'ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান' কোন দেশে অবস্থিত?
A
ইরান
B
ইরাক
C
মিশর
D
সিরিয়া
উত্তরের বিবরণ
• ‘ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান’:
- বর্তমান ইরাকে অবস্থিত ‘ — ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান’।
- এটি পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি।
- খ্রিস্টপূর্ব ৭ম শতকে নব্য ব্যাবিলনীয় সভ্যতার সময় — রাজা নেবুচাদনেজার তার রাণীর সন্তুষ্টির জন্যে এটি নির্মাণ করেন।
- ব্যাবিলন নগরের দেয়ালের উপর মনোরম এই বাগানটি তৈরি করা হয়।
- ৫১৪ খ্রিস্টাব্দে পার্শ্ববর্তী পারস্য রাজ্যের সাথে এক ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে এ সুন্দর উদ্যানটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়।
• ব্যাবিলনীয় সভ্যতা:
- পৃথিবীতে প্রথম লিখিত আইনের উদ্ভব হয় এই সভ্যতার সময়ে।
- ব্যাবিলনীয় সভ্যতার সবচেয়ে বড় অবদান হল — আইন প্রণয়ন ও সংকলন।
- পৃথিবীর প্রাচীনতম মানচিত্র পাওয়া গিয়েছে ব্যাবিলনের উত্তরে — গাথুর শহরে।
- এটি ছিল ভ্রমণকারীদের পথনির্দেশক মানচিত্র।
- পৃথিবীর প্রথম লিখিত আইন প্রণেতা যা — "Code of Hammurabi' নামে পরিচিত।
- এটি থেকে ধারনা করা হয় — পৃথিবীর আদি মানচিত্র ব্যাবিলনীয়রা অঙ্কন করেছিলো।
- জ্যোতির্বিদ্যার উন্নয়ন ঘটিয়ে চাঁদ পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যাবিলনীয়রা চন্দ্রপঞ্জিকা তৈরি করেছিল।
- যদিও আধুনিক ও পূর্ণাঙ্গ মানচিত্র গ্রীকরা প্রথম অঙ্কন করে।
- হাম্বুরাবির মৃত্যুর পর ব্যবলনীয় সভ্যতা তার প্রভাবের সাথে খুব বেশী দিন টিকতে পারে নি।
উৎস: উচ্চ মাধ্যমিক ইসলামের ইতিহাস, প্রথমপত্র, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটানিকা।

0
Updated: 4 months ago
পাহাড়পুরের বৌদ্ধ বিহারটি কি নামে পরিচিত ছিল?
Created: 4 months ago
A
সোমপুর বিহার
B
ধর্মপাল বিহার
C
জগদ্দল বিহার
D
শ্রী বিহার
• পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার:
- পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার বা সোমপুর মহাবিহার বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার।
- পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করেছিলেন।
- ১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।
- ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়।
- পাহাড়পুরকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বৌদ্ধবিহার বলা যেতে পারে।
- আয়তনে এর সাথে ভারতের নালন্দা মহাবিহারের তুলনা হতে পারে।
- এটি ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধদের অতি বিখ্যাত ধর্মচর্চা কেন্দ্র ছিল।
- বর্তমান বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার বাদলগাছি উপজেলার পাহারপুর গ্রামে অবস্থিত এই বিহার।
- শুধু উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই নয়, চীন, তিব্বত, মায়ানমার (তদানীন্তন ব্রহ্মদেশ), মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশের বৌদ্ধরা এখানে ধর্মচর্চা ও ধর্মজ্ঞান অর্জন করতে আসতেন।
- খ্রিষ্টীয় দশম শতকে বিহারের আচার্য ছিলে অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান।
- পুন্ড্রবর্ধনের রাজধানী পুন্ড্রনগর (বর্তমান মহাস্থান) এবং অপর শহর কোটিবর্ষ (বর্তমান বানগড়)এর মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত ছিল সোমপুর মহাবিহার।
- এর ধ্বংসাবশেষটি বর্তমান বাংলাদেশের বৃহত্তর রাজশাহীর অন্তর্গত নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত।
উৎস: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন, নওগাঁ জেলার সরকারি ওয়েবসাইট এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি ।

0
Updated: 4 months ago
কোন শাসকের সময় থেকে সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চল পরিচিত হয়ে ওঠে বাঙ্গালাহ নামে?
Created: 3 months ago
A
ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ
B
শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ্
C
জালালুদ্দিন মুহাম্মদ আকবর
D
ঈসা খান
সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের শাসনামল থেকেই সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী এলাকা ‘বাঙ্গালাহ’ নামে পরিচিত হতে শুরু করে।
🔹 সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ:
যদিও বাংলার স্বাধীন সুলতানি যুগের সূচনা করেছিলেন ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ, প্রকৃতপক্ষে এই যুগের সুদৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেন সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ।
তিনিই প্রথম দুই বাংলাকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি সামগ্রিক ভূখণ্ড হিসেবে ‘বাঙ্গালাহ’ নামে পরিচিত করান।
🔹 বাঙালি জাতিসত্তার উন্মেষ:
তাঁর রাজত্বকালে বাংলার মানুষ একক জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং "বাঙালি" পরিচয়ে পরিচিত হতে থাকে।
এই কারণে ঐতিহাসিকগণ তাঁকে ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবর্তক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
🔹 শাসনকাল ও কৃতিত্ব:
ইলিয়াস শাহ দীর্ঘ ১৬ বছর বাংলার সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং ১৩৫৮ খ্রিস্টাব্দে পরলোকগমন করেন।
🔹 সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ:
১৩৫২ খ্রিস্টাব্দে তিনি সোনারগাঁও-এর শাসক ও ফখরুদ্দিন মুবারক শাহের পুত্র ইখতিয়ারউদ্দিন গাজী শাহকে পরাজিত করে পূর্ব বাংলায় তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন।
পরে লখনৌতি, সাতগাঁও ও সোনারগাঁও অধিকার করে পুরো বাংলার একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে ওঠেন — যা আগে কোনো মুসলিম শাসকের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
🔹 ঐতিহাসিক স্বীকৃতি:
ইতিহাসবিদ শামস-ই-সিরাজ আফীফ তাঁকে “শাহ-ই-বাঙ্গালাহ” ও “সুলতান-ই-বাঙ্গালাহ” উপাধিতে ভূষিত করেন — যা তাঁর অগ্রগামী নেতৃত্বের প্রমাণ বহন করে।
উৎস: ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি (২য় পত্র), এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 3 months ago
কোন মুঘল সম্রাট বাংলার নাম দেন 'জান্নাতাবাদ'?
Created: 4 months ago
A
বাবর
B
হুমায়ুন
C
আকবর
D
জাহাঙ্গীর
• সম্রাট হুমায়ুন — বাংলার নতুন নামকরণ করেন 'জান্নাতাবাদ'।
• সম্রাট হুমায়ুন (১৫৩০-১৫৫৬):
- মুঘল বংশের প্রতিষ্ঠাতা জহির উদ্দিন মুহম্মদ বাবরের জ্যেষ্ঠপুত্র হুমায়ুন।
- বাবরের শাসনামলে হুমায়ুন বাদাখশান, হিসার ফিরোজা এবং সম্বলের শাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
- পিতা বাবরের মৃত্যুর পর ১৫৩০ খ্রিস্টাব্দের ৩০শে ডিসেম্বর মাত্র ২৩ বছর বয়সে পিতৃ মনোনয়ন অনুসারে হুমায়ুন ‘নাসির উদ্দিন মুহম্মদ হুমায়ুন' নাম ধারণ করে দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন।
- হুমায়ুনের শাসনামলে বাংলার রাজধানী ছিল গৌড়।
- সম্রাট হুমায়ুন বাংলার নতুন নামকরণ করেন 'জান্নাতাবাদ'।
উল্লেখ্য,
- ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট জহিরউদ্দিন বাবর কর্তৃক ভারতবর্ষে মোগল বংশের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
- সম্রাট আকবর ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা।
- সম্রাট আকবর এর প্রথম পুত্র জাহাঙ্গীর তাঁর পিতার উত্তরাধিকারী হিসেবে নূরুদ্দীন মুহম্মদ জাহাঙ্গীর উপাধি গ্রহণ করে ১৬০৫ খ্রিস্টাব্দে আগ্রার সিংহাসনে আরোহণ করেন। তাঁর সময়ে ইসলাম খান বাংলার সুবাদার নিযুক্ত হয়েছিলেন। তিনি ১৬১০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন এবং সম্রাটের নামে এর নামকরণ করেন ‘জাহাঙ্গীরনগর’।
উৎস: ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ২য় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 4 months ago