বিপ্লবোত্তর ফ্রান্সে জেকোবিন ও জিরোফিন দলের মধ্যে প্রথম মতপার্থক্য তৈরি হয়-
A
অর্থনৈতিক সংস্কার প্রশ্নে
B
নির্বাচন প্রশ্নে
C
রাজার বিচার প্রশ্নে
D
ক্ষমতা কুক্ষিগত করার প্রশ্নে
উত্তরের বিবরণ
ফরাসি বিপ্লবের পর জেকোবিন ও জিরন্ডিস্ট দলের মধ্যে প্রথম বড় মতভেদ দেখা দেয় রাজার বিচার নিয়ে। এই মতভেদ থেকেই ফ্রান্সের রাজনীতিতে বিভাজন আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
১. জিরন্ডিস্টরা সরাসরি রাজার মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে না হলেও স্পষ্টভাবে বিরোধিতাও করেনি।
২. তারা প্রস্তাব করে যে, রাজার বিচার প্রশ্নে গণভোট হওয়া উচিত, অর্থাৎ জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।
৩. অন্যদিকে জেকোবিনরা এই গণভোটের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে।
৪. তারা রাজার মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেয়।
৫. এর ফলস্বরূপ, ১৭৯৩ সালের ২১ জানুয়ারি ফ্রান্সের রাজা ষোড়শ লুইকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়।

0
Updated: 3 days ago
ভারতে আধুনিক প্রশাসন ও রাজস্ব ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করেন-
Created: 4 days ago
A
বলবন
B
ফিরোজ শাহ তুঘলক
C
শেরশাহ
D
ইলিয়াস শাহ্
শেরশাহ ছিলেন ভারতের সম্রাট ও শূর রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা, যিনি ১৫৪০ থেকে ১৫৪৫ সাল পর্যন্ত শাসন করেন। স্বল্প সময়ের মধ্যেও তিনি ভারতের প্রশাসন ও রাজস্ব ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনেন এবং আধুনিক প্রশাসনিক কাঠামোর ভিত্তি স্থাপন করেন।
-
শেরশাহ সূরি তাঁর শাসনামলে সাম্রাজ্যে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রশাসনকে নতুনভাবে বিন্যস্ত করেন।
-
তিনি তাঁর বিশাল সাম্রাজ্যকে ৪৭টি সরকারে বিভক্ত করেন এবং প্রতিটি সরকারকে কয়েকটি পরগণায় ভাগ করেন।
-
বাংলায় এই ব্যবস্থায় ১৯টি সরকার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
প্রতিটি সরকারে দুজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থাকতেন— ‘শিকদার-ই-শিকদারান’ (মুখ্য শিকদার) ও ‘মুন্সিফ-ই-মুন্সিফান’ (মুখ্য মুন্সিফ)।
-
তাঁরা শিকদার, আমিন, মুন্সিফ, কারকুন, পাটোয়ারী, চৌধুরী ও মুকাদ্দাম প্রমুখ স্থানীয় কর্মকর্তাদের কার্যক্রম তদারক করতেন।
-
ভূমি জরিপের মাধ্যমে জমির পরিমাণ ও ফসলের উৎপাদন নির্ধারণ করে উৎপাদিত ফসলের এক-চতুর্থাংশ রাজস্ব হিসেবে ধার্য করা হয়। এই রাজস্ব নগদ অর্থে বা ফসলের অংশ দিয়ে পরিশোধ করা যেত।
-
তিনি প্রথমবারের মতো ‘পাট্টা’ (ভূমি স্বত্বের দলিল) ও ‘কবুলিয়াত’ (চুক্তি দলিল) প্রথা চালু করেন, যার মাধ্যমে প্রজাদের জমির উপর স্বত্ব নিশ্চিত হয়।
-
কৃষকদের ঋণ দানের ব্যবস্থা করে তিনি কৃষিকার্যে উৎসাহ দেন এবং গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটান।

0
Updated: 4 days ago
ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান পঠন-পাঠন নিষিদ্ধ করেন-
Created: 3 days ago
A
দশম চার্লস
B
মেটারনিক
C
রিশল্যু
D
অষ্টাদশ লুই
অস্ট্রিয়ার প্রধানমন্ত্রী মেটারনিক ইউরোপে তার রক্ষণশীল নীতি কার্যকরভাবে বজায় রাখার জন্য শিক্ষাক্ষেত্রেও কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনচেতা চিন্তা ও বিপ্লবী মনোভাব দমন করা।
ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান অধ্যয়ন নিষিদ্ধ করা হয়, কারণ এসব বিষয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাতীয়তাবাদ ও গণতান্ত্রিক চেতনা জাগাতে পারত।
-
ছাত্রদের বিদেশে অধ্যয়ন নিষিদ্ধ করা হয়, যাতে তারা অন্য দেশের উদারনৈতিক ধারণায় প্রভাবিত না হয়।
-
বিদেশি পুস্তক আমদানি ও পাঠে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়, যাতে বিপ্লবী চিন্তাধারার বিস্তার রোধ করা যায়।
এইভাবে মেটারনিক শিক্ষা ও সংস্কৃতির উপর কঠোর সেন্সরশিপ চালিয়ে তার রক্ষণশীল শাসনব্যবস্থা ও প্রভুত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন।

0
Updated: 3 days ago
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যে সেক্টরের অধীনে ছিল-
Created: 3 days ago
A
৮ নং
B
৯ নং
C
১০ নং
D
১১ নং
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নৌবাহিনীর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা সরাসরি কোনো নির্দিষ্ট আঞ্চলিক সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং শত্রুর সামুদ্রিক শক্তি দুর্বল করার জন্য বিভিন্ন সেক্টরে অভিযান চালায়।
১. নৌবাহিনী ছিল ১০ নং সেক্টরের অধীনে, যা ছিল মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ নৌঅভিযান পরিচালনাকারী সেক্টর।
২. এই সেক্টরের কোনো আঞ্চলিক সীমানা ছিল না, কারণ এর কার্যক্রম বিস্তৃতভাবে দেশের বিভিন্ন নদী ও সমুদ্র অঞ্চলে পরিচালিত হতো।
৩. ৫১৫ জন নৌবাহিনীর কমান্ডো এই সেক্টরের অধীন ছিল, যারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করত।
৪. তাদের প্রধান কাজ ছিল শত্রুপক্ষের নৌযান ও জাহাজ ধ্বংস করা, যাতে পাকিস্তানি বাহিনীর যোগাযোগ ও সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়।
৫. এজন্য নৌকমান্ডো দলগুলোকে বিভিন্ন সেক্টরে পাঠানো হতো, যেখানে তারা বিস্ফোরণ, মাইন স্থাপন ও নাশকতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করত।

0
Updated: 3 days ago