বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী-
A
সুভাষ চন্দ্র চন্দ্র বসু
B
এ কে ফজলুল হক
C
হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী
D
খাজা নাজিমুদ্দিন
উত্তরের বিবরণ
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটে। এই সময়ের ঘটনাগুলো নিম্নরূপ—
-
১৪ আগস্ট ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলে খাজা নাজিমউদ্দীন পূর্ব বাংলার (পূর্ব পাকিস্তান) প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।
-
পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর মৃত্যু হলে, ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে খাজা নাজিমউদ্দীন পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল পদে অধিষ্ঠিত হন।

0
Updated: 3 days ago
হুগলীতে পর্তুগীজদের দমন করেন কে?
Created: 3 days ago
A
সুবাদার মীর জুমলা
B
সুবাদার কাসিম খান জুয়াইনী
C
সুবাদার শায়েন্তা খাঁন
D
সুবাদার মুর্শিদ কুলী খান
কাসিম খান জুইনি ছিলেন সম্রাট শাহজাহান কর্তৃক বাংলার সুবাহদার হিসেবে নিযুক্ত একজন বিশিষ্ট প্রশাসক। তিনি শাহজাহানের শাসনামলে বাংলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতা বিশেষভাবে স্মরণীয়।
কাসিম খান জুইনি (১৬২৮–১৬৩২) সম্রাট শাহজাহান কর্তৃক বাংলার সুবাহদার নিযুক্ত হন।
-
শাহজাহান সিংহাসনে আরোহণের পর ফিদাই খানকে বরখাস্ত করে তাঁকে এই পদে নিয়োগ দেন।
-
তিনি ছিলেন মীর মুরাদের পুত্র।
-
সম্রাট আকবর, শাহজাদা খুররমকে (পরবর্তী শাহজাহান) ধনুর্বিদ্যায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য মীর মুরাদকে নিয়োগ করেছিলেন এবং পরে তাঁকে লাহোরের বখশী নিযুক্ত করেন।
-
ইসলাম খান চিশতির সুবাহদারি আমলে, কাসিম খান বাংলায় খাজাঞ্চি পদে কর্মরত ছিলেন।
-
তাঁর সুবাহদারি আমলের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল পর্তুগিজদের নিকট থেকে হুগলি দখল।

0
Updated: 3 days ago
পান্ডুয়ার (ফিরোজাবাদ) সন্নিকটে আদিনার বিখ্যাত মসজিদ কোন্ সুলতানের শাসনামলে নির্মিত হয়?
Created: 4 days ago
A
শামস উদ্দীন ইলিয়াস শাহ্
B
সিকান্দার শাহ্
C
আলাউদ্দিন হুসেন শাহ্
D
গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ্
আদিনা মসজিদ বাংলার ইতিহাসে স্থাপত্য ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন। এটি শুধু বাংলার নয়, সমগ্র উপমহাদেশের অন্যতম বৃহত্তম মসজিদ হিসেবে পরিচিত।
-
অবস্থান: পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার হযরত পান্ডুয়া বা ফিরুজাবাদে অবস্থিত।
-
গুরুত্ব: এটি উপমহাদেশের বৃহত্তম মসজিদ, যা বাংলার স্থাপত্য ঐতিহ্যের শিখর নির্দেশ করে।
-
নির্মাণকাল ও নির্মাতা: মসজিদের পেছনের দেয়ালের একটি শিলালিপি থেকে জানা যায়, এটি ১৩৭৩ খ্রিস্টাব্দে সুলতান ইলিয়াস শাহের পুত্র সিকান্দর শাহ নির্মাণ করেন।
-
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: সিকান্দর শাহ ১৩৬৯ খ্রিস্টাব্দে নিজেকে আরব ও পারস্যের সুলতানদের মধ্যে যোগ্যতম এবং পরবর্তীতে ‘বিশ্বাসীদের খলিফা’ বলে ঘোষণা করেন। তাই এমন একটি বিশাল ও জাঁকজমকপূর্ণ মসজিদ নির্মাণ তাঁর সম্পদ, ক্ষমতা ও ধর্মীয় মর্যাদার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 4 days ago
সামরিক বিভাগে দুর্নীতি দূর করার জন্য 'হলিয়া' ও 'দাগ' নামে দুটি ব্যবস্থার প্রচলন করেন কোন্ সুলতান?
Created: 3 days ago
A
পিয়াস উদ্দীন বলবন
B
জালাল উদ্দীন ফিরোজ খলজী
C
আলাউদ্দিন খলজী
D
মুহম্মদ বিন তুঘলক
আলাউদ্দিন খলজী সৈন্যবাহিনীতে শৃঙ্খলা ও সততা বজায় রাখতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করেন। তাঁর সময় সৈন্যদের অনুপস্থিতি ও নিম্নমানের ঘোড়া ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছিল, যা তিনি কঠোরভাবে দমন করেন।
এই সংস্কারের মূল দিকগুলো ছিল—
-
হুলিয়া প্রথা: প্রতিটি সৈন্যের দৈহিক বৈশিষ্ট্য ও পরিচয় সরকারিভাবে নথিভুক্ত করা হয়, যাতে অন্য কেউ তার স্থলাভিষিক্ত হতে না পারে।
-
দাগ প্রথা: সৈন্যদের ব্যবহৃত ঘোড়ার শরীরে লোহা পুড়িয়ে বিশেষ চিহ্ন (দাগ) দেওয়া হতো, যাতে যুদ্ধের সময় নিম্নমানের বা ভিন্ন ঘোড়া বদলে ব্যবহার করা না যায়।
-
এই ব্যবস্থা দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সৈন্যবাহিনীর দক্ষতা ও বিশ্বস্ততা নিশ্চিত করে।

0
Updated: 3 days ago