জাতিসংঘের কোন সংস্থা বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যকার রোহিঙ্গা বিষয়ে মধ্যস্থতা করছে?
A
ইউএনডিপি
B
ইউনিসেফ
C
ইউএনএইচসিআর
D
ইউনেস্কো
উত্তরের বিবরণ
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর (UNHCR) বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যকার রোহিঙ্গা সংকটে প্রধান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এই সংস্থাটি ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পর থেকেই কক্সবাজারে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীর মানবিক সহায়তা, নিবন্ধন, খাদ্য, চিকিৎসা, আশ্রয় এবং শিক্ষার ব্যবস্থা করে আসছে।
UNHCR:
- এর পূর্ণরূপ United Nations High Commissioner for Refugees।
- জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (UNHCR) শরণার্থীদের কল্যাণ ও সুরক্ষার জন্য কাজ করে।
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপীয় শরণার্থীদের সহায়তার লক্ষ্যে ১৯৫০ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্তে UNHCR গঠিত হয়।
- সংস্থাটির প্রধানকে হাইকমিশনার বলা হয় এবং এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত।
- শরণার্থীদের পুনর্বাসন, আশ্রয় ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী কাজ করে।
- এই মানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য UNHCR দুইবার নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করে—১৯৫৪ এবং ১৯৮১ সালে।
উল্লেখ্য,
- UNHCR বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে মায়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের মূল লক্ষ্য হলো রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছামূলক ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা।
অন্যদিকে,
- ইউএনডিপি মূলত উন্নয়ন কার্যক্রমে, ইউনিসেফ শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্যে, এবং ইউনেস্কো শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে কাজ করে।

0
Updated: 4 days ago
জাতিসংঘের সিডও (Convention on the Elimination of all forms of Discrimination Against Women)-এর Monitoring কমিটির চেয়ারপার্সন একজন বাঙালি মহিলা। তিনি কে?
Created: 1 month ago
A
সালামা সোবহান
B
সালমা খান
C
নাজমা চৌধুরী
D
হামিদা হোসেন
[এটি তৎকালীন সাম্প্রতিক প্রশ্ন যা পরিবর্তনশীল। পরিবর্তনশীল তথ্যগুলো অনুগ্রহ করে সাম্প্রতিক তথ্য থেকে দেখে নিন। সাম্প্রতিক আপডেট তথ্য জানার জন্য Live MCQ ডাইনামিক ইনফো প্যানেল, সাম্প্রতিক সমাচার বা অথেনটিক সংবাদপত্র দেখুন। অপশনে সঠিক উত্তর না থাকায় প্রশ্নটি বাতিল করা হলো।]
CEDAW (Convention on the Elimination of All Forms of Discrimination Against Women) হলো নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত একটি ঐতিহাসিক সনদ। এটি নারী অধিকার সংরক্ষণে আন্তর্জাতিকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত।
গৃহীত ও কার্যকর হওয়ার তারিখ:
-
গৃহীত হয়: ১৮ ডিসেম্বর, ১৯৭৯
-
কার্যকর হয়: ৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৮১
গঠন ও কাঠামো:
-
পরিচ্ছেদ (Parts): ৬টি
-
ধারা (Articles): মোট ৩০টি
-
কমিটি সদস্য সংখ্যা: ২৩ জন আন্তর্জাতিক নারী অধিকার বিশেষজ্ঞ
বাংলাদেশ ও CEDAW:
-
বাংলাদেশ এই সনদ অনুমোদন করে: ৪ নভেম্বর, ১৯৮৪
-
বাংলাদেশি প্রথম সদস্য: সালমা খান
-
দ্বিতীয় সদস্য: ফেরদৌস আরা বেগম
👩⚖️ বর্তমান নেতৃত্ব:
-
চেয়ারপারসন (২০২৪ অনুযায়ী): আনা পেলেজ নারভেজ
CEDAW-এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
-
গৃহস্থালি নির্যাতন রোধ
-
নারীর প্রজনন অধিকার রক্ষা
-
রাজনৈতিক ও আইনগত অধিকারে সমতা
-
নারীদের প্রতি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্য দূরীকরণ
বিশেষ দিন:
-
৩ সেপ্টেম্বর: আন্তর্জাতিক CEDAW দিবস হিসেবে পালিত হয়
🔗 উল্লেখ্য, এই সনদটি জাতিসংঘের একটি অগ্রণী পদক্ষেপ যা বৈশ্বিকভাবে নারী-পুরুষ সমতার ভিত্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সাম্প্রতিক তথ্য জানতে বিশ্বসংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যম, ইউএন ওয়েবসাইট ও Live MCQ প্যানেলের সহায়তা নিতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

0
Updated: 1 month ago
The United Nations University কোন শহরে অবস্থিত?
Created: 2 months ago
A
লন্ডন
B
ব্রাসেলস
C
নিউইয়র্ক
D
টোকিও
UNU (United Nations University)
-
পূর্ণরূপ: United Nations University (জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়)
-
প্রতিষ্ঠা: ডিসেম্বর, ১৯৭২
-
শিক্ষা কার্যক্রম শুরু: সেপ্টেম্বর, ১৯৭৫
-
সদর দপ্তর: টোকিও, জাপান
-
প্রধানের পদবি: রেক্টর
-
প্রথম রেক্টর ও প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিলের সভাপতি: ড. জেমস এম. হেস্টার
-
বর্তমান রেক্টর: শিলিদজি মারওয়ালা (৭ম রেক্টর)
প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য:
জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করেন জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব উ থান্ট, ১৯৬৯ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে। এরপর ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর মাসে সাধারণ পরিষদ এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
UNU-এর মূল উদ্দেশ্য হলো বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাসমূহের সমাধানে শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে সহায়তা প্রদান এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা।
বিশ্বব্যাপী উপস্থিতি ও কার্যক্রম
বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১২টি দেশে ১৩টি প্রতিষ্ঠান UNU-এর অধীনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উৎস: জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশ নিচে উল্লিখিত কোন সময়ের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল?
Created: 2 months ago
A
১৯৭৮-৭৯
B
১৯৭৯-৮০
C
১৯৮০-৮১
D
১৯৮১-৮২
জাতিসংঘের ছয়টি প্রধান অঙ্গসংস্থা
-
সাধারণ পরিষদ (The General Assembly)
-
নিরাপত্তা পরিষদ (The Security Council)
-
অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (The Economic and Social Council)
-
আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (The International Court of Justice)
-
অছি পরিষদ (The Trusteeship Council)
-
সচিবালয় (The Secretariat)
নিরাপত্তা পরিষদ (UN Security Council)
-
নিরাপত্তা পরিষদ ১৫টি সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত।
-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ী পাঁচটি পরাশক্তি এ পরিষদের স্থায়ী সদস্য।
-
এই স্থায়ী সদস্যরা হলো: চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
-
এ পাঁচটি দেশ সম্মিলিতভাবে পি-৫ (P-5) নামে পরিচিত।
-
নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশের ভিত্তিতে সাধারণ পরিষদ জাতিসংঘে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করে।
-
মহাসচিব ও আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের বিচারক নিয়োগেও নিরাপত্তা পরিষদ সুপারিশ প্রদান করে।
-
মহাসচিব নিয়োগ পায় নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশের ভিত্তিতে এবং সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে।
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও সদস্য সংখ্যা প্রসঙ্গ
-
১৯৬৩ সালে জাতিসংঘ সনদের ২৩নং অনুচ্ছেদের সংশোধনের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য সংখ্যা ১১ থেকে বৃদ্ধি করে ১৫-তে উন্নীত করা হয়, যা কার্যকর হয় ১৯৬৫ সাল থেকে।
-
অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হন দুই বছরের মেয়াদে।
বর্তমানে (২০২৫ পর্যন্ত) নিরাপত্তা পরিষদের দশটি অস্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র হলো
-
২০২৪ মেয়াদের জন্য: ইকুয়েডর, জাপান, মাল্টা, মোজাম্বিক, সুইজারল্যান্ড
-
২০২৫ মেয়াদের জন্য: আলজেরিয়া, গায়ানা, কোরিয়া, সিয়েরা লিওন, স্লোভেনিয়া
বাংলাদেশ ও নিরাপত্তা পরিষদ
-
বাংলাদেশ দুইবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
-
প্রথমবার: ১৯৭৯-১৯৮০ সালে, জাপানকে পরাজিত করে।
-
দ্বিতীয়বার: ২০০০-২০০১ সালে।
-
-
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, ১৯৭৯-৮০ মেয়াদে বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদ অর্জন ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্যসূত্র: UN Security Council ওয়েবসাইট

0
Updated: 2 months ago