১৮৫৬ সালের প্যারিস শান্তিচুক্তি ইউরোপীয় রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় আনে, যেখানে রাশিয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই চুক্তি মূলত ক্রিমিয়ান যুদ্ধের অবসান ঘটায় এবং ইউরোপে শক্তির ভারসাম্যে পরিবর্তন আনে।
মূল তথ্যগুলো হলো:
-
১৮৫৬ সালের ৩০ মার্চ প্যারিস কংগ্রেসে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আলোচনায় একপাশে ছিল রাশিয়া, অন্যপাশে ফ্রান্স, ব্রিটেন, অটোমান সাম্রাজ্য ও সার্ডিনিয়া রাজ্য।
-
এটি ছিল ১৮৫৩ সালের ২৩ অক্টোবর শুরু হওয়া ক্রিমিয়ান যুদ্ধের সমাধান, যা শুরু হয় রাশিয়ান বাহিনীর দানুবিয়ান রাজ্য দখলের পর অটোমান সাম্রাজ্যের যুদ্ধ ঘোষণা থেকে।
-
চুক্তিটি তানজিমাত সংস্কার নীতির একটি সাফল্য হিসেবে গণ্য করা হয়, কারণ এটি অটোমান সাম্রাজ্যের আধুনিকায়ন প্রচেষ্টাকে জোরদার করে।
-
পশ্চিম ইউরোপীয় শক্তিগুলো অটোমান সাম্রাজ্যের অখণ্ডতা রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং যুদ্ধের পূর্ববর্তী সীমান্ত পুনরুদ্ধার করা হয়।
-
কৃষ্ণ সাগরকে নিরস্ত্রীকরণ করা হয়, যার ফলে রাশিয়ার এই অঞ্চলে প্রভাব ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়।
-
মোল্দাভিয়া ও ওয়ালাচিয়াকে অটোমান আধিপত্যের অধীনে আধা-স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
-
চুক্তির ফলস্বরূপ, অটোমান মিত্ররা রাশিয়ার কাছ থেকে দানিউবের মুখের বাম তীর ও বেসারাবিয়ার কিছু অংশ অর্জন করে।
এই চুক্তির মাধ্যমে রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপে প্রভাব কমে যায় এবং অটোমান সাম্রাজ্য সাময়িকভাবে ইউরোপীয় শক্তিগুলোর সমর্থন লাভ করে।