বোনাসকে শুধুমাত্র ত্রৈমাসিক আয়ের সাথে সংযুক্ত করার ফলে কি ঘটে?
A
ব্যবস্থাপকদের জন্য পূর্বানুমানযোগ্য নগদ প্রবাহ বৃদ্ধি
B
দীর্ঘমেয়াদী মূল্যের ক্ষতির বিনিময়ে স্বরমেয়াদী মুনাফা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টির তাগিদ
C
মেধাভিত্তিক শৃংখলা সংস্কৃতির সৃষ্টি
D
শেয়ারহোল্ডারদের মূল লক্ষ্যর সাথে সংযুক্তি
উত্তরের বিবরণ
যখন বোনাস শুধুমাত্র ত্রৈমাসিক আয় বা স্বল্পমেয়াদী লাভের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তখন ব্যবস্থাপকরা তাৎক্ষণিক ফলাফল অর্জনে অতিরিক্ত মনোযোগী হয়ে ওঠেন। এই পরিস্থিতিতে তারা প্রায়ই এমন সিদ্ধান্ত নেন যা স্বল্পমেয়াদে লাভজনক হলেও দীর্ঘমেয়াদে কোম্পানির প্রকৃত মূল্য ও স্থায়িত্বের ক্ষতি ঘটাতে পারে।
এ ধরনের সিদ্ধান্তের উদাহরণ হলো—
-
গবেষণা ও উন্নয়ন খরচ কমানো, যাতে তাৎক্ষণিক ব্যয় হ্রাস পায়।
-
ভবিষ্যতের বিনিয়োগ স্থগিত রাখা, ফলে নতুন সুযোগের সম্ভাবনা হারায়।
-
খরচ কমাতে কর্মী ছাঁটাই, যা মনোবল ও উৎপাদনশীলতা হ্রাস করতে পারে।
-
আয় বাড়াতে অস্থায়ী কৌশল গ্রহণ, যা ভবিষ্যতে স্থিতিশীলতা নষ্ট করে।
এই ধরণের প্রবণতাকে “short-termism” বলা হয়, এবং এটি ব্যবস্থাপনা তত্ত্বে একটি নেতিবাচক আচরণ হিসেবে বিবেচিত, কারণ এটি কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য ও টেকসই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে।

0
Updated: 3 days ago
একজন ব্যবস্থাপক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় কর্মীদের দ্বিমত পোষন কিংবা তর্ক-বিতর্ককে উৎসাহ দেন কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তিনি একাই নেন। এখানে কোন নেতৃত্বের বৈপরীত্য ফুটে উঠেছে?
Created: 3 days ago
A
সেবামূলক বনাম নির্দেশনামূলক নেতৃত্ব
B
ক্ষমতায়ন বনাম কেন্দ্রীয়করণ
C
গণতান্ত্রিক বিশ্বাস বনাম আমলাতন্ত্র
D
গণতান্ত্রিক বিশ্বাস বনাম রূপান্তরমূলক
যেখানে একজন ব্যবস্থাপক কর্মীদের দ্বিমত বা তর্ক-বিতর্ককে উৎসাহিত করেন, সেখানে তিনি কর্মীদের ক্ষমতায়ন (Empowerment) এবং অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতি (Participative Culture) তৈরি করতে চান।
অন্যদিকে, যখন তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত একাই নেন, তখন তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে কেন্দ্রীভূত (Centralization) করেন।
এই দুটি আচরণের মধ্যে বৈপরীত্য (Contradiction) হলো:
-
ক্ষমতায়ন (Empowerment):
-
কর্মীদের মতামত চাওয়া।
-
আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়।
-
কর্মীদের অনুভূত ক্ষমতা ও গুরুত্ব বাড়ায়।
-
-
কেন্দ্রীয়করণ (Centralization):
-
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কেবল একজন ব্যক্তির হাতে রাখা।
-
ক্ষমতাকে একটি স্তরে সীমাবদ্ধ করে।
-
➡ এই বৈপরীত্যের কারণে কর্মীরা অনুভব করতে পারে যে, তাদের মতামত চাওয়া হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে কোনো প্রভাব নেই, যা ক্ষমতায়ন এবং অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতির লক্ষ্যকে ক্ষুণ্ণ করে।

0
Updated: 3 days ago
পরামর্শমূলক নির্দেশনার অসুবিধা কোনটি?
Created: 3 days ago
A
অবাধ্যতা সৃষ্টি
B
অধস্তনদের উপর অতিমাত্রায় কর্তৃত্ব ফলানো
C
অধস্তনদের কাছ থেকে শর্তহীণ আনুগত্য প্রত্যাশা করা
D
অধস্তনদের উপর পূর্ণ মাত্রায় নির্ভরশীলতা
পরামর্শমূলক নির্দেশনার (Consultative Direction) অসুবিধা হলো এমন কিছু সীমাবদ্ধতা যা এই অংশগ্রহণমূলক বা গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সঙ্গে সম্পর্কিত। এই পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অধস্তনদের মতামত ও পরামর্শ নেওয়া হয়, যা কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
প্রধান অসুবিধাগুলো:
-
অধস্তনদের উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতা (Excessive Dependence on Subordinates):
পরামর্শমূলক নির্দেশনায় ব্যবস্থাপককে প্রায়শই ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অধস্তনদের মতামতের ওপর নির্ভর করতে হয়। যদি অধস্তনরা অপরিণত, অনভিজ্ঞ, বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়, তবে দ্রুত ও কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। -
সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া:
সকলের মতামত নেওয়ার প্রক্রিয়াটি অনেক সময় নষ্ট করতে পারে, যা জরুরি পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমস্যা সৃষ্টি করে।
অন্যান্য অপশনগুলোর বিশ্লেষণ:
-
ক) অবাধ্যতা সৃষ্টি:
এটি সাধারণত স্বৈরাচারী (Autocratic) বা কর্তৃত্বমূলক (Authoritative) নির্দেশনার ফল, যেখানে কর্মীরা নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে না পেরে অবাধ্য হয়ে ওঠে। -
খ) অধস্তনদের উপর অতিমাত্রায় কর্তৃত্ব প্রয়োগ:
এটি কর্তৃত্বমূলক বা স্বৈরাচারী নির্দেশনার মূল বৈশিষ্ট্য, পরামর্শমূলক নির্দেশনার নয়। -
গ) অধস্তনদের কাছ থেকে শর্তহীণ আনুগত্য প্রত্যাশা করা:
এটিও স্বৈরাচারী নির্দেশনার একটি বৈশিষ্ট্য, যেখানে কর্মীদের বিনা প্রশ্নে আদেশ মানতে হয়।

0
Updated: 3 days ago
মধ্য ব্যবস্থাপক মূলত কোন কাজটি করেন?
Created: 3 days ago
A
কৌশলগত পরিকল্পনা
B
কার্যকরী বাস্তবায়ন
C
শ্রমিকদের তদারকি
D
নীতি প্রনয়ন
মধ্য ব্যবস্থাপক হলো সেই স্তরের কর্মকর্তা যারা উচ্চ ব্যবস্থাপনার কৌশলগত পরিকল্পনাকে নিম্ন স্তরের কর্মীদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করেন এবং উপরের নির্দেশনা ও নিচের কার্যক্রমের মধ্যে সংযোগকারী সেতুর ভূমিকা পালন করেন।
-
মধ্য ব্যবস্থাপকের মূল দায়িত্ব:
-
কার্যকরী বাস্তবায়ন:
-
উচ্চ ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা ও নীতিমালা বাস্তবে প্রয়োগ করা
-
প্রকল্প, কার্যক্রম ও টিম পরিচালনা করা
-
-
তদারকি ও সমন্বয়:
-
বিভিন্ন বিভাগ ও কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করা
-
কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন ও প্রতিবেদন তৈরি করা
-
-
যোগাযোগ ও নির্দেশনা:
-
উচ্চ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখা
-
কর্মীদের নির্দেশনা ও সহায়তা প্রদান
-
-
-
অন্যান্য অপশন বিশ্লেষণ:
-
কৌশলগত পরিকল্পনা: উচ্চ ব্যবস্থাপনার (Top Management) কাজ।
-
শ্রমিকদের তদারকি: নিম্ন ব্যবস্থাপকের (First-line Manager) দায়িত্ব।
-
নীতি প্রণয়ন: Top Management বা Board Level-এর দায়িত্ব।
-
রেফারেন্স:
-
Robbins & Coulter – Management
-
Harvard Business Review: Role of Middle Managers

0
Updated: 3 days ago