বাংলার মুসলমানদের প্রথম স্থায়ী অভিযান এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম কখন হয়েছিল?
A
১২০৪ সাল
B
১২০৬ সাল
C
১২১১ সাল
D
১১৯৮ সাল
উত্তরের বিবরণ
বাংলায় মুসলমান শাসনের সূচনা ঘটে বখতিয়ার খলজীর অভিযানের মাধ্যমে, যা ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত হয়। তাঁর এই অভিযানই বাংলায় প্রথম স্থায়ী মুসলিম প্রশাসনের ভিত্তি স্থাপন করে।
১২০৪ খ্রিস্টাব্দের শীতকালে বখতিয়ার খলজী ঝাড়খন্ডের দুর্গম অরণ্য অতিক্রম করে নদীয়া আক্রমণ করেন, যা তখন রাজা লক্ষ্মণসেনের অবকাসকালীন রাজধানী ছিল।
-
বলা হয়, মাত্র সতের জন ঘোড়সওয়ার সৈন্য নিয়ে তিনি নগরে প্রবেশ করেন। নগরবাসীরা তাঁকে ঘোড়া ব্যবসায়ী ভেবে ভুল করেছিল, ফলে বখতিয়ার অতর্কিতে আক্রমণ চালিয়ে সহজেই রাজপ্রাসাদ দখল করতে সক্ষম হন।
-
লক্ষ্মণসেন নৌপথে বিক্রমপুরে পালিয়ে যান, এবং বখতিয়ারের মূল বাহিনী এসে পড়ায় নদীয়া মুসলমানদের অধিকারে আসে।
-
স্বল্পকাল নদীয়ায় অবস্থানের পর বখতিয়ার গৌড়ে যাত্রা করেন এবং ১২০৫ খ্রিস্টাব্দে (৬০১ হিজরি) গৌড় জয় করে লখনৌতি নামকরণ করে সেখানে রাজধানী স্থাপন করেন।
-
বখতিয়ার খলজী ছিলেন সুশাসক ও সংগঠিত প্রশাসক। তিনি রাজ্যকে বিভিন্ন জেলায় বিভক্ত করেন এবং প্রশাসন পরিচালনার দায়িত্ব অমাত্য ও সামরিক প্রধানদের ওপর ন্যস্ত করেন।
-
তাঁদের দায়িত্ব ছিল শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষা, রাজস্ব আদায়, শিক্ষা-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা এবং জনগণের পার্থিব ও নৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
-
তিনি লখনৌতিতে খুৎবা পাঠ করেন এবং দিল্লির সুলতান মোহাম্মদ ঘুরীর নামে মুদ্রা প্রচলন করেন।
-
দিনাজপুর ও রংপুরের নিকটে দুটি ছাউনি শহর প্রতিষ্ঠা করেন।
-
তাঁর আমলে প্রশাসনিক একককে বলা হতো ইকতা, এবং এর শাসনকর্তাকে বলা হতো মুকতা।
-
তিনি মসজিদ, মাদ্রাসা ও খানকাহ নির্মাণের মাধ্যমে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করেন।
এইভাবে বখতিয়ার খলজীর শাসনকাল বাংলায় মুসলিম শাসনের প্রশাসনিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ভিত্তি স্থাপনের যুগ হিসেবে বিবেচিত হয়।

0
Updated: 3 days ago
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যে সেক্টরের অধীনে ছিল-
Created: 3 days ago
A
৮ নং
B
৯ নং
C
১০ নং
D
১১ নং
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নৌবাহিনীর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা সরাসরি কোনো নির্দিষ্ট আঞ্চলিক সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং শত্রুর সামুদ্রিক শক্তি দুর্বল করার জন্য বিভিন্ন সেক্টরে অভিযান চালায়।
১. নৌবাহিনী ছিল ১০ নং সেক্টরের অধীনে, যা ছিল মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ নৌঅভিযান পরিচালনাকারী সেক্টর।
২. এই সেক্টরের কোনো আঞ্চলিক সীমানা ছিল না, কারণ এর কার্যক্রম বিস্তৃতভাবে দেশের বিভিন্ন নদী ও সমুদ্র অঞ্চলে পরিচালিত হতো।
৩. ৫১৫ জন নৌবাহিনীর কমান্ডো এই সেক্টরের অধীন ছিল, যারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করত।
৪. তাদের প্রধান কাজ ছিল শত্রুপক্ষের নৌযান ও জাহাজ ধ্বংস করা, যাতে পাকিস্তানি বাহিনীর যোগাযোগ ও সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়।
৫. এজন্য নৌকমান্ডো দলগুলোকে বিভিন্ন সেক্টরে পাঠানো হতো, যেখানে তারা বিস্ফোরণ, মাইন স্থাপন ও নাশকতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করত।

0
Updated: 3 days ago
বঙ্গাব্দের প্রবর্তক
Created: 3 days ago
A
রাজা শশাঙ্ক
B
সম্রাট আকবর
C
রাজা দেবপাল
D
রাজা বিজয় সেন
বাংলা সনের প্রবর্তন নিয়ে বিভিন্ন মত থাকলেও বেশিরভাগ গবেষক ও ইতিহাসবিদের মতে এর সূচনা করেছিলেন সম্রাট আকবর।
ভারতের কিছু হিন্দুত্ববাদী সংগঠন দাবি করে যে গৌড়ের প্রাচীন রাজা শশাঙ্ক বাংলা সনের প্রবর্তক ছিলেন।
-
বাংলাদেশের গবেষক ও ইতিহাসবিদরা একমত যে বাংলা সন বা বঙ্গাব্দের সূচনা হয়েছিল মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে।
-
কিছু ইতিহাসবিদ ও নৃতাত্ত্বিকের মতে, বাংলার কৃষি সংস্কৃতির বিকাশের সময় থেকেই বাংলা সনের উদ্ভব, যদিও এর সঠিক সময় নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
-
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা শশাঙ্ককে প্রবর্তক হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে, তবে সে দেশেই এই দাবি নিয়ে বিতর্ক ও ভিন্নমত রয়েছে।
-
ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেনের বক্তব্য অনুযায়ী, বিখ্যাত বিজ্ঞানী ড. মেঘনাদ সাহা থেকে শুরু করে ড. অমর্ত্য সেন পর্যন্ত অনেক খ্যাতিমান গবেষক আকবরকেই বাংলা সনের প্রবর্তক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।

0
Updated: 3 days ago
'দ্য সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ার’ বইটির লেখক কে?
Created: 3 days ago
A
উড্রো উইল্সন
B
জোসেফ স্টালিন
C
উইনস্টন চার্চিল
D
এডলফ হিটলার
চার্চিল ছিলেন শুধু রাজনীতিবিদ ও সুবক্তা নন, বরং এক অসাধারণ লেখকও, যার সাহিত্যকর্ম ইংরেজি ভাষাকে করেছে সমৃদ্ধ।
-
সৈনিক জীবনের সময় তিনি যে রিপোর্টগুলি লিখতেন, তা প্রকাশিত হত ‘দি পায়োনিয়ার’ ও ‘ডেইলি টেলিগ্রাফ’ পত্রিকায়।
-
তার সাহিত্যিক অবদানের জন্য ১৯৫৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
-
লেখক হিসেবে তিনি রচনা করেছেন চল্লিশটিরও বেশি বই, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ছয় খণ্ডে প্রকাশিত ‘দ্য সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ার’।
-
তার সমৃদ্ধ লেখনির মধ্যেও উল্লেখযোগ্য একটি ব্যতিক্রম হলো একমাত্র ছোটগল্প ‘ম্যান ওভারবোর্ড’।
-
আত্মজৈবনিক রচনাগুলিই মূলত তাকে বিশ্বসাহিত্যে বিশিষ্ট মর্যাদা এনে দেয়।

0
Updated: 3 days ago