'সিয়াল' কোথায় অবস্থিত?
A
পৃথিবীর উপরিভাগে
B
পৃথিবীর কেন্দ্রে
C
পৃথিবীর মধ্যভাগে
D
পাহাড়ের তলদেশে
উত্তরের বিবরণ
সিয়াল (Sial) হলো পৃথিবীর ভূত্বকের উপরের স্তর, যা মূলত পৃথিবীর উপরিভাগে অবস্থিত। এই স্তরটি সিলিকা (Silicon) এবং অ্যালুমিনিয়াম (Aluminium) সমৃদ্ধ শিলা দ্বারা গঠিত, তাই এর নাম এসেছে "Si + Al" থেকে।
-
এটি মূলত মহাদেশীয় ভূত্বকের প্রধান উপাদান।
-
সিয়াল স্তর তুলনামূলকভাবে হালকা ও কম ঘনত্বযুক্ত, ফলে এটি সমুদ্রতলীয় অংশের তুলনায় উপরে অবস্থান করে।
-
এই স্তরের প্রধান শিলা হলো গ্রানাইট, যা ভূত্বকের গঠন ও স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 3 days ago
পৃথিবীর ব্যাসার্ধ কত?
Created: 3 days ago
A
৬,৩৫০ কি:মি
B
৬,২৫০ কি:মি
C
৬,৪২৫ কি:মি
D
৬,৩৭১ কি:মি
পৃথিবী সম্পূর্ণ গোল নয়, বরং কিছুটা চাপা বা অবলেট স্ফেরয়েড (Oblate Spheroid) আকৃতির। এর ব্যাসার্ধ বিভিন্ন স্থানে সামান্য ভিন্নতা দেখা যায়।
তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
উত্তর/দক্ষিণ ধ্রুবীয় ব্যাসার্ধ (Polar radius): প্রায় 6,357 কিলোমিটার
-
বিষুবীয় ব্যাসার্ধ (Equatorial radius): প্রায় 6,378 কিলোমিটার
-
গড় ব্যাসার্ধ (Mean radius): আনুমানিক 6,371 কিলোমিটার
এই পার্থক্যের কারণেই পৃথিবী বিষুবরেখার দিকে কিছুটা ফুলে আছে এবং ধ্রুব অঞ্চলে সামান্য চাপা।

0
Updated: 3 days ago
সূর্য ও পৃথিবীর দূরত্ব সর্বপেক্ষা বেশী হলে তাকে কি বলে?
Created: 3 days ago
A
গোধুলী
B
সংক্রান্তি
C
অনুসুর
D
অপসুর
অপসুর (Aphelion) ও অনুসুর (Perihelion) হলো পৃথিবীর কক্ষপথে সূর্যের সাথে অবস্থানভেদে দূরত্বের পার্থক্য নির্দেশক দুটি অবস্থা। পৃথিবীর কক্ষপথ পুরোপুরি বৃত্তাকার নয়, বরং সামান্য উপবৃত্তাকার হওয়ায় এই পার্থক্য ঘটে।
তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
অপসুর (Aphelion): পৃথিবী যখন সূর্য থেকে সর্বাধিক দূরত্বে অবস্থান করে, তাকে অপসুর বলে। এটি সাধারণত জুলাই মাসে ঘটে।
-
অনুসুর (Perihelion): পৃথিবী যখন সূর্য থেকে সর্বনিম্ন দূরত্বে অবস্থান করে, তাকে অনুসুর বলে। এটি সাধারণত জানুয়ারি মাসে ঘটে।
-
সংক্ষেপে:
-
অপসুর = সূর্য থেকে সর্বাধিক দূরত্ব
-
অনুসুর = সূর্য থেকে সর্বনিম্ন দূরত্ব
-

0
Updated: 3 days ago
'সুনামী' কোথায় উৎপত্তি লাভ করে?
Created: 3 days ago
A
নদীতে
B
সমুদ্রে
C
স্থলভাগে
D
বায়ুমন্ডলে
সুনামি (Tsunami) হলো সমুদ্র বা মহাসাগরের তলদেশে হঠাৎ ঘটে যাওয়া ভূমিকম্প, ভূমিধস বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুত্পাতের ফলে সৃষ্ট একধরনের বিশাল জলোচ্ছ্বাস। এটি দ্রুত গতিতে সমুদ্র পৃষ্ঠে ছড়িয়ে পড়ে এবং উপকূলীয় এলাকায় পৌঁছে প্রবল বন্যার মতো ধ্বংসাত্মক প্রভাব সৃষ্টি করে।
তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
উৎপত্তি কারণ: প্রধানত সমুদ্রতলের ভূমিকম্প, ভূমিধস, বা আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ থেকে উৎপন্ন শক্তির কারণে।
-
প্রকৃতি: সৃষ্ট ঢেউগুলো প্রথমে সমুদ্রে তেমন দৃশ্যমান না হলেও উপকূলের অগভীর জলে পৌঁছে তা অত্যন্ত উচ্চ ও শক্তিশালী ঢেউয়ে রূপ নেয়।
-
প্রভাব: উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবল জলোচ্ছ্বাস, বন্যা ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়।
-
অর্থ: জাপানি শব্দ “Tsu” (বন্দর) এবং “Nami” (ঢেউ) থেকে এসেছে, অর্থাৎ “বন্দরের ঢেউ”।

0
Updated: 3 days ago