার্ক দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
(তথ্য অনুযায়ী, জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত ৮টি দেশ এই চুক্তির সদস্য।)
সার্ক (SAARC)
-
SAARC এর পূর্ণরূপ: South Asian Association for Regional Cooperation (দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা)।
-
এটি গঠিত হয় ১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর।
-
সার্কের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিল ৭টি দেশ: বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও মালদ্বীপ।
-
সার্কের প্রতিষ্ঠা এবং প্রথম সম্মেলন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ সালের ৭-৮ ডিসেম্বর।
আফগানিস্তানের অংশগ্রহণ
-
আফগানিস্তান সার্কের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নয়।
-
এটি ২০০৭ সালের ৩ এপ্রিল সার্কে যোগ দিয়ে অষ্টম ও সর্বশেষ সদস্য হয়।
-
বর্তমানে (জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত) সার্কের মোট সদস্য সংখ্যা ৮টি।
তথ্যসূত্র: সার্ক ওয়েবসাইট এবং বিভিন্ন পত্রিকা রিপোর্ট।

0
Updated: 1 month ago
ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এর দাপ্তরিক ভাষার সংখ্যা হচ্ছে:
Created: 2 weeks ago
A
৫
B
৩
C
৪
D
২
OIC (The Organisation of Islamic Cooperation)
-
পূর্ণরূপ: The Organisation of Islamic Cooperation (OIC)।
-
ধরণ: এটি মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে একটি ইসলামিক সহযোগিতা ও রাজনৈতিক জোট।
-
গঠন: ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯ সালে মরক্কোর রাবাত শহরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত।
-
প্রেক্ষাপট: ইসরাইলের দ্বারা আল আকসা মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় OIC-এর সৃষ্টি হয়।
-
সদস্য সংখ্যা: প্রথমে ২৪টি দেশ, বর্তমানে ৫৭টি দেশ।
-
সদরদপ্তর: জেদ্দা, সৌদি আরব।
-
বর্তমান মহাসচিব: ইব্রাহিম তাহা।
-
অফিসিয়াল ভাষা: আরবি, ইংরেজি এবং ফরাসি।
-
প্রথম শীর্ষ সম্মেলন: ১৯৬৯ সালে রাবাত, মরক্কোতে অনুষ্ঠিত।
উৎস: OIC ওয়েবসাইট

0
Updated: 2 weeks ago
জাতিসংঘের কোন সংস্থাটি করােনা ভাইরাসকে 'pandemic' ঘােষণা করেছে?
Created: 4 days ago
A
ECOSOC
B
FAO
C
WHO
D
HRC
WHO বা World Health Organization জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা, যা বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করে। ৭ এপ্রিল, ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থার সদরদপ্তর জেনেভা, সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত এবং এর মহাপরিচালক হলেন টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস।
সংস্থাটি ১৯৪টি সদস্য দেশের মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। WHO-এর মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসম্মত ও উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা। বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে WHO-এর সদস্যপদ লাভ করে জাতিসংঘ পরিবারের সাথে যুক্ত হয়।
মূল তথ্যসমূহ:
-
WHO-এর পূর্ণরূপ: World Health Organization
-
প্রতিষ্ঠাকাল: ৭ এপ্রিল, ১৯৪৮
-
সদরদপ্তর: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
-
মহাপরিচালক: টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস
-
বর্তমান সদস্য দেশ: ১৯৪টি
-
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য দেশ: ৬১টি
-
প্রতিষ্ঠাকালীন সম্মেলন: International Health Conference, জাতিসংঘের উদ্যোগে
-
WHO জাতিসংঘ উন্নয়ন গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং সদস্য দেশগুলোর জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে কাজ করে
সংগঠনের কার্যক্রম:
-
বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য সদস্য দেশগুলোর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সরকারি স্বাস্থ্য সংস্থা, এনজিও এবং জনসাধারণের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে
-
রোগ-বালাই, নতুন রোগ সংক্রমণ বা জরুরি স্বাস্থ্য ইস্যুতে নেতৃত্ব প্রদান
-
উদাহরণস্বরূপ COVID-19 মোকাবেলার প্রক্রিয়া:
-
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯: চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে করোনা সংক্রমণ নিয়ে WHO-কে অবহিত করে চীনা সরকার
-
৩০ জানুয়ারি ২০২০: WHO বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে
-
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০: রোগের নামকরণ COVID-19 করা হয়
-
১১ মার্চ ২০২০: COVID-19 কে মহামারি (Pandemic) হিসেবে ঘোষণা করা হয়
-
বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ ২০২০, এবং প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ ২০২০
-

0
Updated: 4 days ago
'Club of Vienna' কী?
Created: 3 months ago
A
অস্ট্রিয়ার একটি বিখ্যাত পান্থশালা
B
পশ্চিম ইউরোপের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বাৎসরিক সভা
C
একটি বিশ্ব উন্নয়ন সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান
D
পশ্চিম ইউরোপের চিত্রশিল্পীদের একটি সংগঠন
ভিয়েনা ক্লাব
‘ভিয়েনা ক্লাব’ একটি গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান, যা বৈশ্বিক উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করে। এর মূল লক্ষ্য হলো বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন নীতি ও কৌশল নিয়ে গবেষণা ও আলোচনা পরিচালনা করা।
প্রধান লক্ষ্যসমূহ
১. সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে উন্নয়ন বিষয়ক গবেষণা ও মতবিনিময়促 করা।
২. উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কার্যকর নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সহায়তা প্রদান।
৩. আন্তর্জাতিক সংস্থা, সরকার এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা গড়ে তোলা।
মূল কার্যক্রম
১. উন্নয়ন বিষয়ক সেমিনার, সম্মেলন ও কর্মশালার আয়োজন।
২. নীতি, কৌশল ও উন্নয়ন গবেষণা নিয়ে বই ও প্রতিবেদন প্রকাশ।
৩. সদস্য দেশগুলোর মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান ও পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করা।
উৎস: ভিয়েনা ক্লাবের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

0
Updated: 3 months ago