ইউরোপে সংঘটিত ত্রিশবর্ষব্যাপী যুদ্ধের সময়কাল-
A
১৬০৮-১৬৩৮
B
১৬১৮-১৬৪৮
C
১৬২৮-১৬৫৮
D
১৬৩৮-১৬৬৮
উত্তরের বিবরণ
ত্রিশ বছরের যুদ্ধ ইউরোপের ইতিহাসে এক দীর্ঘ ও ধ্বংসাত্মক সংঘর্ষ হিসেবে পরিচিত। এই যুদ্ধের মাধ্যমে ইউরোপে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক পরিবর্তনের গভীর প্রভাব পড়েছিল।
যুদ্ধটি ১৬১৮ থেকে ১৬৪৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
-
এর প্রধান ক্ষেত্র ছিল জার্মানি, তবে ইউরোপের প্রায় সব দেশ কোনো না কোনোভাবে এতে জড়িয়ে পড়ে।
-
এটি ক্যাথলিক ও প্রোটেস্ট্যান্টদের মধ্যে ধর্মীয় দ্বন্দ্ব থেকে শুরু হলেও পরবর্তীতে রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক আধিপত্যের লড়াইয়ে রূপ নেয়।
-
যুদ্ধের ফলে অসংখ্য প্রাণহানি, অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং জার্মানির মারাত্মক ধ্বংস ঘটে।
-
১৬৪৮ সালে ওয়েস্টফালিয়ার সন্ধি (Treaty of Westphalia) দ্বারা এই যুদ্ধের অবসান ঘটে, যা ইউরোপে জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার সূচনা করে।
-
এই কারণে ত্রিশ বছরের যুদ্ধকে ইউরোপের আধুনিক ইতিহাসের অন্যতম মোড় ঘোরানো ঘটনা হিসেবে গণ্য করা হয়।

0
Updated: 3 days ago
সম্রাট হিসেবে নেপোলিয়নের ক্ষমতা লাভের প্রাক্কালে ফ্রান্সের সর্বময় ক্ষমতা ছিল-
Created: 3 days ago
A
ডাইরেক্টরদের হাতে
B
ষোড়শ লুইয়ের হাতে
C
প্রথম কনসালের হাতে
D
ব্যারাসের হাতে
নেপোলিয়নের ক্ষমতা লাভের পেছনে ফ্রান্সের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ডিরেক্টরি শাসনের দুর্বলতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফরাসি বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে শাসনব্যবস্থা ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত ও অকার্যকর, যা নেপোলিয়নের উত্থানকে ত্বরান্বিত করেছিল।
সম্রাট হিসেবে নেপোলিয়নের ক্ষমতা লাভের প্রাক্কালে ফ্রান্সের সর্বময় ক্ষমতা ছিল ডাইরেক্টরদের হাতে।
-
১৭৯৯ সালের নভেম্বরে তিনি ফরাসি ডিরেক্টরির বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান সংঘটিত করে ফরাসি প্রজাতন্ত্রের প্রথম কনসাল হন।
-
ডিরেক্টরি শাসনের সীমাহীন দুর্নীতি ও দুর্বলতা নেপোলিয়নের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়ার পথকে সহজ করে দেয়।

0
Updated: 3 days ago
ফরায়েজী মতবাদকে 'খারিজী' ঘোষণা করেন
Created: 4 days ago
A
মৌলানা শরাফত আলী জৌনপুরি
B
মৌলানা নিয়ামত আলী জৌনপুরি
C
মৌলানা কেরামত আলী জৌনপুরি
D
মৌলানা শওকত আলী জৌনপুরি
কেরামত আলী জৌনপুরী ছিলেন উনিশ শতকের এক প্রখ্যাত ধর্মপ্রচারক, যিনি ইসলামী সংস্কার আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর চিন্তা ও কার্যক্রম মূলত ধর্মীয় সংস্কার ও সমাজে নৈতিক শুদ্ধতা ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হলেও, ফরায়েজী মতবাদের সঙ্গে কিছু নীতিগত পার্থক্য ছিল।
-
কেরামত আলী জৌনপুরী ফরায়েজী মতবাদকে ‘খারিজী’ ঘোষণা করেন।
-
তিনি কলকাতায় ধর্মপ্রচারের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে যশোর ও খুলনা হয়ে বরিশাল পৌঁছেন।
-
এ সময় হাজী শরীয়তউল্লাহ, আব্দুল জববার ও অন্যান্য ফরায়েজী নেতা সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
-
যদিও হাজী শরীয়তউল্লাহ, দুদু মিয়া ও আব্দুল জববারের সংস্কার আন্দোলন এবং কেরামত আলীর আন্দোলন—উভয়ের নীতি ও আদর্শে খুব সামান্য পার্থক্য ছিল, তবুও ব্রিটিশ শাসনের ব্যাপারে তাদের অবস্থান ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত।
-
হাজী শরীয়তউল্লাহ মনে করতেন, ব্রিটিশ শাসিত ভারত দার-উল-হারব (শত্রু নিয়ন্ত্রিত দেশ)।
-
অন্যদিকে কেরামত আলী জৌনপুরী যুক্তি দেন যে, যেহেতু ব্রিটিশরা ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না, তাই ভারতবর্ষ দার-উল-হারব নয়।
-
তাঁর মতে, ভারতবর্ষ দারুল ইসলাম না হলেও অন্তত দারুল আমান, অর্থাৎ নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে বিবেচ্য।

0
Updated: 4 days ago
পান্ডুয়ার (ফিরোজাবাদ) সন্নিকটে আদিনার বিখ্যাত মসজিদ কোন্ সুলতানের শাসনামলে নির্মিত হয়?
Created: 4 days ago
A
শামস উদ্দীন ইলিয়াস শাহ্
B
সিকান্দার শাহ্
C
আলাউদ্দিন হুসেন শাহ্
D
গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ্
আদিনা মসজিদ বাংলার ইতিহাসে স্থাপত্য ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন। এটি শুধু বাংলার নয়, সমগ্র উপমহাদেশের অন্যতম বৃহত্তম মসজিদ হিসেবে পরিচিত।
-
অবস্থান: পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার হযরত পান্ডুয়া বা ফিরুজাবাদে অবস্থিত।
-
গুরুত্ব: এটি উপমহাদেশের বৃহত্তম মসজিদ, যা বাংলার স্থাপত্য ঐতিহ্যের শিখর নির্দেশ করে।
-
নির্মাণকাল ও নির্মাতা: মসজিদের পেছনের দেয়ালের একটি শিলালিপি থেকে জানা যায়, এটি ১৩৭৩ খ্রিস্টাব্দে সুলতান ইলিয়াস শাহের পুত্র সিকান্দর শাহ নির্মাণ করেন।
-
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: সিকান্দর শাহ ১৩৬৯ খ্রিস্টাব্দে নিজেকে আরব ও পারস্যের সুলতানদের মধ্যে যোগ্যতম এবং পরবর্তীতে ‘বিশ্বাসীদের খলিফা’ বলে ঘোষণা করেন। তাই এমন একটি বিশাল ও জাঁকজমকপূর্ণ মসজিদ নির্মাণ তাঁর সম্পদ, ক্ষমতা ও ধর্মীয় মর্যাদার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 4 days ago