বাংলাদেশে কত কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ আছ?
A
১৫৫৭ কি:মি
B
৩৭৫ কি:মি
C
৪২৭ কি:মি
D
৬৫৯ কি:মি
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে ব্রডগেজ রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৫৯ কিলোমিটার। দেশের রেলপথ ব্যবস্থা পূর্ব ও পশ্চিম দুই ভাগে বিভক্ত, যেখানে উভয় অংশে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ রেলপথ বিদ্যমান।
-
পূর্বাঞ্চলীয় অংশের দৈর্ঘ্য: প্রায় ১২৭৯ কিলোমিটার (ব্রডগেজ ও মিটারগেজ মিলিয়ে)।
-
পশ্চিমাঞ্চলীয় অংশের দৈর্ঘ্য: প্রায় ১৪২৭ কিলোমিটার (ব্রডগেজ ও মিটারগেজ মিলিয়ে)।
এই বিভাজন মূলত ভৌগোলিক অবস্থান ও ঐতিহাসিক নির্মাণ প্রক্রিয়ার পার্থক্যের কারণে হয়েছে, যা বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার কাঠামো নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 3 days ago
‘হিমশৈল’ কী?
Created: 3 weeks ago
A
পর্বতের চূড়ায় জমাট বাঁধা বরফ
B
অ্যান্টার্কটিকায় জমাট বাঁধা বরফ
C
সমুদ্রস্রোতে ভেসে আসা বিশাল বরফখণ্ড
D
মেরু অঞ্চলে জমে থাকা স্থায়ী বরফের স্তর
মশৈল হলো সমুদ্র জলে ভাসমান বিশাল বরফের স্তুপ, যা প্রাকৃতিকভাবে হিমবাহ থেকে আলাদা হয়ে আসে এবং শীতল সমুদ্রস্রোতের সঙ্গে ভেসে যায়। এটি সমুদ্রপথে নৌপরিবহনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
-
ইংরেজি নাম: Iceberg
-
উৎপত্তি: Iceberg শব্দটি পর্তুগিজ শব্দ ‘ijsberg’ থেকে এসেছে, যার অর্থ বরফের পর্বত।
-
গঠন প্রক্রিয়া: মহাদেশীয় হিমবাহ থেকে বরফের স্রোত বা তরঙ্গের আঘাতে বিশাল বরফের অংশ আলাদা হয়ে সমুদ্রজলে ভাসতে থাকে।
-
আকার ও বৈশিষ্ট্য: হিমশৈল একটি পাহাড়ের মতো বিশাল আকৃতির বরফের স্তুপ, যার বড় অংশ প্রায়শই পানির নিচে থাকে।
-
ঝুঁকি: শীতল সমুদ্রস্রোতের সঙ্গে ভেসে আসা হিমশৈল জাহাজ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে, অনেক সময় ধাক্কা লাগার কারণে জাহাজডুবি ঘটে।
-
প্রসিদ্ধ উদাহরণ: যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত টাইটানিক জাহাজ, ১৯১২ সালে প্রথম যাত্রায় হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল।
-
হিমশৈল সমুদ্রের পরিবেশগত ও ভৌগোলিক গবেষণার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি হিমবাহের গলন ও সমুদ্রস্তরের পরিবর্তন সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করে।

0
Updated: 3 weeks ago
'সোনা মসজিদ' স্থলবন্দর কোন্ জেলায় অবস্থিত?
Created: 3 days ago
A
দিনাজপুর
B
পঞ্চগড়
C
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
D
রংপুর
সোনা মসজিদ স্থলবন্দর বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর। এটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক যোগাযোগের অন্যতম প্রধান পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
এই বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
-
পাশাপাশি সীমিত পরিসরে মানুষের চলাচল ও পণ্য পরিবহনও নিয়ন্ত্রিতভাবে সম্পন্ন হয়।
-
সোনা মসজিদ স্থলবন্দর বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বাণিজ্যিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং এটি রাজশাহী বিভাগের অন্যতম ব্যস্ত বন্দর হিসেবে পরিচিত।

0
Updated: 3 days ago
ল্যাব্রাডর স্রোত কোথায় অবস্থিত?
Created: 3 days ago
A
কিউবায়
B
কানাডায়
C
জাপানে
D
যুক্তরাষ্ট্রে
ল্যাব্রাডর স্রোত (Labrador Current) হলো উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শীতল সমুদ্রস্রোত, যা আর্কটিক মহাসাগর থেকে উৎপন্ন হয়ে কানাডার ল্যাব্রাডর উপকূল বরাবর দক্ষিণমুখে প্রবাহিত হয়। এটি পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ ঠান্ডা সমুদ্রস্রোতগুলোর একটি।
তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
উৎপত্তি: আর্কটিক মহাসাগর থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়।
-
প্রবাহপথ: ল্যাব্রাডর উপকূল ও নিউফাউন্ডল্যান্ড অতিক্রম করে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে প্রবেশ করে।
-
সংযোগ: নোভা স্কটিয়ার নিকটে এটি উপসাগরীয় স্রোত (Gulf Stream) নামের উষ্ণ সমুদ্রস্রোতের সঙ্গে মিলিত হয়।
-
প্রভাব: এই স্রোতের কারণে ঐ অঞ্চলে জলবায়ু শীতল, এবং কুয়াশা সৃষ্টি ও মৎস্য আহরণে পরিবর্তন ঘটে; বিশেষত নিউফাউন্ডল্যান্ডের কাছে ঘন কুয়াশা এই দুই বিপরীত প্রকৃতির স্রোতের মিলনের ফল।

0
Updated: 3 days ago