'Turbulent flow' কিসের নাম?
A
নদী প্রবাহ
B
বায়ু প্রবাহ
C
হিমবাহ
D
ভূমিকম্প তরঙ্গ
উত্তরের বিবরণ
টার্বুলেন্ট ফ্লো (Turbulent Flow) এমন এক ধরনের তরল প্রবাহ যেখানে কণাগুলো নিয়মিতভাবে নয়, বরং এলোমেলোভাবে এবং বিশৃঙ্খল গতিতে চলে। এই প্রবাহে চাপ ও বেগ ক্রমাগত পরিবর্তিত হয়, ফলে তরলের ভেতরে ঘূর্ণি ও ঢেউ সৃষ্টি হয়। সাধারণত এটি ঘটে যখন তরলের গতি অনেক বেশি বা প্রবাহে কোনো বাধা উপস্থিত থাকে।
-
অর্থ ও ব্যবহার: সাধারণত নদীর পানির এলোমেলো ঘূর্ণন বা অশান্ত প্রবাহ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
বৈশিষ্ট্য:
-
অনিয়মিত গতি: তরলের গতি ও দিক এক বিন্দুতে স্থির থাকে না, বরং ক্রমাগত পরিবর্তিত হয়।
-
ঘূর্ণি ও ঢেউ: প্রবাহের মধ্যে ছোট-বড় ঘূর্ণি (vortex) এবং ঢেউ সৃষ্টি হয়।
-
উচ্চ মিশ্রণ ক্ষমতা: তরল পদার্থ খুব ভালোভাবে মিশে যায়, যা তাপ ও ভরবেগ স্থানান্তরে সহায়তা করে।
-
বিশৃঙ্খল প্রকৃতি: এটি এলোমেলো ও অনিশ্চিত, ফলে একই পরিস্থিতিতেও ফলাফল এক নয়।
-
-
বিপরীত প্রবাহ: এর বিপরীতে ল্যামিনার ফ্লো-এ তরল মসৃণ ও সমান্তরাল স্তরে প্রবাহিত হয়।
-
উদাহরণ: দ্রুত প্রবাহমান নদীর জল, ধোঁয়া বা বাতাসের প্রবাহ, কল থেকে দ্রুত জলের ধারা, বা অ্যারোফয়েল (aerofoil)-এর উপর দিয়ে বায়ুর প্রবাহ।

0
Updated: 3 days ago
বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী কোনটি?
Created: 1 month ago
A
মেঘনা
B
যমুনা
C
পদ্মা
D
কর্ণফুলী
দেশের দীর্ঘতম নদী: পদ্মা নদী
পদ্মার আরেকটি নাম কীর্তিনাশা।
-
ভারতের মধ্য হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন গঙ্গা নদী বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার উত্তরের দিকে প্রবেশ করে।
-
কুষ্টিয়া থেকে নদী প্রবাহিত হয়ে রাজশাহী অঞ্চলের কাছ দিয়ে যায়।
-
এরপর গোয়ালন্দে যমুনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে পদ্মা নামে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়।
-
চাঁদপুরের কাছে পদ্মা মেঘনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে তিন নদীর মিলিত স্রোত বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত হয়।
শাখা নদী:
মধুমতী, আড়িয়াল খাঁ, ভৈরব, মাথাভাঙা, কুমার, কপোতাক্ষ, শিবসা, পশুর (বা পসুর) বড়াল।
উপনদী:
মহানন্দা, ট্যাঙ্গন, পুনর্ভবা, নগর, কুলিক।
দৈর্ঘ্য ও অঞ্চল:
-
বাংলাদেশের তিনটি বিভাগের ১২টি জেলায় পদ্মা নদী প্রবাহিত।
-
নদীর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৪১ কিমি।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী: ইছামতী (৩৩৪ কিমি) এবং সাঙ্গু/শঙ্খ (২৯৪ কিমি)।
-
সবচেয়ে বেশি উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত নদী: মেঘনা (৩৬টি উপজেলা)।
-
সবচেয়ে বেশি নদ-নদী আছে: ঢাকা বিভাগ (২২২টি নদী)।
-
সবচেয়ে বেশি নদী আছে জেলায়: সুনামগঞ্জ (৯৭টি নদী)।
-
দেশের ক্ষুদ্রতম নদী: গাঙ্গিনা নদী (দৈর্ঘ্য ০.০৩২ কিমি)।
উৎস: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, নদী রক্ষা কমিশন।

0
Updated: 1 month ago
দুটি নদীর মধ্যবর্তী ভূমিকে কি বলে?
Created: 3 days ago
A
খাড়ি
B
পললকোন
C
উপত্যকা
D
দোয়াব
দোয়াব (Doab) শব্দটি ফারসি ভাষার ‘দো’ (দুই) এবং ‘আব’ (পানি বা নদী) শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো দুটি নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চল। এই ধরনের এলাকা সাধারণত দুই নদীর পলল দ্বারা গঠিত হওয়ায় অত্যন্ত উর্বর ও কৃষিযোগ্য হয়।
-
দোয়াব অঞ্চলের মাটি পললজাত ও আর্দ্র, যা ফসল উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত।
-
এই ধরনের ভূপ্রকৃতি উত্তর ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়।
-
উদাহরণ হিসেবে গঙ্গা-যমুনা দোয়াব উল্লেখযোগ্য, যা ভারতের অন্যতম উর্বর অঞ্চল।

0
Updated: 3 days ago
নদীর অধিক বিস্তৃত মোহনাকে কী বলে?
Created: 3 weeks ago
A
খাঁড়ি
B
দোয়াব
C
নদীর উৎস
D
নদীসংগম
নদী হলো একটি প্রাকৃতিক জলপ্রবাহ যা উঁচু স্থান থেকে সমভূমি বা নিম্নভূমির দিকে প্রবাহিত হয়ে কোনো হ্রদ, জলাধার বা সমুদ্রের সঙ্গে মিলিত হয়। নদী ভূ-প্রকৃতি, কৃষি, পরিবহন ও মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
-
উঁচু পর্বত, মালভূমি বা উঁচু স্থান থেকে বৃষ্টি, প্রস্রবণ, হিমবাহ বা বরফ গলার পানির ক্ষুদ্র স্রোতধারা মিলিত হয়ে নদী গঠন করে।
-
নদীর উৎপত্তি স্থানের নাম নদীর উৎস।
-
নদী যখন কোনো হ্রদ বা সাগরে পতিত হয়, সেই স্থানকে মোহনা বলে।
-
নদীর অধিক বিস্তৃত মোহনাকে খাঁড়ি বলে।
-
প্রবাহমান দুটি নদীর মধ্যবর্তী ভূমিকে দোয়াব বলা হয়।
-
দুই বা ততোধিক নদীর মিলনস্থলকে নদীসংগম বলা হয়।
-
পর্বত বা হ্রদ থেকে উৎপন্ন ছোট নদীগুলো কোনো বড় নদীতে পতিত হলে তা বড় নদীর উপনদী বলে। উদাহরণ: বাংলাদেশের তিস্তা ও করতোয়া নদী যমুনা নদীর উপনদী।
-
মূল নদী থেকে যে সকল নদী বের হয়, তা শাখানদী নামে পরিচিত। উদাহরণ: বাংলাদেশের কুমার ও গড়াই নদী পদ্মা নদীর শাখানদী।
নদী শুধুমাত্র পানি সরবরাহের উৎস নয়, এটি মাটির উর্বরতা, মাছধরা, পরিবহন ও বানিজ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের নদীমাতৃক ভূ-প্রকৃতির কারণে নদীসমূহ দেশের অর্থনীতি, জীবন ও সংস্কৃতিতে অপরিসীম অবদান রাখে।

0
Updated: 3 weeks ago