নিচের কোনটি দুর্বল পরিচালনা পর্ষদের সবচাইতে সম্ভাব্য পরিণতি?
A
বিলম্বিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ
B
ব্যবস্থাপকের সুযোগসন্ধানী আচরণ ও এজেন্সী খরচ বৃদ্ধি
C
নির্বাহী কার্যক্রমে শেয়ারহোল্ডারদের অধিকতর সম্পৃক্ততা
D
পরিচালনা পর্যায়ে স্বায়ত্বশাসন বৃদ্ধি
উত্তরের বিবরণ
দুর্বল পরিচালনা পর্ষদ (Weak Board of Directors) হলো কর্পোরেট সুশাসনের (Corporate Governance) একটি বড় সমস্যা। পরিচালনা পর্ষদের প্রধান কাজ হলো ব্যবস্থাপনাকে তদারকি করা এবং শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষা করা।
মূল প্রভাব ও প্রক্রিয়া:
-
দুর্বল তদারকি (Weak Oversight): পরিচালনা পর্ষদ দুর্বল হলে (যেমন: পরিচালকরা অদক্ষ, ম্যানেজমেন্টের প্রতি অতিমাত্রায় অনুগত, বা কম সভা করে), তারা নির্বাহী ব্যবস্থাপকদের (CEO, MD) পর্যাপ্তভাবে তদারকি করতে পারে না।
-
এজেন্সী সমস্যা (Agency Problem): দুর্বল তদারকির সুযোগে ব্যবস্থাপকরা (Agent) শেয়ারহোল্ডারদের (Principal) স্বার্থের পরিবর্তে নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থ পূরণে মনোযোগ দিতে পারে, যেমন: বেশি বেতন, অতিরিক্ত সুবিধা, ঝুঁকি এড়ানো; এ অবস্থাকে বলা হয় Managerial Opportunism।
-
এজেন্সী খরচ বৃদ্ধি (Increased Agency Costs): ব্যবস্থাপকের এই সুযোগসন্ধানী আচরণ এবং তদারকি ব্যর্থতার কারণে যে অতিরিক্ত ব্যয় বা আর্থিক ক্ষতি হয়, তাকে এজেন্সী খরচ বলা হয়। দুর্বল পর্ষদ এই খরচ কমাতে ব্যর্থ হয়, ফলে তা বৃদ্ধি পায়।
অন্যান্য অপশন বিশ্লেষণ:
-
বিলম্বিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ: সাধারণত শক্তিশালী এবং অনেক সদস্যের পর্ষদে ঘটে; দুর্বল পর্ষদ সাধারণত সহজে সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয়।
-
নির্বাহী কার্যক্রমে শেয়ারহোল্ডারদের অধিকতর সম্পৃক্ততা: এটি দুর্বল পর্ষদের সরাসরি প্রভাব নয়; বরং শেয়ারহোল্ডারদের প্রতিক্রিয়া।
-
পরিচালনা পর্যায়ে স্বায়ত্তশাসন বৃদ্ধি: ব্যবস্থাপকদের স্বাধীনতা বৃদ্ধি করে, যা সুযোগসন্ধানী আচরণের কারণ, কিন্তু এজেন্সী খরচ বৃদ্ধি ও সুযোগসন্ধানী আচরণই এর পরিণতি।

0
Updated: 3 days ago
ভেস্টিবিউল বহির্ভূত পাঠ (Vestibule) প্রশিক্ষন কোনটি?
Created: 3 days ago
A
প্রশিক্ষনে যন্ত্রপাতির ব্যবহার
B
প্রশিক্ষনে প্রশিক্ষকের অনুপস্থিতি
C
প্রশিক্ষন সময়কালীন গ্রুপ ভিত্তি ককাজ
D
প্রশিক্ষন বহর্ভূত পাঠ নির্ধারন
Vestibule Training হলো এমন একটি প্রশিক্ষণ পদ্ধতি, যেখানে কর্মীদেরকে মূল কাজের পরিবেশের বাইরে, কিন্তু একই ধরণের যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এটি সাধারণত নতুন কর্মীদের জন্য ব্যবহৃত হয়, যাতে তারা ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশে দক্ষতা অর্জন করতে পারে।
Vestibule Training-এর বৈশিষ্ট্য:
-
মূল উৎপাদন এলাকা থেকে আলাদা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
-
আসল যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ব্যবহার।
-
প্রশিক্ষক দ্বারা তত্ত্ব ও ব্যবহারিক শিক্ষা প্রদান।
-
নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে দক্ষতা অর্জন।
-
প্রশিক্ষণ শেষে কর্মীরা সরাসরি কাজ শুরু করতে সক্ষম হয়।
➡ সংক্ষেপে, “প্রশিক্ষণে যন্ত্রপাতির ব্যবহার” হলো Vestibule Training-এর মূল বৈশিষ্ট্য।

0
Updated: 3 days ago
নিচের কোনটি SMART লক্ষ্য?
Created: 3 days ago
A
এ বছরের তুলনায় আগামী বছর বিক্রির পরিমান ২৫% বৃদ্ধি করা
B
আগামী বছর বিক্রির পরিমান সর্বোচ্চ বৃদ্ধি করা
C
১০০% ভোক্তা সন্তুষ্টি নিশ্চিত করা
D
ব্যবসার মুনাফা ১০% বৃদ্ধি
SMART লক্ষ্য হলো এমন লক্ষ্য যা নির্দিষ্ট (Specific), পরিমাপযোগ্য (Measurable), অর্জনযোগ্য (Achievable), প্রাসঙ্গিক (Relevant), এবং সময়সীমাবদ্ধ (Time-bound)।
➡ উদাহরণ: “এ বছরের তুলনায় আগামী বছর বিক্রির পরিমাণ ২৫% বৃদ্ধি করা”
-
Specific: বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধি
-
Measurable: ২৫% বৃদ্ধি
-
Achievable: পূর্ববর্তী তথ্যের ভিত্তিতে মূল্যায়নযোগ্য
-
Relevant: ব্যবসার বিকাশের সঙ্গে সম্পর্কিত
-
Time-bound: “আগামী বছর” সময়সীমা নির্ধারিত
অন্যান্য অপশন বিশ্লেষণ:
-
সর্বোচ্চ বৃদ্ধি করা: অস্পষ্ট ও অপরিমাপযোগ্য; “সর্বোচ্চ” মানে কত এবং কখন?
-
১০০% ভোক্তা সন্তুষ্টি: অবাস্তব এবং অর্জনযোগ্য নয়; সব ভোক্তা কখনোই ১০০% সন্তুষ্ট থাকবে না
-
ব্যবসার মুনাফা ১০% বৃদ্ধি: সময়সীমা নেই; Time-bound নয়, তাই SMART হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়

0
Updated: 3 days ago
একটি প্রতিষ্ঠান কঠোর পরিকল্পনার মাধ্যমে কার্য পরিচালনা করার অবস্থান থেকে সরে এসে দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেয়া শুরু করেছে। ফলে কর্মীরা অস্থিরতায় ভুগছে। এই অবস্থাকে কিভাবে ব্যাখ্যা করা যায়?
Created: 3 days ago
A
ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের ব্যার্থতা
B
এজাইল ব্যবস্থাপনার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
C
সাপ্লাই চেইন দূর্বলতা
D
কর্মী ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা
এজাইল ব্যবস্থাপনার প্রভাব
Agile Management হলো একটি নমনীয় ও প্রতিক্রিয়াশীল কৌশল, যা দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিবেশে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কার্য সম্পাদনে সহায়ক। যখন একটি প্রতিষ্ঠান কঠোর পরিকল্পনা (rigid planning) থেকে সরে এসে Agile পদ্ধতি গ্রহণ করে, তখন নিয়মিত পরিবর্তন, পুনঃমূল্যায়ন, এবং অভিযোজন ঘটে, কর্মীদের জন্য নতুন কাজের ধরণ, অগ্রাধিকার পরিবর্তন, এবং অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এর ফলে কর্মীরা অস্থিরতা, বিভ্রান্তি, এবং মানসিক চাপ অনুভব করতে পারেন।
এটি Agile ব্যবস্থাপনার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, বিশেষ করে যদি পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, সমন্বয়, এবং নেতৃত্ব না থাকে।
সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
-
Role ambiguity – কে কী করবে তা স্পষ্ট নয়
-
Change fatigue – ঘন ঘন পরিবর্তনে ক্লান্তি
-
Loss of control – পূর্বনির্ধারিত কাঠামো না থাকায় অনিশ্চয়তা
-
Communication overload – নিয়মিত মিটিং ও আপডেটের চাপ
অন্যান্য অপশন বিশ্লেষণ:
-
ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের ব্যর্থতা: প্রযুক্তি পরিবর্তনের প্রসঙ্গ; তবে প্রশ্নে পরিকল্পনা ও মানিয়ে নেওয়ার প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
-
সাপ্লাই চেইন দুর্বলতা: উৎপাদন ও সরবরাহ সংক্রান্ত সমস্যা; কর্মীদের অস্থিরতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক নেই।
-
কর্মী ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা: এটি একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে, কিন্তু প্রতিষ্ঠানের কৌশলগত পরিবর্তনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নয়।

0
Updated: 3 days ago