ব্যাসল্ট কোথায় বেশী দেখা যায়?
A
গুরুমন্ডলে
B
কেন্দ্রমন্ডলে
C
অশ্বমন্ডলে (সঠিক বানান অশ্মমন্ডল )
D
ভূ-ত্বকে
উত্তরের বিবরণ
ব্যাসল্ট (Basalt) হলো পৃথিবীর অশ্মমণ্ডলের (Crust) একটি গুরুত্বপূর্ণ শিলা, যা মূলত সমুদ্রের তলদেশে এবং ভূত্বকের পাতলা অংশে বেশি পাওয়া যায়।
-
এটি পৃথিবীর ভূত্বকের বৃহত্তম অংশ তৈরি করে এবং মহাদেশীয় পৃষ্ঠেও এর উপস্থিতি রয়েছে।
-
ব্যাসল্ট গঠিত হয় লাভার দ্রুত শীতলায়নের ফলে, যা সাধারণত আগ্নেয়গিরি বা সমুদ্রতলীয় বিভাজন রেখার কাছে ঘটে।
-
এটি একটি গাঢ় বর্ণের, ঘন ও ভারী আগ্নেয় শিলা, যাতে প্রধানত লৌহ, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খনিজ থাকে।
-
ব্যাসল্ট শুধু পৃথিবীতেই নয়, চাঁদের পৃষ্ঠেও পাওয়া যায়, যা এটিকে সৌরজগতের অন্যতম সাধারণ আগ্নেয় শিলা হিসেবে চিহ্নিত করে।

0
Updated: 3 days ago
পৃথিবীর প্রতিপাদ স্থানের মধ্যে সময়ের পার্থক্য কত?
Created: 3 days ago
A
২৪ ঘন্টা
B
১২ ঘন্টা
C
৬ ঘন্টা
D
৬ ঘন্টা ৪৮ মিনিট
প্রতিপাদ স্থান হলো পৃথিবীর এমন দুটি স্থান, যা একে অপরের ঠিক বিপরীতে অবস্থিত থাকে এবং যাদের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর কেন্দ্র অতিক্রম করে একটি কাল্পনিক সরলরেখা আঁকা যায়। এদের মধ্যে দ্রাঘিমার পার্থক্য সর্বদা ১৮০° হয়, যার ফলে সময়ের পার্থক্যও নির্দিষ্টভাবে নির্ধারিত থাকে।
তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
প্রতিপাদ স্থান: একটি স্থান এবং তার ঠিক বিপরীত দিকে অবস্থিত স্থানকে প্রতিপাদ স্থান বলে।
-
দ্রাঘিমার পার্থক্য: প্রতিপাদ স্থান দুটির মধ্যে দ্রাঘিমার পার্থক্য ১৮০°।
-
সময় গণনা:
-
১° দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট।
-
সুতরাং, ১৮০° দ্রাঘিমার পার্থক্যের কারণে সময়ের পার্থক্য হয় ১৮০ × ৪ = ৭২০ মিনিট।
-
৭২০ মিনিট = ১২ ঘণ্টা।
-
-
উপসংহার: পৃথিবীর যেকোনো দুটি প্রতিপাদ স্থানের মধ্যে সময় পার্থক্য ১২ ঘণ্টা, কারণ তারা পরস্পরের বিপরীতে অবস্থিত এবং তাদের দ্রাঘিমার পার্থক্য ১৮০°।

0
Updated: 3 days ago
সূর্য ও পৃথিবীর দূরত্ব সর্বপেক্ষা বেশী হলে তাকে কি বলে?
Created: 3 days ago
A
গোধুলী
B
সংক্রান্তি
C
অনুসুর
D
অপসুর
অপসুর (Aphelion) ও অনুসুর (Perihelion) হলো পৃথিবীর কক্ষপথে সূর্যের সাথে অবস্থানভেদে দূরত্বের পার্থক্য নির্দেশক দুটি অবস্থা। পৃথিবীর কক্ষপথ পুরোপুরি বৃত্তাকার নয়, বরং সামান্য উপবৃত্তাকার হওয়ায় এই পার্থক্য ঘটে।
তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
অপসুর (Aphelion): পৃথিবী যখন সূর্য থেকে সর্বাধিক দূরত্বে অবস্থান করে, তাকে অপসুর বলে। এটি সাধারণত জুলাই মাসে ঘটে।
-
অনুসুর (Perihelion): পৃথিবী যখন সূর্য থেকে সর্বনিম্ন দূরত্বে অবস্থান করে, তাকে অনুসুর বলে। এটি সাধারণত জানুয়ারি মাসে ঘটে।
-
সংক্ষেপে:
-
অপসুর = সূর্য থেকে সর্বাধিক দূরত্ব
-
অনুসুর = সূর্য থেকে সর্বনিম্ন দূরত্ব
-

0
Updated: 3 days ago
ভূ-তাত্ত্বিক সময়পুঞ্জী অনুসারে পৃথিবীর বয়স কত বছর?
Created: 3 days ago
A
২.৫ বিলিয়ন বছর
B
৩.৫ বিলিয়ন বছর
C
৪.৫ বিলিয়ন বছর
D
৫.৫ বিলিয়ন বছর
ভূ-তাত্ত্বিক সময়পুঞ্জী (Geologic Time Scale) অনুযায়ী পৃথিবীর বয়স আনুমানিক ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর (৪,৫৪০ মিলিয়ন বছর) বা প্রায় ৪.৫৪ × ১০⁹ বছর। এই হিসাব মূলত পৃথিবীর শিলা, খনিজ এবং উল্কাপিণ্ডের রেডিওমেট্রিক ডেটিং বিশ্লেষণের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে।
তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
বয়স: প্রায় ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর (৪,৫৪০ মিলিয়ন বছর)।
-
উৎস: শিলা ও উল্কাপিণ্ডের রেডিওঅ্যাকটিভ আইসোটোপ বিশ্লেষণ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে।
-
ভূ-তাত্ত্বিক সময়পুঞ্জী অনুসারে: পৃথিবীর ইতিহাসকে বিভিন্ন ইয়ন, যুগ, কাল ও পর্বে বিভক্ত করা হয়েছে, যেমন — প্রাক-ক্যামব্রিয়ান ইয়ন, প্যালিওজোয়িক, মেসোজোয়িক ও সিনোজোয়িক যুগ।
-
গুরুত্ব: এই সময়পুঞ্জী পৃথিবীর গঠন, জীববিবর্তন ও ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তনসমূহ বোঝার জন্য একটি বৈজ্ঞানিক কাঠামো প্রদান করে।

0
Updated: 3 days ago