পরামর্শমূলক নির্দেশনার অসুবিধা কোনটি?
A
অবাধ্যতা সৃষ্টি
B
অধস্তনদের উপর অতিমাত্রায় কর্তৃত্ব ফলানো
C
অধস্তনদের কাছ থেকে শর্তহীণ আনুগত্য প্রত্যাশা করা
D
অধস্তনদের উপর পূর্ণ মাত্রায় নির্ভরশীলতা
উত্তরের বিবরণ
পরামর্শমূলক নির্দেশনার (Consultative Direction) অসুবিধা হলো এমন কিছু সীমাবদ্ধতা যা এই অংশগ্রহণমূলক বা গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সঙ্গে সম্পর্কিত। এই পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অধস্তনদের মতামত ও পরামর্শ নেওয়া হয়, যা কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
প্রধান অসুবিধাগুলো:
-
অধস্তনদের উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতা (Excessive Dependence on Subordinates):
পরামর্শমূলক নির্দেশনায় ব্যবস্থাপককে প্রায়শই ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অধস্তনদের মতামতের ওপর নির্ভর করতে হয়। যদি অধস্তনরা অপরিণত, অনভিজ্ঞ, বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়, তবে দ্রুত ও কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। -
সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া:
সকলের মতামত নেওয়ার প্রক্রিয়াটি অনেক সময় নষ্ট করতে পারে, যা জরুরি পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমস্যা সৃষ্টি করে।
অন্যান্য অপশনগুলোর বিশ্লেষণ:
-
ক) অবাধ্যতা সৃষ্টি:
এটি সাধারণত স্বৈরাচারী (Autocratic) বা কর্তৃত্বমূলক (Authoritative) নির্দেশনার ফল, যেখানে কর্মীরা নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে না পেরে অবাধ্য হয়ে ওঠে। -
খ) অধস্তনদের উপর অতিমাত্রায় কর্তৃত্ব প্রয়োগ:
এটি কর্তৃত্বমূলক বা স্বৈরাচারী নির্দেশনার মূল বৈশিষ্ট্য, পরামর্শমূলক নির্দেশনার নয়। -
গ) অধস্তনদের কাছ থেকে শর্তহীণ আনুগত্য প্রত্যাশা করা:
এটিও স্বৈরাচারী নির্দেশনার একটি বৈশিষ্ট্য, যেখানে কর্মীদের বিনা প্রশ্নে আদেশ মানতে হয়।

0
Updated: 3 days ago
একটি প্রতিষ্ঠান নতুন পণ্য তৈরি করার আগে গ্রাহকের ব্যবহার ও চাহিদার বিশ্লেষন করেন তারপর তার প্রোটোটাইপ তৈরি করেন। এটি কোন ধরনের ব্যবস্থাপনা ধারনার উদাহরণ?
Created: 3 days ago
A
রুপান্তরমূলক নেতৃত্ব
B
ডিজাইন থিংকিং
C
ডেটা মাইনিং
D
টেকসই সাপ্লাই-চেইন ম্যানেজমেন্ট
Design Thinking হলো একটি মানব-কেন্দ্রিক সমস্যা সমাধানের পদ্ধতি, যেখানে:
-
গ্রাহকের চাহিদা, অভিজ্ঞতা ও ব্যবহার বিশ্লেষণ করা হয়
-
সমস্যা সংজ্ঞায়িত করা হয়
-
সমাধানের ধারণা তৈরি করা হয়
-
প্রোটোটাইপ তৈরি ও পরীক্ষা করা হয়
এটি নতুন পণ্য বা সেবা উদ্ভাবনের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেখানে সহানুভূতি, সৃজনশীলতা ও পুনরাবৃত্তি গুরুত্বপূর্ণ।
-
Design Thinking-এর ধাপসমূহ:
-
Empathize – গ্রাহকের অভিজ্ঞতা ও চাহিদা বোঝা
-
Define – সমস্যা নির্ধারণ
-
Ideate – সমাধানের ধারণা তৈরি
-
Prototype – নমুনা বা প্রোটোটাইপ তৈরি
-
Test – ব্যবহারকারীর প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ
-
-
প্রশ্নে উল্লেখিত পরিস্থিতি: গ্রাহকের ব্যবহার ও চাহিদা বিশ্লেষণ করে প্রোটোটাইপ তৈরি করা হচ্ছে—এটি Design Thinking-এর সরাসরি প্রয়োগ।
-
অন্যান্য অপশন বিশ্লেষণ:
-
রূপান্তরমূলক নেতৃত্ব (Transformational Leadership): নেতা অনুপ্রেরণা দিয়ে পরিবর্তন ঘটান; পণ্য উদ্ভাবনের পদ্ধতি নয়।
-
ডেটা মাইনিং: তথ্য বিশ্লেষণের প্রযুক্তিগত পদ্ধতি; প্রোটোটাইপ তৈরির মানব-কেন্দ্রিক ধাপ নেই।
-
টেকসই সাপ্লাই-চেইন ম্যানেজমেন্ট: সরবরাহ ব্যবস্থার পরিবেশবান্ধব ও দীর্ঘমেয়াদী কৌশল; পণ্য উদ্ভাবনের প্রক্রিয়া নয়।
-

0
Updated: 3 days ago
ট্র্যান্সফরমেশনাল লিডারশীপের জন্য কোন ধরনের ক্ষমতা (Power)বেশি জরুরী?
Created: 3 days ago
A
কোয়ার্সিভ
B
রেফারেন্ট
C
লেজিটিমেট
D
পুরস্কার প্রদানের ক্ষমতা
Transformational Leadership হলো এমন একটি নেতৃত্বধারা, যেখানে নেতা কর্মীদের অনুপ্রাণিত করে, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে, এবং উন্নয়ন ও উদ্ভাবনের পথে পরিচালিত করেন। এই ধরনের নেতৃত্বে ব্যক্তিত্ব, আস্থা, এবং অনুসরণযোগ্যতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
রেফারেন্ট ক্ষমতা (Referent Power) কী?
-
এটি এমন ক্ষমতা যা নেতার ব্যক্তিত্ব, মূল্যবোধ, ও সম্পর্কের গুণাবলীর মাধ্যমে আসে।
-
কর্মীরা নেতাকে সম্মান করেন, বিশ্বাস করেন, এবং স্বেচ্ছায় অনুসরণ করতে চান।
-
Transformational Leadership-এ নেতার আদর্শ, সম্পর্ক ও বিশ্বাসভিত্তিক আচরণ রেফারেন্ট ক্ষমতার মাধ্যমে বিকশিত হয়।
Transformational Leader-এর বৈশিষ্ট্য:
-
আদর্শ ও মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত করা
-
দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা
-
আস্থা ও সম্পর্কের ভিত্তিতে নেতৃত্ব দেওয়া
-
কর্মীদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা করা
➡ এই গুণগুলো coercion বা পুরস্কারের চেয়ে অনেক গভীর ও স্থায়ী প্রভাব তৈরি করে।
অন্যান্য অপশনগুলোর বিশ্লেষণ:
-
ক) কোয়ার্সিভ ক্ষমতা (Coercive Power):
এটি ভয় বা শাস্তির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে। Transformational Leadership-এ নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। -
গ) লেজিটিমেট ক্ষমতা (Legitimate Power):
এটি পদ বা দায়িত্ব থেকে আসে। প্রাসঙ্গিক হলেও Transformational Leadership মূলত আদর্শ ও সম্পর্কভিত্তিক। -
ঘ) পুরস্কার প্রদানের ক্ষমতা (Reward Power):
এটি বাহ্যিক প্রণোদনা দেয়, কিন্তু Transformational Leadership অভ্যন্তরীণ প্রেরণা জাগ্রত করে।

0
Updated: 3 days ago
কোন সভার সিদ্ধান্তক্রমে আদায়কৃত মূলধনের উপর শতকরা হারে লভ্যাংশ ঘোষণা ও বণ্টন করা হয়?
Created: 3 days ago
A
সাধারন সভা
B
পরিচালকমন্ডলীর সভা
C
শেয়ার মালিকদের সভা
D
সাধারন ও পরিচালকমন্ডলীর যৌথ সভা
বাংলাদেশের কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ অনুযায়ী লভ্যাংশ ঘোষণার প্রক্রিয়াটি একটি নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করে, যা পরিচালকমণ্ডলী এবং শেয়ারহোল্ডারদের সম্মিলিত কার্যক্রমের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
-
পরিচালকমণ্ডলীর ভূমিকা:
-
কোম্পানির আর্থিক বিবরণী, মুনাফা ও রিজার্ভ বিশ্লেষণ করে লভ্যাংশ প্রস্তাব তৈরি করা।
-
তারা শুধুমাত্র প্রস্তাবনা প্রদান করতে পারে; চূড়ান্ত অনুমোদনের ক্ষমতা নেই।
-
-
শেয়ারহোল্ডারদের সভায় অনুমোদন:
-
বার্ষিক সাধারণ সভা (Annual General Meeting – AGM) বা শেয়ার মালিকদের সভায় প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।
-
শেয়ারহোল্ডাররা ভোটের মাধ্যমে অনুমোদন দিলে লভ্যাংশ ঘোষণা এবং কটন কার্যকর হয়।
-
-
মূল ব্যাখ্যা অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক বিষয়:
-
সাধারণ সভা: AGM বা EGM হতে পারে, তবে শেয়ার মালিকদের সভা বিশেষভাবে সঠিক।
-
পরিচালকমণ্ডলীর সভা: কেবল প্রস্তাব করতে পারে, চূড়ান্ত ঘোষণা দিতে পারে না।
-
সাধারণ ও পরিচালকমণ্ডলীর যৌথ সভা: আইন অনুযায়ী বাধ্যবাধকতা নেই।
-

0
Updated: 3 days ago