A
ইরান
B
ইরাক
C
মিশর
D
সিরিয়া
উত্তরের বিবরণ
• ‘ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান’:
- বর্তমান ইরাকে অবস্থিত ‘ — ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান’।
- এটি পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি।
- খ্রিস্টপূর্ব ৭ম শতকে নব্য ব্যাবিলনীয় সভ্যতার সময় — রাজা নেবুচাদনেজার তার রাণীর সন্তুষ্টির জন্যে এটি নির্মাণ করেন।
- ব্যাবিলন নগরের দেয়ালের উপর মনোরম এই বাগানটি তৈরি করা হয়।
- ৫১৪ খ্রিস্টাব্দে পার্শ্ববর্তী পারস্য রাজ্যের সাথে এক ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে এ সুন্দর উদ্যানটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়।
• ব্যাবিলনীয় সভ্যতা:
- পৃথিবীতে প্রথম লিখিত আইনের উদ্ভব হয় এই সভ্যতার সময়ে।
- ব্যাবিলনীয় সভ্যতার সবচেয়ে বড় অবদান হল — আইন প্রণয়ন ও সংকলন।
- পৃথিবীর প্রাচীনতম মানচিত্র পাওয়া গিয়েছে ব্যাবিলনের উত্তরে — গাথুর শহরে।
- এটি ছিল ভ্রমণকারীদের পথনির্দেশক মানচিত্র।
- পৃথিবীর প্রথম লিখিত আইন প্রণেতা যা — "Code of Hammurabi' নামে পরিচিত।
- এটি থেকে ধারনা করা হয় — পৃথিবীর আদি মানচিত্র ব্যাবিলনীয়রা অঙ্কন করেছিলো।
- জ্যোতির্বিদ্যার উন্নয়ন ঘটিয়ে চাঁদ পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যাবিলনীয়রা চন্দ্রপঞ্জিকা তৈরি করেছিল।
- যদিও আধুনিক ও পূর্ণাঙ্গ মানচিত্র গ্রীকরা প্রথম অঙ্কন করে।
- হাম্বুরাবির মৃত্যুর পর ব্যবলনীয় সভ্যতা তার প্রভাবের সাথে খুব বেশী দিন টিকতে পারে নি।
উৎস: উচ্চ মাধ্যমিক ইসলামের ইতিহাস, প্রথমপত্র, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটানিকা।

0
Updated: 2 months ago
ঢাকায় সর্বপ্রথম কবে বাংলার রাজধানী স্থাপিত হয়?
Created: 2 months ago
A
১২০৬ খ্রিঃ
B
১৩১০ খ্রিঃ
C
১৫২৬ খ্রিঃ
D
১৬১০ খ্রিঃ
• ঢাকায় সর্বপ্রথম বাংলার রাজধানী স্থাপিত হয় — ১৬১০ খ্রিঃ।
• রাজধানী হিসেবে ঢাকা:
- এটি বাংলাদেশের বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত বৃহত্তম শহর।
- মুঘল সম্রাট আকবরের সময় বাংলার রাজধানী ছিল বিহারের রাজমহল।
- মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের ইচ্ছানুযায়ী ১৬১০ সালে ঢাকাকে সর্বপ্রথম সুবাহ বাংলার রাজধানী ঘোষণা করা হয়।
- সম্রাট জাহাঙ্গীর-এর নাম অনুসারে রাজধানীর নাম 'জাহাঙ্গীরনগর' রাখা হয়।
উল্লেখ্য,
- ১৬৫০ খ্রিষ্টাব্দে সুবেদার শাহ সুজা রাজধানী আবার রাজমহলে স্থানান্তর করেছিলেন। শাহ সুজার পতনের পর ১৬৬০ খ্রিষ্টাব্দে সুবেদার মীর জুমলা আবার রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তর করেন।
- ১৭১৭ খ্রিষ্টাব্দে সুবেদার মুর্শিদ কুলি খান রাজধানী মুর্শিদাবাদে স্থানান্তর করেন।
- বঙ্গভঙ্গের পর ১৯০৫ সালে ঢাকাকে আসাম ও বাংলার রাজধানী করা হয়।
- কংগ্রেসের বাধার মুখে ব্রিটিশ রাজ আবার ১৯১১ সালে রাজধানী কলকাতায় ফিরিয়ে নেয়। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান এবং স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব বাংলা নামে নতুন প্রদেশের রাজধানী হওয়ায় ঢাকার উথানে অধিকতর স্থায়ী উন্নয়ন সাধিত হয়।
- ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে ঢাকা রাজনৈতিক , প্রশাসনিক কার্যকলাপ এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্ররূপে মর্যাদা লাভ করে।
উৎস: ঢাকা জেলা, dhaka.gov.bd.জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 2 months ago
সার্ক-এর প্রথম শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়-
Created: 2 months ago
A
১৯৮৪ সালে
B
১৯৮৭ সালে
C
১৯৮৫ সালে
D
১৯৮৬ সালে
• সার্ক-এর প্রথম শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় — ১৯৮৫ সালে।
----------------------
• সার্ক (SAARC):
- South Asian Association for Regional Cooperation (SAARC).
- সার্ক হলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর একটি বহুপাক্ষিক আঞ্চলিক সহযোগিতা ফোরাম।
- ১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় সার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
- এর সদরদপ্তর নেপালের কাঠমুন্ডু শহরে অবস্থিত।
- সার্কের প্রথম মহাসচিব ছিলেন বাংলাদেশের আবুল আহসান।
- তিনি ১৯৮৭ সালের ১৬ জানুয়ারি থেকে ১৯৮৯ সালের ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সার্কের প্রথম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন।
- প্রথম সার্ক সম্মেলন ১৯৮৫ সালের ৭-৮ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
- সর্বশেষ ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন ২০১৪ সালের ২৬-২৭ নভেম্বর নেপালের কাঠমুন্ডু শহরে অনুষ্ঠিত হয়।
- ১৯তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন ২০১৬ সালের ১৫-১৯ নভেম্বর ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু কাশ্মিরে ভারতীয় সেনাক্যাম্পে হামলার জের ধরে ভারতের কারণে বিরোধিতায় সেই সম্মেলন বাতিল হয়। তারপর থেকে আর কোন সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি।
• সার্কের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৮টি।
এগুলো হলো:
- বাংলাদেশ,
- ভারত,
- পাকিস্তান,
- নেপাল,
- শ্রীলংকা,
- ভুটান,
- মালদ্বীপ,
- আফগানিস্তান।
এদের মধ্যে আফগানিস্তান সর্বশেষ সদস্য হিসেবে ২০০৭ সালের ৩ এপ্রিল সার্কে যোগ দেয়। বাকি সাতটি দেশ সার্কের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
তথ্যসূত্র: সার্ক ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 months ago
বাংলায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথা প্রবর্তন করা হয় কোন সালে?
Created: 2 months ago
A
১৭০০ সালে
B
১৭৭২ সালে
C
১৭৬৫ সালে
D
১৭৯৩ সালে
• চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত:
- ১৭৯৩ সালে লর্ড কর্নওয়ালিস চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন।
- ঐদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব পরিশোধের বিনিময়ে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার জমিদারদের নিজ নিজ জমির উপর চিরস্থায়ী মালিকানা প্রদান করে যে বন্দোবস্ত করা হয় তা-ই ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ নামে পরিচিত।
- চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে বাংলার কৃষকরা জমির উপর তাদের মালিকানা হারায়।
- ১৯৫০ সালের ‘পূর্ববঙ্গ জমিদার অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনে’র ফলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথার বিলুপ্তি হয়।
তাছাড়া,
- ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানির দেওয়ানি লাভের পর প্রকৃতপক্ষে ইংরেজরাই বাংলার সত্যিকার শাসকরূপে আত্মপ্রকাশ করে।
- ক্লাইব প্রবর্তিত দ্বৈতশাসন ১৭৬৫ থেকে ১৭৭২ সাল পযর্ন্ত বিস্তৃত ছিল।
- ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৭২ সালে দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা বাতিল করেন।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago