১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যে সেক্টরের অধীনে ছিল-
A
৮ নং
B
৯ নং
C
১০ নং
D
১১ নং
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নৌবাহিনীর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা সরাসরি কোনো নির্দিষ্ট আঞ্চলিক সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং শত্রুর সামুদ্রিক শক্তি দুর্বল করার জন্য বিভিন্ন সেক্টরে অভিযান চালায়।
১. নৌবাহিনী ছিল ১০ নং সেক্টরের অধীনে, যা ছিল মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ নৌঅভিযান পরিচালনাকারী সেক্টর।
২. এই সেক্টরের কোনো আঞ্চলিক সীমানা ছিল না, কারণ এর কার্যক্রম বিস্তৃতভাবে দেশের বিভিন্ন নদী ও সমুদ্র অঞ্চলে পরিচালিত হতো।
৩. ৫১৫ জন নৌবাহিনীর কমান্ডো এই সেক্টরের অধীন ছিল, যারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করত।
৪. তাদের প্রধান কাজ ছিল শত্রুপক্ষের নৌযান ও জাহাজ ধ্বংস করা, যাতে পাকিস্তানি বাহিনীর যোগাযোগ ও সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়।
৫. এজন্য নৌকমান্ডো দলগুলোকে বিভিন্ন সেক্টরে পাঠানো হতো, যেখানে তারা বিস্ফোরণ, মাইন স্থাপন ও নাশকতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করত।

0
Updated: 3 days ago
মানুচি কোন দেশের পর্যটক?
Created: 4 days ago
A
ইংল্যান্ড
B
ফ্রান্স
C
ইতালি
D
স্পেন
ভেনিসের পর্যটক নিকোলো মানুচি (১৬৩৯–১৭১৭) ছিলেন ভারতের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ইউরোপীয় ভ্রমণকারী, যিনি তাঁর ভ্রমণবৃত্তান্তে ভারত ও এর অধিবাসীদের জীবনযাত্রার নির্ভরযোগ্য বর্ণনা দিয়েছেন।
ভেনিস ইতালির একটি শহর, সেখানকারই নাগরিক ছিলেন নিকোলো মানুচি।
-
তিনি ভারতের নানা অঞ্চল পরিভ্রমণ করে স্থানীয় সংস্কৃতি, মানুষ ও শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছেন।
-
ধারণা করা হয়, তিনি ১৬৬২–৬৩ খ্রিষ্টাব্দে বাংলায় ভ্রমণ করেন।
-
তিনি রাজমহল হয়ে নদীপথে (গঙ্গা) বাংলায় প্রবেশ করেছিলেন।
-
তাঁর বর্ণনা অনুযায়ী, রাজমহল থেকে ঢাকা পৌঁছাতে তাঁর ১৫ দিন সময় লেগেছিল।
-
যাত্রাপথে তিনি মীরজুমলার পাঠানো বিশাল নৌকা দেখতে পান, যা সম্ভবত আসাম বিজয়ের অধিকৃত দ্রব্য ও অস্ত্রশস্ত্রে পূর্ণ ছিল।
-
এই ঘটনাস্থলটি সম্ভবত পদ্মা ও ব্রহ্মপুত্রের মিলিত ধারার পরবর্তী অঞ্চল ছিল বলে অনুমান করা হয়।
-
তিনি ঢাকায় কতদিন অবস্থান করেছিলেন, তা উল্লেখ করেননি।

0
Updated: 4 days ago
ইউরোপে সংঘটিত ত্রিশবর্ষব্যাপী যুদ্ধের সময়কাল-
Created: 3 days ago
A
১৬০৮-১৬৩৮
B
১৬১৮-১৬৪৮
C
১৬২৮-১৬৫৮
D
১৬৩৮-১৬৬৮
ত্রিশ বছরের যুদ্ধ ইউরোপের ইতিহাসে এক দীর্ঘ ও ধ্বংসাত্মক সংঘর্ষ হিসেবে পরিচিত। এই যুদ্ধের মাধ্যমে ইউরোপে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক পরিবর্তনের গভীর প্রভাব পড়েছিল।
যুদ্ধটি ১৬১৮ থেকে ১৬৪৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
-
এর প্রধান ক্ষেত্র ছিল জার্মানি, তবে ইউরোপের প্রায় সব দেশ কোনো না কোনোভাবে এতে জড়িয়ে পড়ে।
-
এটি ক্যাথলিক ও প্রোটেস্ট্যান্টদের মধ্যে ধর্মীয় দ্বন্দ্ব থেকে শুরু হলেও পরবর্তীতে রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক আধিপত্যের লড়াইয়ে রূপ নেয়।
-
যুদ্ধের ফলে অসংখ্য প্রাণহানি, অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং জার্মানির মারাত্মক ধ্বংস ঘটে।
-
১৬৪৮ সালে ওয়েস্টফালিয়ার সন্ধি (Treaty of Westphalia) দ্বারা এই যুদ্ধের অবসান ঘটে, যা ইউরোপে জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার সূচনা করে।
-
এই কারণে ত্রিশ বছরের যুদ্ধকে ইউরোপের আধুনিক ইতিহাসের অন্যতম মোড় ঘোরানো ঘটনা হিসেবে গণ্য করা হয়।

0
Updated: 3 days ago
দ্বিতীয় যোসেফের উল্লেখযোগ্য সংস্কার হলো-
Created: 3 days ago
A
মৃত্যুদন্ড নিষিদ্ধকরন
B
রাজস্ব বৃদ্ধি
C
ভূমিদাস প্রথার অবসান
D
প্রশাসনিক ক্ষমতা বৃদ্ধি
দ্বিতীয় যোসেফ ছিলেন অস্ট্রিয়ার প্রজাহিতৈষী স্বৈরশাসকদের মধ্যে অন্যতম, যিনি প্রজাদের কল্যাণে নানা গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্য সম্পন্ন করেন।
তিনি তাঁর মা মারিয়া থেরেসার মৃত্যুর পর ১৭৮০ সালে অস্ট্রিয়ার পূর্ণ শাসনভার গ্রহণ করেন এবং সমাজের প্রায় সবক্ষেত্রে পরিবর্তনের উদ্যোগ নেন।
ভূমিদাস প্রথার অবসান ছিল তাঁর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার।
-
মৃত্যুদণ্ডের বিলুপ্তি ঘটান।
-
ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদান করে সব ধর্মের মানুষকে সমান অধিকার ভোগের সুযোগ দেন।
-
আইনের চোখে সকল নাগরিকের সমতা ঘোষণা করেন।
-
প্রশাসনিক, আর্থ-সামাজিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কার আনেন।
তাঁর সকল উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ছিল প্রজাদের মঙ্গলসাধন। তিনি আন্তরিকভাবে এ লক্ষ্যে কাজ করলেও তাঁর গৃহীত সংস্কারসমূহ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। অবশেষে তিনি ১৭৯০ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

0
Updated: 3 days ago