A
সক্ষমতা তৈরি
B
অংশীদারিত্ব
C
সমতা বিধান
D
উপরের সবগুলো
উত্তরের বিবরণ
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি)
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে—এই চিন্তাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
এসডিজি কীভাবে এলো?
২০১৫ সালের ২৫-২৭ সেপ্টেম্বর, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের এক সম্মেলনে ১৯৩টি দেশ মিলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDG) গ্রহণ করে। এর আগে ছিল সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (MDG), এসডিজি সেটারই পরবর্তী ধাপ।
এসডিজির মূল নীতি
👉 "Leave no one behind", অর্থাৎ কাউকে পিছনে ফেলে নয়—সবাইকে সঙ্গে নিয়েই উন্নয়ন।
এসডিজি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
মোট লক্ষ্য: ১৭টি
-
টার্গেট বা উপলক্ষ্য: ১৬৯টি
-
মেয়াদ: ২০১৬ থেকে ২০৩০ সাল
-
বাস্তবায়ন শুরু: ১ জানুয়ারি, ২০১৬
-
শেষ হবে: ৩১ ডিসেম্বর, ২০৩০
এসডিজির ১৭টি লক্ষ্য:
১. দারিদ্র্য দূর করা
২. ক্ষুধা কমানো
৩. সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিত করা
৪. মানসম্মত শিক্ষা দেওয়া
৫. নারী-পুরুষের সমতা আনা
৬. নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন নিশ্চিত করা
৭. সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহার
৮. ভালো কাজ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন
৯. শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো গড়ে তোলা
১০. আয় ও সুযোগের বৈষম্য কমানো
১১. টেকসই শহর ও বসবাসযোগ্য জনপদ
১২. পরিবেশবান্ধব ভোগ ও উৎপাদন
১৩. জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা
১৪. সাগর ও জলজ জীবন সংরক্ষণ
১৫. স্থলজ প্রাণী ও প্রকৃতি রক্ষা
১৬. শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান
১৭. এই লক্ষ্যগুলো অর্জনে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা
কেন ১৭ নম্বর লক্ষ্যটি (অংশীদারিত্ব) এত গুরুত্বপূর্ণ?
কারণ, অন্য ১৬টি লক্ষ্য সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, নীতিগত সমন্বয় ও যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য। তাই এসডিজি ১৭-কে বলা হয় সব লক্ষ্য পূরণের ভিত্তি।
উৎস: UNDP ওয়েবসাইট

0
Updated: 4 days ago