কল কারখানায় 'শান্তির অগ্রদূত'বলা হয় কোন মনীষীকে?
A
হেনরী এল গ্র্যান্ট
B
এলটন মেয়ো
C
মেরী পার্কার ফলেট
D
অলিভার শেলডন
উত্তরের বিবরণ
Elton Mayo ছিলেন একজন অস্ট্রেলিয়ান সমাজবিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানী, যিনি শিল্প ব্যবস্থাপনা ও মানবসম্পদ উন্নয়নে বিপ্লব ঘটান। তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান হলো Hawthorne Studies, যা শ্রমিকদের আচরণ, মনোভাব, ও সামাজিক সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত হয়।
‘শান্তির অগ্রদূত’ উপাধির কারণ:
-
শ্রমিকদের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠা:
➤ তিনি দেখান যে শ্রমিকরা কেবল মজুরি নয়, সম্মান, সম্পর্ক ও সহানুভূতির প্রতিও সংবেদনশীল। -
শিল্পে সামাজিক শান্তি ও সহযোগিতার পরিবেশ গড়ে তোলা:
➤ Hawthorne গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে সহানুভূতিশীল ব্যবস্থাপনা শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা ও শান্তি বাড়ায়। -
মানব সম্পর্ক মতবাদের জনক:
➤ তিনি বলেন, “মানুষ যন্ত্র নয়”, তাই তাদের আবেগ, সামাজিক চাহিদা ও দলীয় সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ।
➡ এইসব কারণে তাঁকে কল-কারখানায় ‘শান্তির অগ্রদূত’ বলা হয়—কারণ তিনি শিল্প ব্যবস্থাপনায় মানবিকতা ও শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অন্যান্য অপশন বিশ্লেষণ:
-
হেনরী এল গ্র্যান্ট: ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য অবদান নেই, শান্তির ধারণার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
-
মেরী পার্কার ফলেট: নেতৃত্ব ও সংঘর্ষ ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ, তবে ‘শান্তির অগ্রদূত’ উপাধি নয়।
-
অলিভার শেলডন: প্রশাসনিক দক্ষতা ও নৈতিকতা নিয়ে কাজ করেছেন, কিন্তু মানবিক শান্তি নয়।

0
Updated: 3 days ago
নীচের কোনটি গুনমান নিয়ন্ত্রনের একটি টুল হিসেবে বিবেচিত হয়?
Created: 3 days ago
A
গ্যান্ট চার্ট
B
কন্ট্রোল চার্ট
C
ভ্যালু চেইন বিশ্লেষণ
D
MBO
Control Chart (বা Shewhart Chart) হলো একটি গুণমান নিয়ন্ত্রণের পরিসংখ্যানভিত্তিক টুল, যা সময়ের সঙ্গে কোনো প্রক্রিয়ার পরিবর্তন বা স্থিতিশীলতা পর্যবেক্ষণ করতে ব্যবহৃত হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে কিনা—অর্থাৎ এটি স্বাভাবিক সীমার মধ্যে চলছে নাকি ব্যতিক্রম ঘটছে—তা নির্ণয় করা।
Control Chart-এর মূল উপাদানগুলো হলো:
-
Central Line (CL): প্রক্রিয়ার গড় মান বা কেন্দ্রীয় প্রবণতা নির্দেশ করে।
-
Upper Control Limit (UCL): গ্রহণযোগ্য পরিবর্তনের সর্বোচ্চ সীমা।
-
Lower Control Limit (LCL): গ্রহণযোগ্য পরিবর্তনের সর্বনিম্ন সীমা।
-
ডেটা পয়েন্ট: সময়ের সাথে সংগৃহীত প্রক্রিয়ার ফলাফল বা মান, যা চার্টে চিত্রায়িত হয়।
➡ যদি সব ডেটা পয়েন্ট UCL ও LCL-এর মধ্যে থাকে, তাহলে প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা হয়।
➡ কোনো পয়েন্ট যদি এই সীমার বাইরে যায়, তাহলে ধরে নেওয়া হয় যে প্রক্রিয়ায় সমস্যা বা বিশেষ কারণজনিত পরিবর্তন (special cause variation) ঘটেছে।
অন্যান্য অপশনগুলোর বিশ্লেষণ:
-
ক) গ্যান্ট চার্ট: এটি একটি প্রকল্প ব্যবস্থাপনা টুল, যা কাজের সময়সূচি ও অগ্রগতি প্রদর্শন করে। এটি গুণমান নিয়ন্ত্রণের টুল নয়।
-
গ) ভ্যালু চেইন বিশ্লেষণ: এটি একটি কৌশলগত বিশ্লেষণ পদ্ধতি, যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কার্যক্রমে মূল্য সংযোজন বিশ্লেষণ করা হয়। এটি গুণমান নিয়ন্ত্রণের সরাসরি উপকরণ নয়।
-
ঘ) MBO (Management by Objectives): এটি একটি ব্যবস্থাপনা কৌশল, যেখানে নির্ধারিত লক্ষ্য অনুযায়ী কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করা হয়। এটি গুণমান নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্টের অংশ।

0
Updated: 3 days ago
নীচের কোনটি বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার সীমাবদ্ধতা?
Created: 3 days ago
A
মানবিক সম্পর্কের উপর অতিরিক্ত গুরুত্ব
B
উৎপাদনের উপর কম গুরুত্ব
C
নিয়ম ও দক্ষতার উপর অতিরিক্ত গুরত্ব
D
আনুষ্ঠানিক পরিকল্পনার অভাব
Scientific Management Theory, যা Frederick W. Taylor প্রবর্তন করেন, মূলত দক্ষতা, সময় অধ্যয়ন, এবং কাজের মানদণ্ড নির্ধারণের উপর ভিত্তি করে। এটি উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহায়ক হলেও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
প্রধান সীমাবদ্ধতা:
-
মানবিক দিক উপেক্ষা: কর্মীদের আবেগ, সম্পর্ক, ও সামাজিক চাহিদা গুরুত্ব পায় না
-
অতিরিক্ত নিয়ম-কানুন: কাজের প্রতিটি ধাপ কাঠামোবদ্ধ, যা সৃজনশীলতা ও নমনীয়তা বাধাগ্রস্ত করে
-
দক্ষতা ও মানদণ্ডের উপর অতিরিক্ত জোর: কর্মীদের কেবল যন্ত্রের মতো বিবেচনা করা হয়
-
দ্বৈত কর্তৃত্ব ও সংঘাত: লাইন ও স্টাফ কর্তৃত্বে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়
➡ তাই, “নিয়ম ও দক্ষতার উপর অতিরিক্ত গুরুত্ব” হলো বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার একটি মূল সীমাবদ্ধতা।
অন্যান্য অপশন বিশ্লেষণ:
-
মানবিক সম্পর্কের উপর অতিরিক্ত গুরুত্ব: Human Relations Theory-এর বৈশিষ্ট্য, Scientific Management-এর নয়
-
উৎপাদনের উপর কম গুরুত্ব: Scientific Management বরং উৎপাদন বৃদ্ধির উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়
-
আনুষ্ঠানিক পরিকল্পনার অভাব: Scientific Management-এ পরিকল্পনা অত্যন্ত কাঠামোবদ্ধ ও বিশ্লেষণভিত্তিক

0
Updated: 3 days ago
একজন ব্যবস্থাপক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় কর্মীদের দ্বিমত পোষন কিংবা তর্ক-বিতর্ককে উৎসাহ দেন কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তিনি একাই নেন। এখানে কোন নেতৃত্বের বৈপরীত্য ফুটে উঠেছে?
Created: 3 days ago
A
সেবামূলক বনাম নির্দেশনামূলক নেতৃত্ব
B
ক্ষমতায়ন বনাম কেন্দ্রীয়করণ
C
গণতান্ত্রিক বিশ্বাস বনাম আমলাতন্ত্র
D
গণতান্ত্রিক বিশ্বাস বনাম রূপান্তরমূলক
যেখানে একজন ব্যবস্থাপক কর্মীদের দ্বিমত বা তর্ক-বিতর্ককে উৎসাহিত করেন, সেখানে তিনি কর্মীদের ক্ষমতায়ন (Empowerment) এবং অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতি (Participative Culture) তৈরি করতে চান।
অন্যদিকে, যখন তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত একাই নেন, তখন তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে কেন্দ্রীভূত (Centralization) করেন।
এই দুটি আচরণের মধ্যে বৈপরীত্য (Contradiction) হলো:
-
ক্ষমতায়ন (Empowerment):
-
কর্মীদের মতামত চাওয়া।
-
আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়।
-
কর্মীদের অনুভূত ক্ষমতা ও গুরুত্ব বাড়ায়।
-
-
কেন্দ্রীয়করণ (Centralization):
-
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কেবল একজন ব্যক্তির হাতে রাখা।
-
ক্ষমতাকে একটি স্তরে সীমাবদ্ধ করে।
-
➡ এই বৈপরীত্যের কারণে কর্মীরা অনুভব করতে পারে যে, তাদের মতামত চাওয়া হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে কোনো প্রভাব নেই, যা ক্ষমতায়ন এবং অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতির লক্ষ্যকে ক্ষুণ্ণ করে।

0
Updated: 3 days ago