গর্জনশীল চল্লিশা' কি?
A
বায়ুপ্রবাহ
B
সমুদ্রস্রোত
C
হিমবাহ
D
ভূমিধ্বস্
উত্তরের বিবরণ
গর্জনশীল চল্লিশা (Roaring Forties) বলতে দক্ষিণ গোলার্ধের ৪০° থেকে ৫০° দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে প্রবাহিত শক্তিশালী পশ্চিমা বায়ুপ্রবাহকে বোঝায়। এই বায়ুসমূহ মূলত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ওপর দিয়ে বাধাহীনভাবে প্রবাহিত হয়, ফলে এদের গতি অত্যন্ত প্রবল ও ঝড়ো প্রকৃতির হয়।
তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
অবস্থান: দক্ষিণ গোলার্ধের ৪০°–৫০° দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে।
-
বায়ুর দিক: এটি একটি পশ্চিমা বায়ুপ্রবাহ (Westerlies), যা পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়।
-
কারণ: এই অঞ্চলে ভূমির উপস্থিতি খুব কম হওয়ায় বায়ুপ্রবাহের ওপর কোনো বাধা থাকে না, ফলে এর গতি বাড়ে।
-
বিশেষত্ব: প্রবাহের সময় এই বায়ু যে তীব্র শব্দ বা গর্জনের মতো আওয়াজ সৃষ্টি করে, তার ফলেই এদের নাম হয়েছে “গর্জনশীল চল্লিশা” (Roaring Forties)।
-
গুরুত্ব: এটি দক্ষিণ মহাসাগরে নৌ চলাচল ও আবহাওয়া পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।

0
Updated: 3 days ago
নিচের কোনটি নিয়ত বায়ুপ্রবাহ?
Created: 3 weeks ago
A
পার্বত্য বায়ু
B
মৌসুমি বায়ু
C
স্থলবায়ু
D
অয়ন বায়ু
বায়ুপ্রবাহের প্রকারভেদ বিভিন্ন ধরণের বায়ুর উৎপত্তি, দিক এবং বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে বিভক্ত।
-
মূল চার প্রকার বায়ুপ্রবাহ:
-
নিয়মিত বায়ু
-
স্থানীয় বায়ু
-
সাময়িক বায়ু
-
অনিয়মিত বায়ু
-
-
নিয়মিত বায়ুপ্রবাহের তিন প্রকার:
-
অয়ন বায়ু
-
মেরু বায়ু
-
পশ্চিমা বায়ু
-
-
সাময়িক বায়ুর প্রধান দুই প্রকার:
-
স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ু
-
মৌসুমি বায়ু
-
-
স্থানীয় বায়ুর দুই প্রকার:
-
পার্বত্য বায়ু
-
উপত্যকা বায়ু
-
-
অনিয়মিত বায়ুর দুই প্রকার:
-
ঘূর্ণিবাত বায়ু
-
প্রতীপ ঘূর্ণিবাত বায়ু
-
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 3 weeks ago
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যে বায়ুপ্রবাহের দিক পরিবর্তিত হয় তাকে বলা হয়-
Created: 3 weeks ago
A
মৌসুমি বায়ু
B
অয়ন বায়ু
C
নিয়ত বায়ু
D
স্থলবায়ু
মৌসুমি বায়ু হলো ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বায়ুপ্রবাহের দিক পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট আঞ্চলিক বায়ু, যা বর্ষাকালে বিশেষভাবে বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়।
-
মৌসুমি শব্দটি এসেছে আরবি ভাষার “মত্তসুম”, যার অর্থ ঋতু।
-
সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়ন অনুযায়ী শীত ও গ্রীষ্মে স্থলভাগ ও জলভাগের তাপমাত্রার তারতম্য মৌসুমি বায়ু সৃষ্টি করে।
-
মৌসুমি বায়ু প্রধানত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় লক্ষ্য করা যায়, পাশাপাশি কর্কটক্রান্তি অঞ্চলের যুক্তরাষ্ট্র, উত্তর অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকার কিছু অংশ, মধ্য এশিয়া ও উত্তর-পশ্চিম ভারতেও দেখা যায়।
-
উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল:
-
সূর্যকিরণ লম্বভাবে পড়ায় কর্কটক্রান্তিতে বায়ুর চাপ কমে এবং নিম্নচাপ কেন্দ্র সৃষ্টি হয়।
-
দক্ষিণ গোলার্ধের ক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে আগত দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন বায়ু নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে।
-
এ বায়ু এশিয়া মহাদেশের নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে প্রবলবেগে চলে আসে এবং চীন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, জাপান, কম্বোডিয়া, লাওস-এ বৃষ্টিপাত ঘটায়।
-
বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিয়ানমার, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়েও বৃষ্টি হয়।
-
-
শীতকালে:
-
সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থান করে এবং মকরক্রান্তিতে নিম্নচাপ কেন্দ্র সৃষ্টি হয়।
-
উত্তর গোলার্ধে স্থলভাগ শীতল হওয়ায় উচ্চচাপ বলয় সৃষ্টি হয়।
-
বায়ু উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়, যাকে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু বলা হয় এবং এটি শুষ্ক থাকে।
-
মৌসুমি বায়ু যখন নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে, ফেরেলের সূত্র অনুযায়ী বাম দিকে বেঁকে যায় এবং উত্তর-পশ্চিমে মৌসুমি বায়ুরূপে উত্তর অস্ট্রেলিয়ার দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়।
-
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 3 weeks ago
অয়ন
বায়ুর অপর নাম কী?
Created: 1 month ago
A
মেরু
বায়ু
B
পশ্চিমা
বায়ু
C
বানিজ্য
বায়ু
D
মৌসুমী
বায়ু
• অয়ন বায়ু:
- নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় থেকে উষ্ণ ও হালকা বায়ু উপরে উঠে গেলে কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে শীতল ও ভারী বায়ু নিরক্ষীয় অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়।
- ফেরেলের সূত্র অনুসারে এ বায়ু উত্তর গোলার্ধে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়ে থাকে।
- প্রাচীনকালে পরিচালিত বাণিজ্য জাহাজগুলো এ বায়ুপ্রবাহের দিক অনুসরণে যাতায়াত করত বলে এগুলোকে অয়ন বায়ু বা বাণিজ্য বায়ু বলে।
- উত্তর গোলার্ধে এটি উত্তর-পূর্ব অয়ন বায়ু এবং দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন বায়ু নামে পরিচিত।
উল্লেখ্য,
- নিয়ত বায়ু পৃথিবীর চাপ বলয়গুলো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে বছরের সকল সময় একই দিকে প্রবাহিত হয়।
- এই বায়ু তিন প্রকারের। যথা- অয়ন বায়ু, পশ্চিমা বায়ু ও মেরু বায়ু।

0
Updated: 1 month ago